Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

জৈব সার

Подписчиков: 0, рейтинг: 0

জৈব সার হল একধরনের কার্বন (C) সমৃদ্ধ সার যা প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন হয়।সার হল এমন উপাদান যা মাটি ও উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহ ও বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য প্রয়োগ করা হয়। জৈব সারের মধ্যে রয়েছে খনিজ উৎস, সকল প্রাণীর বজ্য, তরল কম্পোস্ট, গুয়ানো, উদ্ভিদ নির্ভর সার যেমন: কম্পোস্ট, বায়োসলিড। এছাড়াও অন্যান্য অজৈব ও অরাসায়নিক সার রয়েছে যা জৈব কৃষির মূলনীতি মেনে চলে, যা বাণিজ্যিক জৈব কৃষিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

জৈব সার হচ্ছে যেসব সার কোন জীবের দেহ থেকে প্রাপ্ত হয় অর্থাৎ উদ্ভিদ বা প্রাণির ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া যায়। যেমন: গোবর সার, সবুজ সার, খৈল ইত্যাদি। গাছের প্রায় সব খাদ্য উপাদানই জৈব সারে থাকে।

একটি সিমেন্টের জলাধার যেখানে গরুর সার পানিতে মিশ্রিত। এটি চীনের এর হাইনান প্রদেশের গ্রামীণ এলাকায় খুব পরিচিত। একটি লাঠির উপর বালতিটি লক্ষ্য করুন যা কৃষক মিশ্রণটি জমিতে প্রয়োগ করতে ব্যবহার করে।
মাটিতে চুন ছিটানো
হাড়ের গুঁড়া ও মাংসের গুঁড়া ব্যবহার করা যেতে পারে গাছের শিকড় বৃদ্ধি ও ফসফরাসের ঘাটতি মেটানোর জন্য।

উদাহরণ এবং উৎস

প্রধান জৈবসার গুলো সার হল পীট, প্রাণিজ উৎস এবং কৃষিকার্য কাছ থেকে প্রাপ্ত উদ্ভিদ বজ্য এবং পরিশোধিত নর্দমার কাঁদা।

খনিজ পদার্থ

খনিজ দ্রব্য খনি থেকে আহরিত অথবা প্রাণীর জীবাশ্ম পণ্য যেমন :সবুজ বালি (অজৈব সামুদ্রিক পলির স্তর), কিছু চুনাপাথর (জীবাশ্মের আস্তরন) এবং ফসফেট শিলা । চুনাপাথর বা চুন যোগ করা পি.এইচ মান বৃদ্ধির একটি উপায় মাটির পি.এইচ (pH) বৃদ্ধির মাধ্যমে মাটিস্থ অণুজীব উজ্জিবীত হয়, যার ফলে জৈবিক ক্রিয়া বৃদ্ধি পায়, যা মাটির মধ্য দিয়ে পুষ্টিকে আরও অবাধে প্রবাহিত করতে সাহায্য করে। পুষ্টি উপাদানগুলো সহজে চলাচল করতে পারলে উদ্ভিদের পক্ষে তা গ্রহণ করা সহজ হয় ফলে উদ্ভিদ সবল ও স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে। যদি মাটিতে ইতোমধ্যেই পি.এইচের মান সুষম থাকে তবে মাটিতে চুন দেয়া অনর্থক হবে।

প্রাণীজ উৎস

প্রাণীজ উপকরণের মধ্যে পশুর সার এবং পশু জবাইয়ের অবশিষ্টাংশ উভয়ই অন্তর্ভুক্ত।দুধ উৎপাদনকারী দুগ্ধজাত প্রাণী, ডিম উৎপাদনকারী হাঁস-মুরগি এবং মাংসচর্ম উৎপাদনের জন্য বা খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য প্রতিপালিত প্রাণী থেকে জৈব সার(গোবর) পাওয়া যায়। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গবাদি পশুর সারের প্রচুর উৎস আছে যার পরিমাণ প্রতি বছরে প্রায় দুই বিলিয়ন টন পর্যন্ত পৌঁছায়, এবং একটি মুরগির প্রতি ছয় মাসে এক ঘনফুট সার উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। মাটিতে এসকল সার যোগ করার মাধ্যমে ফসলে নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সালফার, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যোগ হয়। জৈব উপাদান মাটিতে পানি চলাচল বৃদ্ধির মাধ্যমে মাটির স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে, এটি মাটিতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া যোগ করে এবং সেই সাথে ভূমিক্ষয়ের প্রভাব কমাতে পারে। কোন সারকে জৈব হিসাবে বিবেচনা করার জন্য এটি অবশ্যই জৈব পশুসম্পদ বা প্রত্যয়িত জৈব সার উৎপাদকের কাছ থেকে আসতে হবে। জৈব সার পাওয়া না গেলে, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রাণীদের ঘোরাঘুরি করার অন্য কোন জায়গা থাকে যাতে প্রাণীদের অন্ধকারে আবদ্ধ করে না রাখা হয়, এবং চাষীরা জেনেটিকালি পরিবর্তিত ফিড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের অজৈব সার ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়। তাজা সার অর্থাৎ যে সার এখনো ভালোভাবে পচেঁ নি সেই সার উদ্ভিদে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে কারণ এতে অ্যামোনিয়া খুব বেশি হতে পারে বা পশুর অন্ত্র থেকে প্রাপ্ত উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এটি উদ্ভিদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে কারণ অ্যামোনিয়া শিকড়কে পুড়িয়ে ফেলতে পারে এবং প্রাণীর অন্ত্র থেকে উৎপন্ন জীবাণু মাটিতে থাকা উপকারী অণুজীবের ক্ষতি করতে পারে অথবা তাদের মেরে ফেলতে পারে। যেমন: ই.কোলি এবং স্যালমোনেলার ​​মতো ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করতে পারে। তাজা সারে আগাছা জন্মানোর ঝুঁকিও রয়েছে, কারণ ঘাসের বীজ প্রাণীর অন্ত্রের মধ্য থাকতে পারে বা গবাদি পশুর বিছানায় বীজ থাকতে পারে, যা প্রায়ই সারের সাথে মিশ্রিত হয়। অতএব, সার কম্পোস্ট করা তথা পচিয়ে ফেলা প্রয়োজন যাতে যেকোনো বীজ বা রোগজীবাণুকে মরে যায় এবং অ্যামোনিয়ার পরিমাণ কমে যায়।

একটি বড় বাণিজ্যিক কম্পোস্ট তৈরির কারখানা

মুরগির মল এবং বিছানায় মুরগির যে আবর্জনা থাকে, সেটা একধরনের জৈব সার যা কৃত্রিম সারের চেয়ে অনেক উচ্চতর সার। এটিতে অন্যান্য সারের অনুরূপ খনিজ উপাদান যেমন কপার, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, বোরন এবং ক্লোরাইড রয়েছে। প্রাপ্ত মুরগির আবর্জনার ধরনের উপর নির্ভর করে এতে পাখির অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে। এই ধরনের মুরগির আবর্জনা ফসলে ছড়ানো উচিত নয় কারণ ক্ষয়প্রাপ্ত পাখির মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ বটুলিজমের কারণে পশু চরাতে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ঘোড়ার গোবরে কার্বননাইট্রোজেনের পরিমাণ যথাযথ অনুপাতে(৩০:১) থাকে এবং এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মাটি শোধক। যাইহোক ঔ জৈব উৎসগুলো সংকটপূর্ণ হতে পারে। কারণ পিকোলিনিক এসিড গোত্রের আগাছানাশক যেমন:অ্যামিনোপাইরালিড, ক্লোপাইরালিড, এবং পাইক্লোরাম (যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে "মাইলস্টোন" এবং "গ্রাজন" নামে বাজারজাত করা হয়-) এগুলো খাবারের সাথে ঘোড়ার পরিপাকনালির মধ্য দিয়ে যেতে পারে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য সার এবং কম্পোস্টের স্তূপে ইহা অপরিবর্তিত থাকে। এই রাসায়নিক উপাদানগুলি সাধারণত আলু, টমেটো এবং মটরশুটির ফলনকে প্রভাবিত করে, যার ফলে গাছগুলি বিকৃত ও দুর্বল হয় এবং ফলন কম হয়।এছাড়াও,আইভারমেকটিনের মতো ঘোড়ার কৃমিনাশক ৪৫ দিন পর্যন্ত মাটির উপকারী পোকামাকড় এবং অণুজীবগুলোর জন্য ক্ষতিকর। দূষিত কম্পোস্ট শুধু গাছপালা এবং উপকারী জীবকে হত্যা করে না, বরং কৃষকদের আর্থিক সমস্যার সৃষ্টি করে।

