দীপিকা পাড়ুকোন
দীপিকা পাড়ুকোন | |
|---|---|
ದೀಪಿಕಾ ಪಡುಕೋಣೆ | |
|
দীপিকা পাড়ুকোন ২০১৯ সালের কান ফিল্ম উৎসবে
| |
| জন্ম |
(1986-01-05) জানুয়ারি ৫, ১৯৮৬
কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
|
| জাতীয়তা | ভারতীয় |
| নাগরিকত্ব |
|
| শিক্ষা | সোসিয়োলজি |
| মাতৃশিক্ষায়তন |
সোফিয়া হাইস্কুল মাউন্ট কার্মল কলেজ ইন্দিরা গান্ধী রাষ্ট্রীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় |
| পেশা | |
| কর্মজীবন | ২০০৫–বর্তমান |
উল্লেখযোগ্য কর্ম |
পিকু, রাম-লীলা,বাজিরাও মাস্তানি,পদ্মাবত |
| দাম্পত্য সঙ্গী | রণবীর সিং (বি. ২০১৮) |
| পিতা-মাতা |
|
| ওয়েবসাইট | deepikapadukone.com |
দীপিকা পাড়ুকোন (উচ্চারিত [d̪iːpɪkaː pəɖʊkoːɳ] (কোঙ্কণী: ದೀಪಿಕಾ ಪಡುಕೋಣೆ; জন্ম ৫ জানুয়ারি ১৯৮৬) একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও মডেল। সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহণকারী ভারতীয় তারকাদের একজন হিসেবে, তিনি বলিউড চলচ্চিত্রে তার কর্মজীবন প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি দুইটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি হিন্দি, তামিল ও কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
পাড়ুকোন, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় প্রকাশ পাড়ুকোনের মেয়ে, কোপেনহেগেনে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেঙ্গালুরুতে বেড়ে উঠেন। একজন তরুণী হিসেবে তিনি জাতীয় পর্যায়ে ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশীপে অংশগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু ফ্যাশন মডেল হওয়ার জন্য তিনি খেলোয়াড় পেশার ইতি টানেন। তিনি শীঘ্রই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব পান, এবং ঐশ্বরিয়া কন্নড চলচ্চিত্রে নামমাত্র চরিত্রে ২০০৬ সালে প্রথম অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে তার প্রথম বলিউড ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ওম শান্তি ওম মুক্তি পায় যেখানে তিনি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ নারী অভিষেক পুরস্কার লাভ করেন। পাড়ুকোন প্রণয়ধর্মী লাভ আজ কাল (২০০৯) এবং নাট্যধর্মী লাফাঙ্গে পারিন্দে (২০১০) চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য প্রশংসা লাভ করেন। তবে তার প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক বচনা অ্যায় হাসিনো (২০০৮) এবং হাস্যরসাত্মক হাউসফুল (২০১০) চলচ্চিত্রে তার অভিনয় নেতিবাচক মন্তব্য লাভ করে।
২০১২ সালের বক্স অফিস হিট ককটেল পাড়ুকোনের কর্মজীবনের সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়, যা তাকে সমালোচকদের কর্তৃক প্রশংসা অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন পুরস্কার সমারোহ অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য মনোনয়ন এনে দেয়। তিনি হাস্যরসাত্মক ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি (২০১৩), চেন্নাই এক্সপ্রেস (২০১৩) এবং হ্যাপি নিউ ইয়ার (২০১৪) চলচ্চিত্রে সাফল্যের সাথে অভিনয় করেন যা সর্বোচ্চ-আয়কারী বলিউড চলচ্চিত্রের তালিকায় স্থান নেয়। তিনি বিয়োগান্ত গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা (২০১৩) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা লাভ করেন, এবং ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে, তার হাস্যরসাত্মক-নাট্য চলচ্চিত্র পিকু মুক্তি পায়, একই সালের ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিপ্রাপ্ত ঐতিহাসিক ছবি বাজীরাও মস্তানীতে তিনি মস্তানি চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
দীপিকার ব্যক্তিজীবন সবসময়-ই আলোচনায় ছিল। তার কর্মজীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় কেটেছে রনবীর কাপুরের সাথে প্রেমে।বাচনা অ্যায় হাসিনো (২০০৮) ছবিতে কাজ করার সময় থেকে তিনি তার সহশিল্পী রণবীর কাপুরের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। তিনি প্রকাশ্যে তাদের সম্পর্কের কথা বলেন এবং তার ঘাড়ে রণবীরের নামের আদ্যক্ষর চিহ্নিত একটি ট্যাটু আঁকিয়ে নেন। তার ভাষ্যমতে এই সম্পর্ক তার জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল এবং তিনি আরও আত্মবিশ্বাসী ও সামাজিক হয়ে ওঠেন। পরের বছর তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় এবং তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানান তার সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছিল। ২০১০ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি কাপুরের বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ আনেন এবং কাপুর নিজেও তা স্বীকার করেন। এছাড়াও ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, আই.পি.এল এর দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এর কর্ণধারের পুত্র সিদ্ধার্থ মালয় এর সাথেও তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেছে। ২০১৭ সালে তিনি রণবীর সিং-এর সাথে তার সম্পর্কের কথা জানান। সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর "গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা" ছবির সেটে তাদের পরিচয় ও প্রেমের শুরু হয়েছিল। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তারা ইতালির লেক কোমোতে কঙ্কানি ও সিন্ধি রীতিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
দীপিকা নারীর অধিকার বিষয়ে সচেতন ও সম্প্রতি জনপ্রিয় পণ্য "ভোগ"-এর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র "মাই চয়েস"-এ তিনি তার অসাধারণ ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাছাড়াও, ছবির সেটে তার সময়ানুবর্তিতার সুনাম আছে।
প্রচার মাধ্যমে
ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজের তথ্য অনুসারে দীপিকা জেনিফার লরেন্সের সঙ্গে ২০১৬ সালের বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রীগনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন
চলচ্চিত্র তালিকা
সঙ্গীত ভিডিও উপস্থিতি
| শিরোনাম | বছর | চরিত্র | পারফর্মার | অ্যালবাম | সূত্র |
|---|---|---|---|---|---|
| "নাম হে তেরা" | ২০০৫ | নামবিহীন | হিমেশ রেশমিয়া | আপ কা সুরুর |
|
| "ফির মিলে সার মেরা তুমহারা" | ২০১০ | স্বভূমিকায় | বিবিধ | — |
আরও দেখুন
পাদটিকা
বহিঃসংযোগ
| সাধারণ | |
|---|---|
| জাতীয় গ্রন্থাগার | |
| অন্যান্য | |