Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
কারপাল টানেল সিনড্রোম
কারপাল টানেল সিনড্রোম | |
---|---|
কব্জির তীর্যক অংশ। হলুদ মেডিয়ান নার্ভ। হাড় এবং তীর্যক কারপল লিগামেন্ট দ্বারা গঠিত কারপাল টানেল। | |
বিশেষত্ব | অর্থোপেডিক সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি |
লক্ষণ | বৃদ্ধাঙ্গুলি, নির্দেশিকা অঙ্গুলি, মধ্যাঙ্গুলি, দূর্বল গ্রিপে ব্যথা, অসাড়তা, অস্বস্থি |
কারণ | কারপাল টানেলে মিডিয়ান নার্ভের কম্প্রেশন |
ঝুঁকির কারণ | স্থূলতা, বারংবার কব্জির কাজ, গর্ভাবস্থা, রিউমাটয়েড আর্থথ্রিটিস (অজ্ঞাতকারণজাত ক্রমবর্ধনশীল গ্রন্থিপ্রদাহ) |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | লক্ষণগুলো, নির্দিষ্ট শারীরিক পরীক্ষা, ও ইলেক্ট্রোডায়াগোনেস্টিক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে |
প্রতিরোধ | দৈহিক কার্যক্রম |
চিকিৎসা | কব্জি স্প্লিন্ট, কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন, সার্জারি |
সংঘটনের হার | ৫-১০% |
কারপাল টানেল সিনড্রোম (ইংরেজি: Carpal-Tunnel Syndrome) এক প্রকারের কব্জির প্রদাহজনিত রোগ। কারপাল টানেল অর্থাৎ কব্জির হাড়গুলির(ও সংশ্লিষ্ট কব্জি ভাজকরার পেশীগুলির সংযোগকারী টেন্ডন সমূহের)মধ্যবর্তী সুড়ঙ্গে মিডিয়ান স্নায়ুর নিষ্পেষণ/পীড়ন জনিত কারণে এই প্রদাহ হয়ে থাকে।
নিয়মিত ও ক্রমাগত ভাবে কব্জির উপর চাপ পড়ে, যেমন - অনেকক্ষণ ধরে টাইপ করা - এরকম কাজ এই রোগে ঘটায় কারণ:
- দীর্ঘ সময় ধরে বারংবার একই কাজ (রিপিটিটিভ স্ট্রেস ইনজুরি)
- চাপ দিয়ে কাজ করা
- কব্জি বিশৃঙ্খল ভাবে রাখা
- কম্পন
সি টি এস সমস্যাতে সাধারণত মাউস ব্যবহার কারি হাতই আক্রান্ত হয়ে থাকে, তবে কি-বোর্ড ব্যবহার থেকেও এটি হতে পারে ৷ ছবিগুলো দেখলে বোঝা যাবে হাতের তালুর গোড়ার দিক যা সবসময় টেবিলে থাকে সেই অংশের টেন্ডন এবং নার্ভ এতে আক্রান্ত হয়৷ নার্ভ আক্রান্ত হওয়ার ফলে এর প্রভাব অনেক ব্যাপক হয় বা হতে পারে৷
উপসর্গ
সাধারণত কব্জিসন্ধিতে ব্যাথা বা অস্বস্তী লাগা বেশি সময় কাজ করতে না পারা হাতের পেশীতে ব্যাথা হওয়া এবং হাত অসাড় মনে হওয়া, রাতে ব্যাথা হওয়া, শক্ত হয়ে যাওয়া, হাতে শক্তি না পাওয়া ইত্যাদি৷
চিকিৎসা
এই রোগের উপশমের জন্য শল্যচিকিৎসা ও অন্যান্য ধরনের চিকিৎসা চালু আছে। মারাত্মক আকার ধারণ করলে অর্থাৎ রাতে ঘুমাতে না পারার মত ব্যথা বা কাজ করাই যায় না এমন অবস্থা হলে স্প্লিন্ট স্থাপন, হাইড্রোকর্টিসোন ইন্জেকসন বা শল্য চিকিৎসা দ্বারা মিডিয়ান স্নায়ুকে চাপমুক্ত করার দরকার হতে পারে৷ অস্ত্রোপচার করে স্নায়ুকে চাপমুক্ত করে পেশী সমুহের কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত মারাত্মক আকার ধারণ করলে তবেই শল্য চিকিৎসা করতে হতে পারে৷ পুরো উন্মুক্ত না করে দূরবীন জাতীয় অস্ত্রোপচারও করা সম্ভব।
রোগের কারণ দূর করা চিকিৎসা ছাড়া, এর উপসর্গের নানা উপশম পদ্ধতি চালু আছে, যেমন: ব্যাথার ওষুধ, আল্ট্রা সাউন্ড, লেজার থেরাপি ইত্যাদি৷
ঠেকাবার উপায়
- কব্জির ব্যায়াম এই রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী৷ হাতের, কব্জির বিভিন্ন ব্যান্ড এবং বিভিন্ন ধরনের এক্সারসাইজ টিপস ইন্টারনেটে পাওয়া যায়৷
- আরগোনোমিকস কাজ এর পরিবেশ সংক্রান্ত বিদ্যা যেখানে কাজে ব্যবহৃত জিনিসগুলোর (এক্ষেত্রে টেবিল, চেয়ার, কি-বোর্ড ও মাউস)আকার আকৃতি স্বাচ্ছন্দবোধ বাড়ানো ও চোট কমাবার জন্য ডিজাইন করা হয়।