Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

নিদর্শন ও লক্ষণ-উপসর্গ

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯)-এর লক্ষণ-উপসর্গসমূহ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিদর্শন ও লক্ষণ-উপসর্গ (ইংরেজি: signs and symptoms) বলতে কোনও অসুস্থতা, রোগ, আঘাত, রোগাবস্থা বা কোনও অস্বাভাবিক শারীরবৃত্তিক অবস্থার পর্যবেক্ষণকৃত বা শনাক্তযোগ্য নিদর্শনসমূহ এবং পীড়িত ব্যক্তির অনুভূত লক্ষণ-উপসর্গগুলিকে বোঝানো হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চ বা নিম্ন দেহ তাপমাত্রা, উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপ বা কোনও চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক ক্রমবীক্ষণচিত্রে দৃশ্যমান কোনও অস্বাভাবিকতা, ইত্যাদি হল নিদর্শনের উদাহরণ। অন্যদিকে কোনও ব্যক্তি যদি স্বাভাবিকের বাইরে কোনও কিছু অনুভব করে, যেমন জ্বর-জ্বর বোধ করে, মাথা ব্যথা অনুভব করে বা দেহের অন্যত্র ব্যথা অনুভব করে, তাহলে সেগুলিকে লক্ষণ-উপসর্গ বলা হয়।

একটি চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নিদর্শন হল কোনও রোগ, আঘাত, বিকার বা অস্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় অবস্থার একটি বস্তুনিষ্ঠ সূচক বা নির্দেশক, যা কোনও ডাক্তারি পরীক্ষার সময় পেশাদার চিকিৎসক পর্যবেক্ষণ ও শনাক্ত করেন এবং যা পীড়িত ব্যক্তিটির নিজস্ব ব্যক্তিনিষ্ঠ অভিজ্ঞতায় স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় না। এই নিদর্শনগুলি দৃশ্যমান হতে পারে, কিংবা ফুসকুড়ি বা কালশিরের মতো শনাক্তযোগ্য হতে পারে। চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নিদর্শনগুলি সঠিক রোগনির্ণয়ে উপনীত হতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ, গদাঙ্গুলি নখ, টলমান হাঁটার ভঙ্গি, নেত্রস্বচ্ছ বলয়, ইত্যাদি চিকিৎসাবৈজ্ঞানিক নিদর্শনের কিছু উদাহরণ। নিদর্শনের সাথে নির্দেশনার পার্থক্য আছে; নির্দেশনা বলতে কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রয়োগের পেছনে বিশেষ কারণকে বোঝায়।

অন্যদিকে লক্ষণ বা উপসর্গ বলতে পীড়িত ব্যক্তি নিজস্ব ব্যক্তিনিষ্ঠ অভিজ্ঞতায় যে অস্বাভাবিক কোনও কিছু প্রত্যক্ষ করেন বা অনুভব করেন, তাকে বোঝায়, যেমন ব্যথা, মাথা ঘোরানো, মাথা ঝিমঝিম করা, ইত্যাদি। রোগী তার যেসব লক্ষণ-উপসর্গের প্রেক্ষিতে পেশাদার চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন, সেগুলিকে উপস্থাপক লক্ষণ-উপসর্গ (Presenting symptom) বলে।

নিদর্শন ও লক্ষণ-উপসর্গ একে অপর থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র নয়। জ্বরের ব্যক্তিনিষ্ঠ অনুভূতির পরে তাপমানযন্ত্র বা থার্মোমিটারের সাহায্যে মেপে দেহের তাপমাত্রার উচ্চ পাঠ পাওয়া গেলে জ্বরকে রোগের বস্তুনিষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা যায়।

সাধারণত নিদর্শন ও লক্ষণ-উপসর্গ কোনও বিশেষ রোগের সাথে সম্পর্কিত নয়। তবে এগুলির বিশেষ কিছু জটিল সমবায় একত্রে ঘটলে তা কিছু কিছু রোগনির্ণয়ে সাহায্য করতে পারে, এবং দেহের কোন অংশে সমস্যা হয়েছে, সে ব্যাপারে অনুমানের পরিধি সংকীর্ণ করতে সাহায্য করে। যখন একই সাথে একটি সুপরিচিত বিন্যাসে সংঘটিত কিছু বৈশিষ্ট্যসূচক নিদর্শন ও লক্ষণ-উপসর্গের সমষ্টি কোনও অন্তঃস্থিত রোগ, বিকার বা রোগাবস্থাকে নির্দেশকারী একটি সুস্পষ্ট চিত্র প্রদান করে, তখন সেগুলিকে সমষ্টিগতভাবে সংলক্ষণ (Syndrome) বলে। যখন কোনও চিকিৎসাবিজ্ঞানী কোনও সংলক্ষণের অন্তঃস্থিত এক বা একাধিক কারণের ব্যাখ্যা প্রদান করেন, তখন ঐ বিজ্ঞানীর নামে সংলক্ষণটির নাম দেওয়া হতে পারে, যেমন ডাউন সংলক্ষণ বা নুনান সংলক্ষণ। অন্যান্য সংলক্ষণ যেমন প্রকট হৃদবেষ্ট সংলক্ষণ, ইত্যাদির একাধিক সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে।

নিদর্শন ও লক্ষণ-উপসর্গ পরিভাষাগুলি রোগ ছাড়াও অন্যন্য শারীরবৃত্তীয় অবস্থার বর্ণনায় ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন গর্ভাবস্থার নিদর্শন ও লক্ষণ-উপসর্গসমূহ, কিংবা পানিশূন্যতার লক্ষণ-উপসর্গসমূহ। কখনও কখনও কোনও রোগ নিদর্শন ও লক্ষণ-উপসর্গ প্রদর্শন ছাড়াই কোনও ব্যক্তির দেহে বিরাজ করতে পারে; তখন সেটিকে লক্ষণ-উপসর্গহীন হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এই ধরনের রোগ বা বিকারকে পরীক্ষা, বিশেষ করে ক্রমবীক্ষণের মাধ্যমে আবিষ্কার করা হতে পারে। একটি সংক্রামক রোগ লক্ষণ-উপসর্গহীন হলেও সংবহনযোগ্য হতে পারে, অর্থাৎ এটি অন্য ব্যক্তির দেহে সংক্রমিত হতে পারে।



Новое сообщение