জুবাইদা তারিক
জুবাইদা তারিক | |
|---|---|
| জন্ম |
(১৯৪৫-০৪-০৪)৪ এপ্রিল ১৯৪৫ |
| মৃত্যু | ৪ জানুয়ারি ২০১৮(2018-01-04) (বয়স ৭২) |
| মৃত্যুর কারণ | হৃদযন্ত্রের সমস্যা পারকিনসন রোগ |
| সমাধি | করাচী |
| অন্যান্য নাম | জুবাইদা আপা জুবাইদা তারিক ইলিয়াস |
| পেশা | শেফ, রান্না বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য পরামর্শদাতা |
| কর্মজীবন | ১৯৪৫–২০১৮ |
| দাম্পত্য সঙ্গী | তারিখ মাসুদ (বি. ১৯৬৬) |
| সন্তান | শাহা তারিক (কন্যা) হুসেন তারিক (ছেলে) সাবা হুসেন (পুত্রবধূ) |
| আত্মীয় |
বাহাদুর ইয়ার জং (চাচা) আনোয়ার মকসুদ (ভাই) ফাতেমা সুরাইয়া বাজিয়া (বোন) জেহরা নিগাহ (বোন) বিলাল মকসুদ (ভাগ্নে) |
জুবাইদা তারিক ইলিয়াস ( উর্দু: زبیدہ طارق الیاس ; ৪ এপ্রিল ১৯৪৫ - ৪ জানুয়ারী ২০১৮), সাধারণত জুবাইদা আপা নামেও পরিচিত, তিনি ছিলেন একজন ভারতীয়-পাকিস্তানি শেফ, ভেষজ এবং রান্নারপ্রণালীর বিশেষজ্ঞ। তিনি পাকিস্তানের প্রথম সেলেব্রিটি কুক, তিনি অসংখ্য টিভি শোতে উপস্থিত হয়েছিলেন, এবং টোটকাসের জন্য (গৃহকর্মী পরামর্শের জন্য) পরিচিত ছিলেন।
পেশা
তারিক প্রথমে রান্না শুরু করেছিলেন যখন তিনি এবং তার স্বামী তাদের বাড়িতে ডিনার পার্টির আয়োজন করেছিলেন, এবং এই পার্টির মধ্যে একটিতে তাকে একজন রান্না দক্ষতা দেখে মুগ্ধ অতিথির দ্বারা খাবার উপদেষ্টা পরিষেবাতে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ১৯৯০-এর দশকে তারিক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন, যখন তিনি রান্না শো দালদা কা দস্তরখানের অংশীদার হয়েছিলেন ।
তিনি তার নিজের রান্নার অনুষ্ঠান হান্দিতে হাম মশালায় অভিনয় করেছিলেন এবং অন্য বেশ কয়েকটি টিভি শোতে অতিথি হিসাবে উপস্থিত হন। তারিক এআরওয়াই ডিজিটাল, সাজিদ হুসেন, নাদিয়া, কিরণ, এফএম ১০৭, কিচেন ম্যাজিক এবং আজ কে ভাও-এর সাথে কাজ করেছেন এবং তার আয়োজন নিয়ে হাজির হয়েছেন। তারিক তার ঘরোয়া প্রতিকার বা টোটাকাসের জন্যও সুপরিচিত ছিল এবং ছেলে হুসেন তারিকের সাথে একটি রেস্তোঁরা চালাতেন।
ব্যক্তিগত জীবন
জুবাইদা তারিক ১৯৪৫ সালের ৪ এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের হায়দ্রাবাদ ডেকানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পরিবার ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানে পাড়ি জমান। তারা করাচি, পিআইবি কলোনীতে স্থায়ী হন। যেখানে তিনি তার পাঁচটি বড় বোন এবং চার ভাইয়ের সাথে থাকতেন। ১৯৫৩ সালে, তার বাবা মারা যান। বাবার মৃত্যুর পরে তার তিন বোন বাড়ি চালানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ১৯৬৬ সালে জুবাইদা তার প্রথম চাচাত ভাই তারিক মকসূদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি সন্তান ছিল। তিনি দীর্ঘ অসুস্থতার পরে ৪ জানুয়ারী ২০১৮ এ ৭২ বছর বয়সে মারা যান। মৃত্যুর বিষয়টি তার ভাই আনোয়ার মকসুদ তার টুইটার হ্যান্ডেলে নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবারের নামাজের পরের পরদিন নগরীর ডিফেন্সের সুলতান মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবার
মূলত ব্রিটিশ ভারতের হায়দরাবাদ থেকে আসা এবং করাচিতে স্থায়ী হয়ে যুবাইদা একজন বিশিষ্ট উর্দু- বুদ্ধিজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যা লেখক, বুদ্ধিজীবী এবং শিল্পী তৈরির জন্য পরিচিত। তাঁর মাতামহ-মামা ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের একজন মুসলিম জাতীয়তাবাদী বাহাদুর ইয়ার জং ।
তাঁর আরও দশ ভাইবোন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বোন ফাতিমা সুরাইয়া বাজিয়া (একজন উর্দু উপন্যাসিক ও নাট্যকার) এবং জেহরা নিগাহ (একজন উর্দু কবি) এবং এক ভাই আনোয়ার মকসুদ (কবি, কৌতুকবিদ, লেখক এবং বিনোদনকারী)। ভাগ্নে বিলাল মকসুদ (আনোয়ারের ছেলে) পপ রক ব্যান্ড " স্ট্রিংস " এর কণ্ঠশিল্পী এবং গিটারিস্ট।
চিকিৎসা স্বাস্থ্য
জুবাইদা তারিক পার্কিনসন রোগ নির্ণয় করেছিলেন, যা তার জীবনের অনেক অংশে প্রভাব ফেলেছিল। হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে তিনি ৭২ বছর বয়সে ৪ জানুয়ারী ২০১৮ এ মারা যান।