বাদুড়ের গুয়ানো(বিষ্ঠা) হাজার হাজার বছর ধরে সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, বিশেষ করে ইনকাদের দ্বারা; যারা বাদুড় এবং তাদের গুয়ানোকে এত মূল্যবান বলে মনে করে যে একটি বাদুড়কে হত্যার শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ডবাদুড়ের গুয়ানোতে কার্বন, নাইট্রোজেন, সালফার এবং ফসফরাসের মতো উপাদান বেশি থাকে। গুয়ানোতে প্রায় ১০% নাইট্রোজেন থাকে, যা উদ্ভিদকে স্বাস্থ্যবান, প্রাণবন্ত ও সবুজ রাখতে সাহায্য করে এবং গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। বাড়ির ভিতরে এবং বাইরে, বড় বাগান কিংবা ছোট গাছপালায় কারখানাজাত সারের তুলনায় গুয়ানো ব্যবহার করা উত্তম ও নিরাপদ। কারণ ইহা মাটি থেকে সহজে পরিস্রুত হয় না বরং অবশিষ্ট থাকে এবং ধীরে ধীরে গাছপালাকে পুষ্টি যোগায় এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। গুয়ানো বায়োরিমিডিয়েশন (bioremediation) জীবাণুতেও সমৃদ্ধ যা মাটি থেকে অপকারী টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যে বিষাক্ত উপাদানগুলোর কারণে গাছের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে এবং গাছের স্বাস্থের ক্ষতি করতে পারে।

মানুষ এবং পশুদের মূত্র, একটি সার। মূত্রে বিদ্যমান ইউরিয়া একটি নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ একটি যৌগ। মূত্রে ফসফরাস এবং পটাসিয়ামও রয়েছে। মানুষের মূত্রে সাধারণত পটাসিয়ামের ৩ গুণ বেশি এবং ফসফরাসের চেয়ে ২০ গুণ বেশি নাইট্রোজেন থাকে।মানুষের মূত্রে পটাসিয়ামের পরিমাণ পরিবর্তনশীল। কারণ ইহা ব্যক্তির খাদ্যে পটাসিয়ামের পরিমাণের উপর নির্ভরশীল। মূত্র বর্তমানে কোনো বাণিজ্যিক কৃষি কার্যক্রমে ব্যবহার করার অনুমতি নেই। যাইহোক, চলমান গবেষণায় দেখা গেছে যে,১২-১৬ মাসের জন্য বদ্ধ পাত্রে সংরক্ষিত মূত্র ৯৯% ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে। কারণ ঐ মূত্রে ইউরিয়ার পরিমাণ এবং পি.এইচ বৃদ্ধি পায়।

পশুর উপজাত যখন কোনো প্রাণীকে হত্যা/জবেহ করা হয়, তখন পশুর মাত্র ৪০% থেকে ৬০% উপকারী অংশ, বাকি ৪০% থেকে ৬০% উপজাত হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।মৃত প্রাণীর এই উপজাতগুলি বেশিরভাগই খাবার অযোগ্য সেগুলো হলো- রক্ত, হাড়, পালক, চামড়া, খুর, শিং, ইত্যাদি। এগুলো পরিশুদ্ধ করে রক্তের গুঁড়া, হাড়ের গুঁড়া, মাছের গুঁড়া এবং শিং কুচি হিসেবে কৃষিকাজে সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

জৈব সার উৎপাদনের জন্য ছোট আকারের কম্পোস্ট তৈরীর বিন (পাত্র)

উদ্ভিদ

প্রক্রিয়াজাত উদ্ভিজ্জ জৈব সারের মধ্যে রয়েছে কম্পোস্ট, হিউমিক অ্যাসিড, শস্যদানার গুঁড়া, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং সামুদ্রিক শৈবালের নির্যাস। আরেকটা উদাহরণ হল প্রাকৃতিক এনজাইম দ্বারা সরলীকৃত প্রোটিন। পূর্ববর্তী বছরে উৎপাদিত ফসলের পচে যাওয়া অবশিষ্টাংশ তথা সবুজ সার জৈব সারের আরেকটা উৎস।

কম্পোস্ট উদ্ভিদে সামান্য পুষ্টিই সরবরাহ করে, তবে এটি জৈব পদার্থ বৃদ্ধির মাধ্যমে মাটির স্থিতিশীলতা প্রদান করে এবং উর্বরতা ধরে রাখে। কম্পোস্ট অণুজীবগুলিকে প্রচুর পরিমাণে বংশবৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার ফলস্বরূপ অণুজীবগুলো মাটিতে বিদ্যমান উদ্ভিদ অবশিষ্টাংশকে বিশ্লেষিত ও সরল করে উদ্ভিদের সহজে আত্তীকরণের জন্য জৈব পুষ্টিতে রূপান্তরিত করে।

ভুট্টার আটা, আলফালফা, তুলার বীজ বা সয়াবিন দিয়ে 'শস্যদানার গুঁড়া' তৈরি করা যেতে পারে। বেশিরভাগ শস্যদানার গুঁড়া নাইট্রোজেন এবং পটাসিয়াম সরবরাহ করে, তবে সয়াবিনের গুঁড়া নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস সরবরাহ করে। বীজ রোপণের সময় বা চারা অবস্থায় এটা ব্যবহার করলে মাটির মধ্যে অ্যামোনিয়া বৃদ্ধি হতে পারে এবং বীজ নষ্ট করে ফেলতে পারে। তাই ফসলের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য উদ্ভিদের পরিপূর্ণ বিকাশের পরে এগুলি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি গবেষণা সেবা (সংস্থা) ARS এর গবেষণায় দেখা গেছে যে কৃষিক্ষেত্রে শেওলা কে ব্যবহার করা হয় নাইট্রোজেন এবং ফসফরাস মাটিতে ধরে রাখার জন্য,যাতে পানিতে ধুয়ে না যায়‌ তবে এটি জৈব সার হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি গবেষণা সেবা এর বিজ্ঞানীরা মূলত "অ্যালগাল(শৈবাল সমৃদ্ধ) টার্ফ স্ক্রাবার"(এটা হল একটি অভিনব প্রযুক্তি যা পানি নিষ্কাশন করে) তৈরি করেছিলেন যাতে পানিতে পুষ্টির স্রোত কমানো যায় এবং ঝরনা, নদী এবং হ্রদের প্রবাহিত পানির গুণমান বৃদ্ধি পায়। তারা দেখেছে যে এই পুষ্টি সমৃদ্ধ শেওলা শুকিয়ে গেলে শসা এবং ভুট্টার চারাগুলিতে প্রয়োগ করা যেতে পারে এবং এটা প্রয়োগের ফলে কৃত্রিম সারের সমতুল্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায় ।

পীট

পীট হল আংশিক বিযোজিত (পচনশীল) উদ্ভিদ উপাদান। এটি জৈব পদার্থের একটি উৎস। উচ্চমাত্রায় জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ মাটি শক্ত, দৃঢ় বা নিচ্ছিন্দ্র হওয়ার সম্ভাবনা কম। পীট মাটির বায়ু চলাচল এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতি করে, সেইসাথে মাটিস্থ অণুজীব গুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এটি কখনও কখনও সর্বাধিক ব্যবহৃত জৈব সার হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং এটি আয়তনের দিক থেকে শীর্ষ মাটির জৈব শোধক (মাটির গুনগত মান উন্নয়নকারী)।

মানব বজ্য

এটি বায়োসলিড নামেও পরিচিত। এটি এমন এক ধরনের বর্জ্য যা জৈবিকভাবে গাছের জন্য নিরাপদ বলে বিবেচিত না হওয়া পর্যন্ত শোধন করা হয়েছে, মিশ্রিত করা হয়েছে, কম্পোস্ট করা হয়েছে এবং কখনও কখনও শুকানো হয়েছে। সার হিসাবে এটি সাধারণত কৃষির সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ক্ষেত্রে যেমন সিলভিকালচার বা মাটি শোধনে ব্যবহৃত হয়। কৃষি উৎপাদনে বায়োসোলিডের ব্যবহার কম। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (USDA) এর জাতীয় জৈব প্রোগ্রাম (NOP) রায় দিয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জৈব খাদ্য উৎপাদনে তথা কৃষিক্ষেত্রে বায়োসলিড ব্যবহারের অনুমতি নেই। বিষাক্ত ধাতু জমে থাকা, ঔষধের অবশিষ্টাংশ, হরমোন এবং অন্যান্য কারণের কারণে বায়োসলিড অগ্রহণযোগ্য।

টয়লেট এবং নর্দমার কালো মাটি একটি ঐতিহ্যগত জৈব সার যা খুব কমই প্রক্রিয়াজাত করা হয়।

