Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
জন্টি রোডস
Другие языки:

জন্টি রোডস

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
জন্টি রোডস
JONTY RHODES.jpg
২০১৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জন্টি রোডস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম জোনাথন নেইল রোডস
জন্ম (1969-07-27) ২৭ জুলাই ১৯৬৯
পিটারমারিৎজবার্গ, নাটাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাটিংয়ের ধরন ডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন ডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকা ব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৫০)
১৩ নভেম্বর ১৯৯২ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট ১০ আগস্ট ২০০০ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৭)
২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ বনাম কেনিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছর দল
১৯৮৮–১৯৯২ নাটাল বিশ্ববিদ্যালয় (মারিৎজবার্গ)
১৯৮৮–১৯৯৮ নাটাল
১৯৯৮–২০০৩ কোয়াজুলু-নাটাল
১৯৯৯ আয়ারল্যান্ড
২০০৩ গ্লুচেস্টারশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫২ ২৪৫ ১৬৪ ৩৭১
রানের সংখ্যা ২৫৩২ ৫৯৩৫ ৯৫৪৬ ৮৯০৭
ব্যাটিং গড় ৩৫.৬৬ ৩৫.১১ ৪১.১৪ ৩২.৮৬
১০০/৫০ ৩/১৭ ২/৩৩ ২২/৫২ ২/৫১
সর্বোচ্চ রান ১১৭ ১২১ ১৭২ ১২১
বল করেছে ১২ ১৪ ১৬২ ৮০
উইকেট
বোলিং গড় ৮৩.০০ ২২.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ১/১৩ ১/২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩৪/– ১০৫/– ১২৭/– ১৫৮/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪

জোনাথন নেইল জন্টি রোডস (ইংরেজি: Jonty Rhodes; জন্ম: ২৭ জুলাই, ১৯৬৯) নাটাল প্রদেশের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও অবসরপ্রাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছিলেন জন্টি রোডস

ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খুবই দ্রুতগতিতে দৌড়ানোয় অভ্যস্ত ছিলেন। ফিল্ডিংয়ে ভীষণ দক্ষ ছিলেন। বিশেষ করে মাঠে ফিল্ডিং করে ক্যাচে সিদ্ধহস্তের পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। সচরাচর ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টেই নিজেকে জড়িত রাখতেন।

২০০৫ সালের শেষদিকে ক্রিকইনফো তাদের এক প্রতিবেদন দেখায় যে, ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকে যে-কোনো ফিল্ডসম্যানের তুলনায় নবম সর্বোচ্চসংখ্যক রান আউট ও সফলতার দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের ছিলেন তিনি।

ঘরোয়া ক্রিকেটে পিটারমারিৎজবার্গের নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার, কোয়াজুলু-নাটাল ও নাটালের হয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০০০ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ২০০৩ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক থেকে বিদায় নেন। তন্মধ্যে ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে আহত হয়েছিলেন।

এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকা পক্ষে হকি খেলায়ও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত ১৯৯২ সালের অলিম্পিক গেমসে দলের সদস্য হলেও তার দল প্রতিযোগিতায় যোগ্যতা অর্জন করেনি। এছাড়াও, ১৯৯৬ সালের অলিম্পিকে তিনি ডাক পান কিন্তু আঘাতজনিত কারণে দলে যোগ দেননি।

টেস্ট ক্রিকেট

১৩ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে বন্ধুত্বমূলক সফরের প্রথম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে রোডসের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ডারবানের কিংসমিডের নিজ মাঠে অনুষ্ঠিত খেলায় প্রথম ইনিংসে ৪১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ২৬* রান সংগ্রহ করেন। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে মোরাতুয়ায় অনুষ্ঠিত তিন টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। শেষদিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্লাইভ একস্টিনের সাথে জুটি গড়ে অপরাজিত ১০১* রান করেন ও দলকে ড্রয়ের দিকে নিয়ে যান। ঐ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জয় করে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে দক্ষিণ আফ্রিকা দল।

২০০১ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেট খেলবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ৬ আগস্ট, ২০০০ সালে কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি তার সর্বশেষ টেস্ট খেলেন। ঐ খেলার উভয় ইনিংসে তিনি যথাক্রমে ২১ ও ৫৪ করেছিলেন। শ্রীলঙ্কা খেলায় ছয় উইকেটে জয় পায়।

