Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
চক্রপাণি দত্ত
চক্রপাণি দত্ত (আনুমানিক ১১তম শতাব্দী) একজন বাঙালি পন্ডিত ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসার অনুশীলনকারী ছিলেন।
তাঁর জীবদ্দশায়, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতিতে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি প্রাথমিকভাবে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার প্রাথমিক বা মূল গ্রন্থগুলির বিষয়ে তাঁর শিক্ষা-সংক্রান্ত ভাষ্যগুলির মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করে ছিলেন। তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে ভারতীয় চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিলেন বলে মনে করা হয়।
জীবনী
চক্রপাণি দত্ত ১১তম শতাব্দীর শেষার্ধে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের ময়ুরেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। তিনি একজন ব্রাহ্মণ ছিলেন এবং একটি সম্ভ্রান্ত বৈদ্য পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, তাঁর পিতা পাল সম্রাট নয়াপালের রন্ধনশালার অধ্যক্ষ বা প্রধান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তার বড় ভাই ভানুকে একজন অন্তরঙ্গ (শিক্ষিত চিকিৎসক) হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। একজন পাল দরবারী, নারদত্ত, চক্রপাণি দত্তের আধ্যাত্মিক গুরু হিসাবে কাজ করেছিলেন।
প্রাথমিক আয়ুর্বেদ গ্রন্থগুলির - চরক সংহিতা এবং সুশ্রুত সংহিতা- উপর তাঁর ভাষ্যগুলির মাধ্যমে চক্রপাণি দত্ত অল্প বয়সেই বিশিষ্টতা অর্জন করতে শুরু করেছিলেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে চিকিৎসাসমগ্রহ (চিকিৎসা অনুশীলন এবং পদ্ধতির সংগ্রহ), দ্রব্যগুণ (উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য), এবং সর্বসারসংগ্রহ (জিনিসের সারাংশের সংগ্রহ)। গ্রন্থগুলিতে রোগের থেরাপিউটিক, সার্জিক্যাল ও শারীরবৃত্তীয় চিকিত্সা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, এবং তাঁকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় একজন কর্তাব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।