প্রাণীর পচনশীল গোবর যা জৈব সারের একটি উৎস

কৃষিতে প্রয়োগ

অজৈব চাষে, কৃত্রিম এবং জৈব সার ব্যবহারের মধ্যে সামঞ্জস্য রয়েছে, অজৈব সার সহজেই পাওয়া যায় তাই সাধারণত রাসায়নিক সার কৃষি ক্ষেত্রে অধিক ব্যবহৃত হয়। রাসায়নিক সারের সম্পূরক হিসেবে জৈব সার যেমন ফসলের অবশিষ্টাংশ বা গোবর সার প্রয়োগ করা হয়।

বায়ুমণ্ডল থেকে নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণের মাধ্যমে মাটিকে সবুজ সার এবং ফসফরাস (পুষ্টি সংগ্রহের মাধ্যমে) সমৃদ্ধ করার জন্য আবরণ ফসল উৎপাদন করা হয়।

সার বৃক্ষ মাটির গভীরতা থেকে পুষ্টি উপাদান এনে জৈব চাষে সহায়তা করে এবং পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বায়ুমণ্ডল থেকে নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণের মাধ্যমে মাটিকে সবুজ সার এবং ফসফরাস (পুষ্টি সংগ্রহের মাধ্যমে) সমৃদ্ধ করার জন্য লিগুমিনাস আবরণ ফসল উৎপাদন করা হয়।

তুলনা

পুষ্টি উপাদানের ঘনত্ব

সাধারণভাবে, জৈব সারের পুষ্টিগুণ বেশি মিশ্রিত থাকে।যা উদ্ভিদের জন্য খুব কম সহজলভ্য। তবে এটি অদ্রবণীয় নাইট্রোজেন ধারণকারী ধীর-নিঃসরণীয় সার হিসাবে পছন্দনীয় হতে পারে। জৈব সারের স্বভাব হলো, জৈব সার মাটিতে ভৌত এবং জৈবিক পুষ্টি সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়ায়, অতিরিক্ত সারপ্রয়োগের দ্বারা সংঘটিত ঝুঁকি হ্রাস করে। জৈব সারের পুষ্টি উপাদান, দ্রবণীয়তা এবং পুষ্টি উপাদান নিঃসরণের হার সাধারণত খনিজ সারের তুলনায় অনেক কম। নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে মাটিতে সম্ভাব্য খনিজযোগ্য নাইট্রোজেন (PMN) কৃত্রিম নিয়ন্ত্রণের তুলনায় জৈব মালচড সিস্টেমে ১৮২-২৮৫% বেশি।

অতিরিক্ত সার প্রয়োগ জনিত পাতা পুড়ে যাওয়ার ঝুঁকিযুক্ত কিছু 'দ্রুত-নিঃসরণীয়' জৈব সার রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অকম্পোস্টকৃত পশুর সার, মাছের নির্যাস, রক্তগুড়া(ব্লাডমিল) এবং প্রস্রাব। কম্পোস্ট প্রক্রিয়া এই উৎসগুলোর নাইট্রোজেনকে আরও স্থিতিশীল করে (কিছু অপচয় সহ)।

মাটির জীববিজ্ঞান

জৈব সার জীববৈচিত্র্য এবং মাটির দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদনক্ষমতা উন্নত করতে পারে এবং অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ধারণ করতে পারে।

জৈব পুষ্টি সমূহ, জৈব পদার্থ এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সরবরাহের মাধ্যমে মাটিস্থ অণুজীবগুলোর (যেমন: মাইকোরাইজা ছত্রাক) কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর মাইকোরাইজা ছত্রাক উদ্ভিদকে পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে। জৈব পুষ্টি কীটনাশক, শক্তি এবং সারের খরচ অতিমাত্রায় হ্রাস করতে পারে।

সামঞ্জস্যতা

কম্পোস্ট এবং অন্যান্য উৎস থেকে জৈব সারগুলির পুষ্টি উপাদান এক চালান থেকে অন্য চালানে বেশ পরিবর্তন হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট চালান (ব্যাচ) পরীক্ষা ছাড়া, প্রয়োগকৃত পুষ্টির পরিমাণ সঠিকভাবে জানা যাবে না। তবুও, এক বা একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, জৈব সার দীর্ঘ সময়ব্যাপী ব্যবহার করা হলে ইহা রাসায়নিক সারের মতো কার্যকর।

আরো দেখুন

আরো দেখুন

টীকা

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение