Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
কামোদ্দীপক
আফ্রোদিজিয়াক বা যৌনবর্ধক পদার্থ হল এমন কোন পদার্থ, যা সেবন করলে যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আফ্রোদিজিয়াক সেই সকল পদার্থ থেকে আলাদা যেগুলো প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যা যেমন পুরুষত্বহীনতা বা লিঙ্গোত্থান অক্ষমতা (Erectile dysfunction), এসব রোগের উপসর্গ দূর করে।
শব্দতত্ত্ব
আফ্রোদিজিয়াক শব্দটির উৎপত্তি গ্রীক ἀφροδισιακόν (উচ্চারণঃ আফ্রোদিজিয়াকন) থেকে যার অর্থ যৌন বা কামজ। আবার আফ্রোদিজিয়াকন এসেছে আফ্রোদিজিওজ থেকে যার অর্থ দেবী আফ্রোদিতের অধিকারভূক্ত বা তার সাথে সম্পর্কযুক্ত হওয়া।আফ্রোদিতে গ্রীক পুরাণে বর্ণিত ভালোবাসার দেবী।
আফ্রোদিজিয়াক পদার্থের বৈশিষ্ট্যসমূহ
ইতিহাসে সর্বত্রব্যাপী নানা ধরনের খাবার, পানীয় এবং আচরণের উল্লেখ পাওয়া যায়, যেগুলোর যৌন মিলনকে আরো উপভোগ্য করে তোলার জন্য ব্যাপক খ্যাতি ছিল। কিন্তু একটি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যায়, তথাকথিত কার্যপদ্ধতিগুলো শুধুমাত্র এজন্যই ফলদায়ী ছিল কারণ ব্যবহারকারীরা বিশ্বাস করতেন যে সেগুলো ফলদায়ী হবে। যা নিতান্তই একটি প্লেসিবো ক্রিয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। অনুরূপভাবে, বিভিন্ন ওষুধের ক্ষেত্রেও এমনটি দেখা যায় যে, সেগুলো কোন এক অজানা কারণে সেবকের যৌন তাড়না বা লিবিডো বৃদ্ধি কিংবা হ্রাস করছে। এমন ঘটনা মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তোলে। উদাহরনস্বরূপ, বিউপ্রপিয়ন এমন একটি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ যা সচরাচর অন্য অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধের প্রভাবকে প্রতিরোধ করে যৌনতাড়নার বৃদ্ধি ঘটায়। কোন বস্তু বা পদার্থকে আফ্রোদিজিয়াক হিসেবে পরিগণিত হতে হলে সেটিকে হতে হবেঃ
- মুখ দিয়ে সেবনযোগ্য
- কোন প্লেসিবো ক্রিয়া ব্যাতিতই নির্ভরযোগ্যভাবে যৌন তাড়না বা লিবিডো বৃদ্ধিকারী
- তাৎক্ষণিকভাবেই কিংবা অল্প সময়ের মধ্যেই কাঙ্ক্ষিত প্রভাব বলবৎকারী
আফ্রোদিজিয়াক পদার্থসমূহ
টেস্টোস্টেরন
যৌন তাড়না স্পষ্টতই টেস্টোস্টেরন নামক এন্ড্রোজেন শ্রেণিভূক্ত স্টেরয়েড হরমোনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যেসকল বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায় তারা টেস্টোস্টেরন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে হারানো যৌন তাড়না ফিরে পেতে পারেন। টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এমন ওষুধের প্রয়োগে বয়স্ক পুরুষদের মাঝে কার্যকর ফলাফল পাওয়া গেছে। কিন্তু অন্য বয়সশ্রেণির অন্তর্ভুক্ত তুলানামূলক কমবয়েসিদের ক্ষেত্রে এরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি। বস্তুত এক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন খুবই নগন্য।
ব্রিমিলানোটিড
কিছু পদার্থ, যেগুলো মস্তিষ্কের MC3-R ও MC4-R মিলানোকর্টিক রিসেপ্টরগুলোকে সক্রিয় করতে সক্ষম, সেগুলোর আফ্রোদিজিয়াক হিসেবে কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ব্রিমিলানোটিড এই মিলানোকর্টিক রিসেপ্টর এগনিস্ট (সক্রিয়ক) শ্রেণিভূক্ত একটি রাসায়নিক যৌগ, যা ইতোপূর্বে PT-141 নামে পরিচিত ছিল, বর্তমানে সেক্সুয়াল অ্যারাউজাল ডিজর্ডার ও লিঙ্গোত্থান অক্ষমতার চিকিৎসায় ক্লিনিকাল গবেষণায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি পুরুষ ও মহিলা উভয়েই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সময় যারা ওষুধটি নাসারন্ধ্রের মাধ্যমে সেবন করেছিলেন তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক ব্যক্তির দেহে মারাত্নক উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। ফলে এ ওষুধটির অধিকতর উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তিতে ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে ওষুধটির আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠান Palatin ঘোষণা করে যে, ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রাথমিক ধাপে শুধুমাত্র সেইসকল পরীক্ষণীয় ব্যক্তিদের মধ্যেই উচ্চ রক্তচাপ বিশিষ্ট পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল যারা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ওষুধটি সেবন করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী গবেষণায় দেখা গেছে ত্বকের মাধ্যমে ওষুধটি সেবন করায় কোন ঝুঁকি নেই। বর্তমানে প্যালাটিন PL-6983 নামক অনুরূপ আরেকটি রাসায়নিক পদার্থের উপর গবেষণা করছে।
উদ্ধৃতি
গ্রন্থপঞ্জি
- Froböse, Gabriele; Froböse, Rolf (২০০৬)। Lust and Love: Is it more than Chemistry?। Translated by Michael Gross। Royal Society of Chemistry। আইএসবিএন 0-85404-867-7।
বহিঃসংযোগ
- Aphrodisiacs and Anti-aphrodisiacs: Three Essays on the Powers of Reproduction by John Davenport (প্রবন্ধ).