একদিনের আন্তর্জাতিক

১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপের মাধ্যমে রোডসের একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা’র প্রথম খেলায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্রেগ ম্যাকডারমটকে রান আউট করেন। অস্ট্রেলিয়া দল প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৭০ রান করলে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহ করে মাত্র ১ উইকেটে। রোডসের দল নয় উইকেটের বিরাট ব্যবধানে জয়লাভ করে। ঐ খেলায় তার ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন পড়েনি।

বিশ্বকাপের পঞ্চম খেলায় নিজেকে স্বরূপে মেলে ধরেন রোডস। ৮ মার্চ, ১৯৯২ তারিখে ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলায় ইনজামাম-উল-হক ও দলনায়ক ইমরান খানের মধ্যকার রান সংগ্রহের মাঝখানে পূর্ণ শক্তিতে বল ধরে স্ট্যাম্প বরাবর আঘাত হেনে ইনজামামকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি। এ রান আউটের চিত্রটি ব্যাপকভাবে সাড়া পড়েছিল যা অদ্যাবধি বিশ্বকাপের অন্যতম দর্শনীয় মুহুর্ত হিসেবে বিবেচিত ও তার খেলোয়াড়ী জীবনের উল্লেখযোগ্য সাফল্য। এরফলে ১৩৫/২ থেকে ১৭৩/৮-এ পাকিস্তানের ইনিংস রূপান্তরিত হয়। খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ রানে জয় পায়।

১৪ নভেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে পাঁচটি ক্যাচ নেয়ার মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড স্থাপন করেন। মুম্বইয়ের ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে উইকেট-রক্ষক ব্যতীত ফিল্ডার হিসেবে তিনি এ অনন্য কীর্তগাঁথা রচনা করেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর তিনি একদিনের আন্তর্জাতিক থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেও কেনিয়ার বিপক্ষে খেলায় আঘাতপ্রাপ্তির ফলে পূর্বেই তাকে অবসর নিতে হয়। কেনিয়ার ব্যাটিংয়ে মরিস ওদুম্বের বল শূন্য থেকে ধরতে গিয়ে ক্যাচটি ফেলে দেন ও তার হাত ভেঙ্গে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসা কর্মকর্তার মতে আরোগ্যলাভের জন্য তাকে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ নিতে হবে। ফলে তাকে প্রতিযোগিতা থেকে দূরে থাকতে হয় ও দল থেকে নিজ নাম প্রত্যাহার করে নেন। তার পরিবর্তে দলে ঠাঁই পান গ্রেইম স্মিথ

সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জন্টি রোডস

অবসর পরবর্তীকাল

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর রোডস স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে নির্বাহী হিসাবরক্ষকের চাকরি নেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাংকের ক্রিকেট সম্প্রচারস্বত্ত্বের সাথে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও, আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে রয়েছেন তিনি। কেনিয়া ক্রিকেট দলও রোডসকে দলের সহকারী কোচের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল যা ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ পর্যন্ত কার্যকরী থাকে। ঐ সময়ে তিনি কেনিয়ার ফিল্ডিং ও ব্যাটিংয়ে সহায়তা করেছিলেন।

২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার পর্যটন কর্তৃপক্ষ তাকে ভারতে তাদের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর নিযুক্ত করে।

স্বীকৃতি

১৯৯৯ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন। ২০০৪ সালে এসএবিসি৩-এর গ্রেট সাউথ আফ্রিকান টেলিভিশন সিরিজে ভোটের মাধ্যমে সেরা ১০০ দক্ষিণ আফ্রিকানদের তালিকায় ২৯তম অবস্থানে ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন

১৬ এপ্রিল, ১৯৯৪ তারিখে পিটারমারিৎজবার্গে কুয়ান ম্যাকার্থি’র ভাগ্নী কেট ম্যাকার্থি’র সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন রোডস। পরবর্তীতে অবশ্য এ দম্পতির মধ্যকার বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। ২৪ এপ্রিল, ২০১৩ তারিখে সাড়ে তিন বছর পৃথকভাবে বসবাসের পর বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়।

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение