Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
গজরা (কেশ সজ্জা)
Другие языки:

গজরা (কেশ সজ্জা)

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
গজরা ঐতিহ্যগতভাবে চুলের খোঁপায় পরা হয়।
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গজরা পরিহিত ভারতীয় মহিলারা

গজরা হল কেশ সজ্জার জন্য ব্যবহৃত একটি ফুলের মালা যা দক্ষিণ এশীয় মহিলারা উৎসব, অনুষ্ঠান, বিবাহ বা দৈনন্দিন ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সংগে পরিধান করে। এগুলি সাধারণত বিভিন্ন ধরণের জুঁই ফুল দিয়ে তৈরি করা হয় তবে আজকাল এর সাথে গোলাপ, ক্রসন্দ্রা এবং বারলেরিয়া জাতীয় ফুলও গজরাতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি খোঁপা বা বিনুনি দুইয়ের সাথেই পরা যেতে পারে। ভারতের মহিলারা সাধারণত ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সাথে তাদের কেশের শোভা বর্ধন করতে গজরা পরিধান করেন। এটি প্রধানত উৎসব অনুষ্ঠান এবং বিবাহের সময় কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে কব্জিতেও পরিধান করা হয়।

গজরা একটি কেশ সজ্জার অলঙ্কার এবং এটি খোপাকে বেঁধে রাখতে কোনভাবেই সহায়তা করেনা। গজরা ভারতে গহনার উপর করা এক ধরনের মুক্তার কারিগরীকেও বোঝায়।

উৎপত্তির ইতিহাস

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, গজরা ছিল নববধু বা বিবাহিত নারীর অবশ্য পরিধেয় ঐতিহ্যশালী ষোল শৃঙ্গার বা ষোল রকমের অলংকারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আনুষঙ্গিক পরিধেয়। হিন্দু বিবাহরীতি অনুসারে নববধুকে ষোল রকমের অলংকার দিয়ে সজ্জিত করার প্রচলন আছে যার মধ্যে কেশসজ্জা হিসাবে গজরা অন্যতম। প্রথমে কনের চুলগুলি একটি আঁটসাঁট বেণীতে বা একটি খোঁপায় বেঁধে দেওয়া হয়ে থাকে এবং তার উপর এক বা একাধিক গজরা সংযুক্ত করে কেশসজ্জা সম্পূর্ন করা হয়।

প্রাচীন ও আধুনিক কালে গজরা

প্রাচীন যুগে মহিলারা প্রধান্ত সমস্ত ধর্মীয় এবং উৎসব অনুষ্ঠানে গজরা পরিধান করত। সেইসময় সাধারনত গজরা তৈরি করতে জুঁই ফুল ব্যবহার করা হত কারন এই ফুলকে শুভ বলে মনে করা হত এবং এর শক্তিশালী সুবাস সারাদিন অবধি বজায় থাকত। যদিও সময়ের সাথে সাথে বেশ বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটেছে, তবুও গজরা তৈরিতে এখনও জুঁই ফুল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

আজকাল জুঁই, চামেলি বা মোগরা ফুল দিয়েও গজরা তৈরি করা হয়। বর্তমানে সাধারণত কনেরা তাদের বিয়ের দিনে বা ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পীরা তাদের নৃত্য পরিবেশনার সময় গজরা পরে থাকে। এগুলি ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের বেশিরভাগ মহিলা ধর্মীয় এবং উৎসব অনুষ্ঠানের সময় গজরা পরেন।


Новое сообщение