Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
জীবক কুমারভচ্চ
জীবক কুমার ভক্ক | |
---|---|
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | রাজগৃহ, মগধ |
মৃত্যু | রাজগৃহ, মগধ |
জাতীয়তা | মগধ |
জীবিকা | চিকিৎসক, বৈদ্য |
ধর্ম | বৌদ্ধ |
জীবক কুমার ভক্ক খ্রিস্টপূর্ব ৫৪০ সনে মগধের রাজধানী রাজগৃহ নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। রাজগৃহের বর্তমান নাম রাজগির। জীবক কুমার ভক্ক মগধ নরেশ বিম্বিসার ও অজাতশত্রুর সমসাময়িক ছিলেন। তিনি রাজ মগধ নরেশ বিম্বিসার, কৌশাম্বী নরেশ চণ্ড প্রদ্যোৎ, মগধের নাগরীকবৃন্দ এবং বুদ্ধ ও অন্যান্য ভিক্ষুদের চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই সময় তিনি ধীরে ধীরে বুদ্ধ ও তাঁর ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে বুদ্ধের উপাসক হন। পালি শাস্ত্র বা ত্রিপিটকে তার নাম ও চিকিৎসক হিসাবে খ্যাতির কথা উল্লেখ আছে। রাজগৃহ নগরীতে তার আম্রবন তিনি বুদ্ধ ও ভিক্ষু সংঘকে দান করেছিলেন যা পালি শাস্ত্রে জীবক অম্ববন নামে উল্লিখিত হয়েছে। রাজগৃহের আম্রবন, যা জেতবন নামে পরিচিত হয়েছিল, সেখানেই ছিল জীবকের নিবাস। জীবকের মাতা ছিলেন সলাবতী নাম্নী গণিকা যিনি জন্মের পরই তাকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে আসেন। মহারাজ বিম্বিসারের পুত্র অভয় কুমার তাকে কুড়িয়ে পান এবং নিজের প্রাসাদে নিয়ে লালন পালন করেন। তিনিই নামকরণ করেন- 'জীবন কুমার ভক্ক'। নামের তাৎপর্য হল- মৃত্যুর মুখ থেকে জীবন ফিরে পেয়েছে বলে 'জীবক', আর রাজকুমার কর্তৃক প্রতিপালিত বলে 'কুমার ভক্ক'।
জীবনী
মহারাজ বিম্বিসারের পুত্র অভয় কুমার বনের মধ্যে এক পরিত্যাক্ত সদ্যোজাত শিশুকে কুড়িয়ে পেয়ে তাকে পরম যত্নে নিজ প্রাসাদে এনে লালন পালন করেন। মৃত্যুর জন্য পরিত্যক্ত হয়েও নবজাতক জীবিত রয়েছে, তাই তার নাম দেন জীবক। তিনি শিশুর লালন পালনের সাথে সাথে তাকে নানান শাস্ত্র ও শিক্ষায় পারদর্শী করে তোলেন। মগধের পাঠ শেষ হলে অভয় কুমার জীবককে উচ্চশিক্ষার জন্য তক্ষশীলা পাঠান। তক্ষশিলাতে বিশ্ব বিখ্যাত আয়ুর্বেদ আচার্যের কাছে জীবক আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তার শিক্ষা প্রায় সমাপ্ত হলে আচার্য তাকে তক্ষশিলাকে কেন্দ্র করে এক যোজন দূরত্ব থেকে এমন একটি উদ্ভিদ সংগ্রহ করে আনতে বলেন যার মধ্যে কোন ঔষধী গুণ নেই। জীবক সারাদিন বাদে ফিরে এসে আচার্য্যকে জানালেন যে তিনি এমন কোন উদ্ভিদ দেখেননি যার কোন প্রকার ঔষধী গুণ নেই। আচার্য অত্যন্ত প্রীত হয়ে বললেন যে জীবকের শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। তিনি তাঁকে স্নাতক উপাধি ও প্রমাণপত্রের সাথে কিছু অর্থ দিয়ে মগধে ফিরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে চিকিৎসা শাস্ত্র চর্চা করার নির্দেশ দেন।