Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
চাগাস রোগ
চাগাস রোগ | |
---|---|
বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ, পরজীবীবিজ্ঞান |
চাগাস রোগ /ˈtʃɑːɡəs/, বা আমেরিকান ট্রাইপানোসোমিয়াসিস, একটি প্রোটোজোয়া ট্রাইপানোসোমাক্রুজি দ্বারা সংক্রামিত ক্রান্তীয় পরজীবীঘটিত রোগ। কিসিং বাগসনামক এক প্রকারের পোকার মাধ্যমে এটি বিস্তার লাভ করে। সংক্রমণের বিভিন্ন পর্যায়ে লক্ষণসমূহ পরিবর্তিত হয়। প্রারম্ভিক পর্যায়ে, লক্ষণগুলি সাধারণতঃ থাকে না অথবা সামান্য থাকে, যেমন জ্বর, ফোলালিম্ফ নোডস,মাথাব্যথা, অথবা কামড়ানোর জায়গায় সাধারণ ফোলা। ৮-১২ সপ্তাহের পর রোগী অসুখের ক্রনিক পর্যায়ে প্রবেশ করে এবং ৬০-৭০% ক্ষেত্রে আর কখনও কোন অতিরিক্ত লক্ষণের জন্ম হয় না। অন্য ৩০-৪০% লোকেদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক সংক্রমণের ১০ থেকে ৩০ বছর পর অতিরিক্ত লক্ষণ দেখা দেয়। ২০ থেকে ৩০%-এর ক্ষেত্রে হার্টের ভেন্ট্রিকলসের বৃদ্ধি ঘটে যার কারণে হার্ট ফেলিওর হয়। ১০% লোকের ক্ষেত্রে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত খাদ্যনালী অথবা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কোলন-ও দেখা যেতে পারে।
T. cruzi সাধারণতঃ মানুষ ও অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে Triatominae সাবফ্যামিলির রক্তপায়ী “কিসিং বাগস”-এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই পতঙ্গগুলি অসংখ্য স্থানীয় নামে পরিচিত, যেমন: আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, চিলি ও প্যারাগুয়েতে “ভিনচুকা”, ব্রাজিলে “বার্বেইরোনাপিত, কলম্বিয়ায় “পিটো”, মধ্য আমেরিকায় “চিনচে”, এবং ভেনিজুয়েলায় “চিপো”। এই অসুখটি ব্লাড ট্রান্সফিউশন, অং প্রতিস্থাপন, পরজীবী সংক্রমিত খাদ্যগ্রহণ, এবং উল্লম্ব পরিবহণেরমাধ্যমেও ঘটে। মাইক্রোস্কোপ দ্বারা রক্তে পরজীবীর উপস্থিতি অনুসন্ধানের মাধ্যমে রোগের প্রাথমিক নিরূপণ হয়। রক্তে T. cruzi -র অ্যান্টিবডিজ অনুসন্ধানের মাধ্যমে ক্রনিক রোগের নিরূপণ হয়।
কিসিং বাগসদের বিচ্ছিন্ন করে তাদের কামড় থেকে নিষ্কৃতি পাবার মধ্যেই সর্বাপেক্ষা রোগ প্রতিরোধ নিহিত আছে। অন্যান্য প্রতিরোধ ব্যবস্থার মধ্যে আছে ট্রান্সফিউশ্নের জন্য ব্যবহৃত রক্তের পরীক্ষা। ২০১৩ সাল পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। প্রাথমিক সংক্রমণ বেঞ্জনিডাজোলবা নিফার্টিমক্সনামক ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসাযোগ্য। যদি আগেই এগুলি প্রয়োগ করা হয় তাহলে প্রায় সবক্ষেত্রেই নিরাময় সম্ভব, তবে কেউ যদি বহুদিন ধরে চাগাস রোগে ভোগে তাহলে ওষুধের কার্যকারিতা কম হয়। ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে এগুলির ব্যবহার শেষ পর্যায়ের লক্ষণগুলির বিকশিত হওয়া আটকে দেয় অথবা ধীরগতি করে দেয়। বেঞ্জনিডাজোল এবং নিফার্টিমক্স-এর কারণে ৪০% রোগীর ক্ষেত্রে সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যার মধ্যে আছে ত্বকের সমস্যা, ব্রেন টক্সিসিটি এবং খাদ্যতন্ত্রে জ্বলন।
হিসাবে দেখা গেছে যে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ লোকের চাগাস রোগ আছে যাদের বেশির ভাগ মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকা-য় বসবাস করে। এর ফলে ২০০৬ সালে মাত্র এক বছরে প্রায় ১২৫০০ লোকের মৃত্যু হয়। এই রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ লোক গরিব এবং এই রোগাক্রান্ত বেশির ভাগ লোক বুঝতে পারেনা যে তাদের সংক্রমণ হয়েছে। যে সব এলাকায় চাগাস রোগ পাওয়া গেছে, বড় আকারের জনসংখ্যার সঞ্চালনের কারণে সে সব এলাকার বৃদ্ধি ঘটেছে এবং তাতে এখন অনেক ইউরোপিয় দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রেরও অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। এটাও দেখা গেছে যে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই এলাকাগুলির বৃদ্ধি ঘটেছে। ১৯০৯ সালে কার্লোস চাগাস প্রথম এই রোগটির কথা জানান এবং তারপর তার নামেই এ রোগের নামকরণ করা হয়। ১৫০টির বেশি অন্যান্য প্রাণী এতে আক্রান্ত হয়।
দারিদ্র্যজনিত রোগ | এইডস · ম্যালেরিয়া · যক্ষ্মা · হাম · নিউমোনিয়া · উদরাময় |
---|---|
অবহেলিত রোগ |
কলেরা · চাগাস রোগ · আফ্রিকান নিদ্রা রোগ · শামুক জ্বর · গিনি ক্রিমি · নদী অন্ধত্ব · কালা জ্বর · চুলকানি
|
বিবিধ |