Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
ট্রাকোমা
ট্রাকোমা | |
---|---|
বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ, ophthalmologist |
ট্রাকোমা, গ্রানুলার কনজাংকটিভাইটিস, ইজিপসিয়ান ওপথামিয়া, এবং ব্লাইন্ডিং ট্রাকোমা হিসাবেও পরিচিত, যা ব্যাকটেরিয়া ক্লেমেডিয়া ট্রাকোমেটিস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ। এর সংক্রমণে নেত্রপল্লবের ভিতরের পৃষ্ঠ অমসৃণ হয়। এই অমসৃণতা চোখে ব্যথা, চোখের বর্হিপৃষ্ঠে অথবা কর্ণিয়ায় ভাঙ্গন সৃষ্টি করতে পারে এবং অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
কারণ
যে ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ সৃষ্টি হয় তা আক্রান্ত ব্যক্তির চোখ অথবা নাক হতে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ সংস্পর্শে ছড়াতে পারে। পরোক্ষ সংস্পর্শের মধ্যে আছে পোশাক অথবা মাছি যা আক্রান্ত ব্যক্তির চোখ অথবা নাকের সংস্পর্শে আসে। নেত্রপল্লবে গুরুতর ক্ষত তৈরি হয়ে চোখের পাঁপড়ি চোখে ঘষা লাগতে শুরু করার পূর্বে অনেক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে সাধারণত বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। শিশুরা সাধারণ বয়স্কদের চেয়ে বেশি এই রোগ ছড়ায়। নিম্নমানের পয়নিষ্কাশন, জনাকীর্ণ আবাস্থল, অপর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি এবং শৌচাগারও এই রোগ ছড়ায়।
প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা
বিশুদ্ধ পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি এবং অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসা করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এর মধ্যে আছে, একসাথে সকলকে, যে সকল গ্রুপের মধ্যে এই রোগের সম্ভাবনা বেশি তাদের চিকিৎসা করে। কেবল ধৌতকরণ এই রোগ প্রতিরোধে যথেষ্ট নয় কিন্তু অন্যান্য পদক্ষেপের সাথে কার্যকরী হতে পারে। চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে আছে মুখে সেবনযোগ্য অ্যাজিথ্রোমাইসিন অথবা ত্বকে ব্যবহার্য টেট্রাসাইক্লিন। মুখে কেবল একবার সেবনের সুবিধা থাকায় অ্যাজিথ্রোমাইসিন অধিকতর পছন্দনীয়। নেত্রপল্লবে ক্ষত তৈরি হবার পর চোখের পাতার অবস্থান ঠিক করতে এবং অন্ধত্ব রোধে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
মহামারী সংক্রান্ত বিদ্যা
বিশ্বজুড়ে, প্রায় ৮০ মিলিয়ন মানুষের সক্রিয় সংক্রমণ আছে। অনেক এলাকায় ৬০-৯০% শিশুদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ থাকতে পারে এবং পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের এই রোগের সংক্রমণ বেশি কারণ তারা শিশুদের সংস্পর্শে বেশি আসে। এই রোগ ২.২ মিলিয়ন মানুষের কম দৃষ্টিশক্তির কারণ যাদের ১.২ মিলিয়ন সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যায়। এই রোগটি সাধারণত আফ্রিকার ৫৩টি দেশ, এশিয়া এবং মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকায় ২৩০ মিলিয়ন মানুষকে ঝুঁকিতে রাখে। এটি বছরে ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি সাধন করে। এটি অবহেলিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় রোগ নামে পরিচিত গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।