ধোঁয়াশা
ধোঁয়াশা একধরনের বায়ু দূষণ। "ধোঁয়াশা" শব্দটি "ধোঁয়া" ও "কুয়াশা" শব্দদুটি থেকে তৈরি করা হয়েছে। এধরনের দৃশ্যমান বায়ু দূষণে নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, ওজোন গ্যাস, ধোঁয়া ও অন্যান্য পার্টিকুলেট পদার্থ বর্তমান। মনুষ্যসৃষ্ট ধোঁয়াশা কয়লা দহন, যানবাহন, শিল্প এবং দাবানলে থেকে নির্গত দূষক এবং সেইসব দূষকের সঙ্গে আলোক-রাসায়নিক বিক্রিয়া।
মনুষ্যসৃষ্ট কারণ
কয়লা
কয়লা দহনের ফলে প্রচুর ধোঁয়া উৎপন্ন হয়, যা শীতকালে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। কয়লা সাধারণত প্রত্যেক ভবনে তাপ উৎপাদন কিংবা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। মধ্যযুগ থেকেই ইংল্যান্ডে কয়লাজনিত বায়ুদূষণের কথা জানা যায়। বিশেষত লন্ডনের বিশ শতাব্দী পর্যন্ত কয়লাজনিত ধোঁয়াশার জন্য কুখ্যাত ছিল। এখনও পর্যন্ত ঐসব জায়গায় এধরনের বায়ু দূষণ বিদ্যমান যেসব জায়গায় কয়লা দহনের ফলে প্রচুর ধোঁয়া উৎপন্ন হয়। এটি চীনে বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ।
যানবাহন
ট্রাক, বাস, মোটর গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে নির্গত দূষকও ধোঁয়াশা সৃষ্টির জন্য দায়ী। যানবাহন থেকে নির্গত বায়ব দূষক কিছু বড় শহরে ধোঁয়াশা সৃষ্টির মূল উপাদান।
প্রভাবিত এলাকা
ভারত
দিল্লি
ভারতের রাজধানী দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর এবং এক অনুমান অনুযায়ী, বায়ু দূষণের জন্য প্রতি বছর দিল্লিতে ১০,৫০০ জনের মৃত্যু হয়। দিল্লি এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে (তথা ভারতের জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের) বায়ু দূষণের কারণে নিয়মিতভাবে ধোয়াঁশা সৃষ্টি হয়। এই সময় বায় দূষণ পিএম ২.৫ এবং পিএম ১০ উভয় মাত্রার স্তরের উপরে ছিল। এটি ১৯৯৯ সালের পর থেকে দিল্লিতে বায়ুগত মানের সবচেয়ে খারাপ মাত্রা হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে। কম দৃশ্যমানতা শহর জুড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে ২৪ টি গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটেছে।