Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

নিরাপদ যৌনতা

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
পুরুষের নিরাপদ যৌনতার জন্য কনডম ব্যবহার করা হয়
দন্ত ভেড়ি; নিরাপদ যৌনতার জন্য যোনীলেহন অথবা পায়ুলেহনের সময় ব্যক্তি ব্যবহার করতে পারে

নিরাপদ যৌনতা হলো এইচ আই ভির মত যৌন রোগ প্রতিরোধের জন্য মানুষের মধ্যে সংঘটিত হওয়া সতর্কতামুলক যৌন কর্ম কাণ্ড একে সুরক্ষিত যৌনতা বা প্রতিরক্ষামুলক যৌনতা হিসেবেও সুচিত করা হয়। অনিরাপদ অথবা অসুরক্ষিত যৌনতা বলতে সতর্কতা মুলক যৌন কর্মকাণ্ড বিশেষ করে কনডম ব্যবহার ব্যতিরেকে যৌন ক্রিয়া করাকে বুঝায়।

কিছু উৎস এই নিরাপদ যৌনতাকে আরো নিখুঁত করে বলতে গিয়ে বলেছে, এই ধরনের সুরক্ষামুলক যৌন ক্রিয়া; যৌন রোগের সম্ভাবনাকে হ্রাস করে মাত্র; এই ক্রিয়ার (নিরাপদ) ফলে কখনোই যৌন রোগ হবে না এরকম সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা দিতে পারে না।চিকিৎসা শাস্ত্রের উৎস মতে, যৌন সংক্রামিত রোগ (sexual transmitted disease) এর তুলনায় যৌন সংক্রামক ইনফেকশনকে (sexually transmitted infections) অধিক ব্যবহার করা হয়। কারণ এর বিস্তৃত অর্থ আছে। একজন ব্যক্তি কোনো ধরনের রোগের চিহ্ন না দেখিয়ে নিজেও সংক্রামিত হতে পারে এবং সম্ভাবনা থাকে, অন্য জনকেও সংক্রমিত করার।

১৯৮০ সালের পরে; যখন এইডস মহামারী আকার ধারণ করে; তখনি নিরাপদ যৌনতা চর্চার বিষয়টি অধিক আলোচিত হয়ে উঠে এসেছে। বর্তমানে যৌন শিক্ষার পাঠের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে উঠেছে নিরাপদ যৌন চর্চার বিষয়টি প্রচার করা। নিরাপদ যৌনতার চর্চার ফলে; যে ঝুঁকি বা ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে; তা হ্রাস পায়। নিরাপদ যৌনতার ফলে শতভাগ নিরাপত্তা তৈরী হবে না, উদাহরণস্বরূপ,এইচআইভি সেরোপজেটিভ সঙ্গীর সাথে কণ্ডম পরিধান না করে, পায়ুযৌনাচার করলে, এইচআইভি হবার যে ঝুঁকি, কন্ডম পরিধান করলে, তা ৪ থেকে ৫ গুণ হ্রাস পায় মাত্র, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে নির্মুল হবে, তা বলা যায় না।

যদিও নিরাপদ যৌনতার চর্চা জন্ম নিরোধে ব্যবহৃত হয়, বেশিরভাগ গর্ভনিরোধক ব্যবস্থা এসটিআই প্রতিরোধ করতে পারে না। ঠিক একইভাবে কিছু যৌনতার চর্চা যেমনঃ সঙ্গী নির্বাচন এবং কম ঝুঁকির যৌনাচারণ, গর্ভনিরোধে সর্বদা ফলপ্রসূ হয় না। কিন্তু ঝুঁকি হ্রাসে তা করা উত্তম।

পারিভাষিক শব্দ

নিরাপদ যৌনতা নামক শব্দপুঞ্জ কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রর মত দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে অধিক হারে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এই শব্দপুঞ্জ যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ব্যবহৃত হয়।

যদিও স্বতন্ত্র ভাবে অনেকে নিরাপদ যৌনতাকে গর্ভাধান, এইচআইভি/এইডস এবং অন্যান্য যৌন রোগের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে। কিন্তু এই শব্দপুঞ্জের এইচআইভি/এইডস নামক মহামারীর প্রতিক্রিয়ায় উদ্ভব ঘটেছিল। এটা বিশ্বাস করা হয়, ১৯৮৪ সালস নিরাপদ যৌনতা নামক শব্দপুঞ্জ; সমকামী পুরুষে এইডস থাকে, এরকম মনস্তাত্ত্বিক পেশাদার সাহিত্যে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। মূলত সমকামী ব্যক্তিদের যৌনতায় যে ঝুঁকি থাকে তাদেরকে নিরাপদ যৌনতা বিষয়টি বুঝানোর সাথে এই শব্দপুঞ্জ জড়িত। এক বছর পরে একই শব্দপুঞ্জ নিউ ইয়র্ক টাইমসের আর্টিকেলে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই আর্টিকেলে জোর দিয়ে বলা হয়েছিল; বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা তাদের এইডস আক্রান্ত রোগীকে নিরাপদ যৌনতার চর্চা করতে উপদেশ দিয়েছেন। এই জায়গায় বলা হয়েছিল; যৌন সঙ্গী যেন সীমিত রাখা হয়; তরল রস একে অপরে গ্রহণ খুব একটা না করে। অধিকন্তু ১৯৮৫ সালে 'কোয়ালিশন ফর সেক্সুয়াল রেসপনসিবিলিটি' (Coalition for Sexual Responsibilities) দ্বারা সর্বপ্রথম নিরাপদ যৌনতার গাইডলাইন প্রকাশিত হয়। এই নির্দেশিকা অনুসারে পায়ুমৌখিক যৌন ক্রিয়া করার সময় কনডম ব্যবহার করে নিরাপদ যৌনতার চর্চা করা উচিত।

১৯৮৬ সাল পর্যন্ত জনগনের মধ্যে এই ধারণা প্রচলিত ছিল যে, যৌন রোগ সমকামীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তাই প্রাথমিক ভাবে এই শব্দপুঞ্জ সমকামী সম্প্রদায়ের জন্য ব্যবহৃত হত। তবুও কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই চর্চার প্রচারের লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রোগ্রাম দফায় দফায় অনুষ্ঠিত হতে থাকে। এই প্রোগ্রামগুলোর মুল লক্ষ্য ছিল, কনডমের ব্যবহার সম্বন্ধে জ্ঞাত করা, যৌন সঙ্গীর অতীত ইতিহাস সম্বন্ধে যেন ওয়াকিবহাল থাকে;- তার প্রচার ঘটানো এবং যৌন সঙ্গীর সংখ্যা সীমাবদ্ধ করা। এই বিষয়ের উপর প্রথম বই, সেই বছরই প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের শিরোনাম ছিল "সেফ সেক্স ইন দ্য এজ অব সেক্স" (Safe Sex in the Age of AIDS)। এটির ৮৮ পৃষ্ঠা ছিল এবং যৌন জীবন সম্বন্ধে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় বক্তব্যই ছিল। কিছু যৌন স্বভাব নিরাপদ; যেমনঃ (চুমুদেওয়া, আলিঙ্গন করা, ম্যাসাজ, শরীর কর্ষণ, পারস্পরিক ভাবে হস্তমৈথুন, মোবাইল যৌনতা, এবং পৃথক পৃথক যৌন খেলনা); কন্ডম ব্যবহার।

১৯৯৭ সালে, বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ যৌনতার জন্য কনডম ব্যবহারের (besides abstinence) প্রচারণা চালানোর উপদেশ দেন এবং তারা টেলিভিশন বিজ্ঞাপনীকে এর জন্য এগিয়ে আসতে বলেন। সেই বছরই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক চার্চ তাদের নিজস্ব "নিরাপদ যৌন" গাইডলাইন তৈরী করে, সে তালিকায় কনডমও ছিল। যদিও দুইবছর পর ভ্যাটিকান সতীত্ববিষমকামী বিবাহকে বাতিল করে দেওয়া হবে কিনা, এই প্রশ্ন তুলে আমেরিকান ক্যাথলিক বিশপ গাইডলাইনকে আক্রমণ করে।

২০০৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার বিশেষজ্ঞ গবেষকদের দ্বারা করা একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, যাদেরকে প্রশ্ন করা হয়েছে তাদের ৬৮ শতাংশ মনে করে, নিরাপদ যৌনতা হচ্ছে কনডম ব্যবহার করা, আর ৩১.১% এর উত্তর ছিল নিরাপদ যৌনতার সময় তারা কনডম ব্যবহার করে না। তাদের মধ্যে মনোগ্যামী ২৮.৪ শতাংশ, আর নিরাপদ সঙ্গীর সাথে যৌনাচার করে ১৮.৭ শতাংশ।

যৌনাচারের সময় কোনো ধরনের ঝুঁকি থাকলেই এই নিরাপদ যৌনাচার করতে হবে, তাই এই পরিভাষাটিকে আগ্রাসী শব্দপুঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ফরাসি সিডাকশন নিরাপদ ভালোবাসা ব্যবহার করে। তারা এই প্রচারণা চালায়; যাতে করে পুরুষের আন্ডারওয়ারে কন্ডম রাখার জন্য একটি পকেট রাখা হয়।

সতর্কতা

কুনিশাদার তৈরীসুনগা' যার মাধ্যমে বর্ণিত হচ্ছে নারীর হস্তমৈথুন

নিঃসঙ্গ যৌনতা

এটি আত্মরতি হিসেবে পরিচিত, নিঃসঙ্গ যৌনাচরণ অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। উদাহরণস্বরুপ, হস্তমৈথুন নিজের জননেন্দ্রিয়কে উতেজিত করার একটি সহজ উপায়। যেহেতু অন্য কারো সাথে এখানে শারীরিকভাবে মিলন হয় না, তাই এটি নিরাপদ। মোবাইল যৌনতাসাইবারসেক্স এর মত বিষয়ে; সঙ্গীরা যৌন কর্মকাণ্ডে একই কক্ষে না থেকেও মিলিত হতে পারে; যার ফলে তরল পদার্থের বিনিময় না হওয়ায় ঝুঁকি হ্রাস পায়।

অনাভেদী যৌনক্রিয়া

যৌন ক্রিয়ার একটা সীমানা যাকে অনেকসময় বহিঃসঙ্গম বলা হয়, যা সংক্রামক রোগ অথবা গর্ভাধান রোধ করার জন্য চর্চা করে উপভোগ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিংটনের শল্যচিকিৎসক জয়চেলিন এল্ডার্স এইধরনের সঙ্গমকে তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় কর‍তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়, এমনকি হোয়াইট হাউজও একই ভাবে তার বিরুদ্ধে যায়। যার ফলস্বরুপ ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতি ক্লিংটন তাকে চাকরিচ্যুত করে।

অনাভেদী যৌনক্রিয়া চুম্বন, পরস্পর একত্রে হস্তমৈথুন, শরীরে একে অপরকে কর্ষণ (ঘষা) অথবা নিজে নিজে হস্তমৈথুন করাকে বুঝায়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ মতে এই ধরনের যৌনাচার গর্ভাধান এবং বেশিরভাগ যৌন সংক্রমক ইনফেকশন হওয়াকে রোধ করে। তবে হার্পসজিনিটাল ওয়ার্ট এর মত সংক্রমক চর্মরোগ কে এই ধরনের যৌনাচার আটকাতে পারে না।

বেষ্টনী প্রতিরক্ষা

নিরাপদ যৌনাচারণের সময় কিছু প্রতিরক্ষা মুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়; যাতে করে রক্ত, যোনিয় ফ্লুইড, সিমেন অথবা অন্য সংক্রামক এজেন্টের সংস্পর্শ এড়ানো যায়। যৌনাচারণের সময় ডিভাইস ব্যবহার করা হলে, একে বলা হয় প্রতিরক্ষামুলক যৌনতা (protected sex)

  • কনডম যৌনাচারণের সময় শিশ্নকে আবৃত করে রাখে। এগুলো বেশিরভাগই ল্যাটেক্স দ্বারা তৈরী এবং সিন্থেটিক উপাদান পলিইউরেথিন দ্বারা তৈরী করাও হয়ে থাকে।
  • নারী কনডম সঙ্গমের পুর্বে যোনিতে প্রবেশ করানো হয়।
  • ডেন্টাল ড্যাম (সাধারণত দাতেঁর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়) হচ্ছে ল্যাটেক্সের শিট; যা মুখ লেহনের সময় ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহৃত হয়, মুখ ও স্ত্রীযোনিদ্বারের মধ্যে যোনীলেহনের সময় প্রতিরক্ষা হিসেবে। ব্যবহৃত হতে পারে মুখ ও পায়ুর মধ্যে প্রতিরক্ষা হিসেবে মুখ পায়ু যৌনাচারের ক্ষেত্রে।
  • মেডিক্যাল গ্লোভ ল্যাটেক্স, ভিনাইল, নাইট্রিল অথবা পলিইউরেথ্রিন দিয়ে তৈরী। হাতে অনেকসময় অদৃশ্য ক্ষত থাকতে পারে। তখন সেই ক্ষত দিয়ে রোগজীবাণু প্রবেশ করতে পারে, বা হাতে ক্ষত থাকায়, তা সঙ্গীর শরীরের প্রত্যঙ্গকে দূষিত করতে পারে।
  • আরো একটি উপায় আছে, রোগ সংক্রমণ থেকে বাচাঁর আর তা হলো, পরিষ্কার ডিলডো এবং অন্যান্য যৌন খেলনা ব্যবহার করা।

যখন ল্যাটেক্স বেষ্টনী ব্যবহার করা হয়, তৈল নির্ভর লুব্রিকেশন ল্যাটেক্সের গঠনকে ভেঙে দিতে পারে এবং যে কারণে এটি ব্যবহার করা হয়েছে, তার প্রয়োজনীয়তা নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে।

কন্ডম (পুরুষ অথবা নারী) ব্যবহার করা হয়, এসটিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য, এবং গর্ভনিরোধের জন্য কণ্ডম ছাড়াও স্পার্মিচাইড ব্যবহার করা হয়। যাইহোক, যদি দুইটা কন্ডম একত্রে ব্যবহার করা হয়, (যেমন পুরুষ কন্ডম, পুরুষ কন্ডমের উপরে অথবা নারী কন্ডমের অভ্যন্তরে পুরুষ কন্ডম) তাহলে এই সম্ভাবনা আছে যে, কন্ডম ব্যবহারে কোনো ফলই হবে না।

প্রতিরক্ষা বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবহার করতে চাইলে, তা পরিষ্কার রাখতে হবে। তার পৃষ্ঠতল পরিষ্কার রাখতে হবে, যত্ন করতে হবে।

ল্যাটেক্স কণ্ডমের উপর পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে যে, যৌনতার চর্চা করা সময়, তা ভাঙা বা ছেদ হবার পরিমাণ ১.৪৬% থেমে ১৮.৬০% হয়। কন্ডম অবশ্যই কোনো শরীর নিঃসৃত তরল বিনিময় হবার পূর্বে পরিধান করতে হবে এবং তা অবশ্যই মুখ লেহনের সময়ও ব্যবহার করতে হবে।

নারীর কন্ডম ২টি নমনীয় পলিইউরেথ্রিন রিং দ্বারা তৈরী এবং একটি লুস ফিটিং পলিইউরেথ্রিন কোষ থাকে। ল্যাবটেস্টের মতে, নারীর কণ্ডম শরীরের তরল বিনিময়ে বেশ ফলপ্রসূ একই সাথে ফলপ্রসূ এইচআইভি ও এসটিয়াই প্রতিরোধে। কিছু গবেষণা দেখিয়েছে যে, ৫০ থেকে ৭৩ শতাংশ নারী যারা এই কণ্ডম ব্যবহার করে, তারা পুরুষের চেয়ে বেশি আরাম অনুভব করে। কিন্তু নারীদের এটি ব্যবহারে অনীহা দেখা যায়; কারণ এর মুল্য পুরুষের কণ্ডমের চেয়ে বেশি।। প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে; যাতে নারীর কন্ডম একাধিকবার ব্যবহার করা যায়। গবেষণা থেকে দেখানো হয়েছে যে, নারীর কণ্ডমে যেহেতু পলিইউরেথ্রিন ব্যবহার করা হয়, তা ৫ বারের মত ব্যবহার করা যায়। তথাপি, গবেষকরা নারীর কণ্ডম একবারই ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন।

পূর্ব প্রতিরক্ষা

পুর্ব প্রতিরক্ষা হচ্ছে এমন একপ্রকার ড্রাগের ব্যবহার; যার ফলে, এইডস/আইচআইভি না থাকলেও ব্যক্তি এটি গ্রহণ করে; যাতে তার রোগটি না হয়। এটি সাধারণত এইচআইভি নেগেটিভ ব্যক্তিরা গ্রহণ করে; যাতে করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এটি অন্য যৌন রোগ প্রতিরোধ করতে বা গর্ভধানকে নিরোধ করতে পারে না।

সাম্প্রতিক সময়ে যে কোনো স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো ট্রুভাডা নামক ড্রাগ ব্যবহারকে অনুমোদন করে। ডিজিজ কন্ট্রোল সংস্থা বলতে গিয়ে বলেছে, এইচআইভি প্রতরোধের জন্য এটি শক্তিশালী ড্রাগ। যা কন্ডমের সাথে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু যে এই ড্রাগ গ্রহণ করা শুরু করে, তাকে প্রতিদিনই এটি নিতে হয় এবং প্রতি ৩ মাস পরপর নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয়।

চিকিৎসকদের পরামর্শ না মেনে অনেকে কণ্ডম ব্যবহার না করে, শুধুমাত্র এই ড্রাগ গ্রহণ করে; তারা সাধারণত অনিরাপদ সঙ্গম করতে আগ্রহী হয়ে থাকে। এর পক্ষে ও বিপক্ষে সামাজিক গ্রুপ আছে, যেখানে একপক্ষ একে সমর্থন করে এবং অপরপক্ষ করে বিরোধিতা।

অন্যান্য সতর্কতা

পুর্বসতর্কতা যৌন রোগ নিয়ন্ত্রণে শতভাগ কার্যকরী এমনটা বলা যায় না, তবে নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অন্তত কিছু সুরক্ষা দেয়।

  • কিছু ভাইরাসগত সংক্রমনের জন্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেক বেশি কার্যকরী। সবচেয়ে সাধারণ ভ্যাকসিন হলো,হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনএইচপিভি ভ্যাক্সিন, যা জরায়ুমুখ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়।
  • পুরুষের মুসলমানী এবং এইচআইভি : কিছু গবেষণা দেখিয়েছে যে; পুরুষের মুসলমানী এইচআইভির ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নারী-পুরুষে এইডস সংক্রমণ হ্রাসের জন্য এই কর্মপন্থা বাস্তবায়নে আহ্বান জানিয়েছে। আফ্রিকান কিছু গবেষণা দেখিয়েছে যে; পুরুষের মুসলমানী, তাদের এইডসের ঝুকিঁ ৬০ শতাংশের উপর হ্রাস করতে পারে। কিছু গ্রুপ এই গবেষণাকে প্রত্যাখান করেছে। কন্ডমের ব্যবহার ও স্বভাবের কিছু পরিবর্তন; যৌন রোগ হ্রাসে অনেক বেশি ফলপ্রসূ ও সহজলভ্য মুসলমানির মত অপারেশনের তুলনায়;- এমনটাই উপ-সাহারীয় আফ্রিকার কিছু স্থানে দেখা গিয়েছে।
  • কিউবার পর্ন অভিনেতাদের পুনরাবৃত্তভাবে এসটিআই পরীক্ষা করা বাধ্যতামুলক। এইডসের মহামারীর পূর্বে কিউবা এই কার্যাবলী করতে চাপ প্রয়োগ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের পর্ন চলচ্চিত্র শিল্পে, কিছু কোম্পানী ক্লামিডিয়া, এইচআইভি, গনোরিয়া পরীক্ষা দেখা ছাড়া অভিনেতা ভাড়াই করে না। এক্ষেত্রে পরীক্ষার ফলাফল যদি ৩০ দিনের চেয়ে বেশি পুরাতন হয় বা অন্যান্য সংক্রামক রোগ যেমনঃ এসটিআইয়ের পরীক্ষার ফলাফল যদি ৬ মাসের বেশি পুরাতন হয়, তাহলে সে ফলাফল গ্রহণযোগ্যই হবে না। এইম মেডিকেল ফাউন্ডেশনের দাবী অনুসারে; এর ফলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত যৌন রোগ সংক্রামকের ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। সাবান ও পানি দিয়ে যোনীতে ডুচিং করলে (ধৌত করলে) তা ভ্যাজিনাল ফ্লোরার (যোনীতে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া; সাধারণ ভ্যাজিনাল ফ্লোরা যোনীকে স্বাস্থ্যকর রাখে) কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করে এবং তা সংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • একগামী অথবা বহুগামী, উভয়ই যৌন রোগের প্রকোপে থাকতে পারে, কারণ, তাদের সঙ্গী যদি অবিশ্বাসযোগ্য হয়, বা বিভিন্ন ড্রাগ যা ইনজেকশনের মাধ্যমে নেওয়া হয়; সেসব ব্যবহার করে; তবে তাদের, যৌন রোগ থাকার একটা আশঙ্কা থাকে।
  • যারা বহুগামী, তাদের যৌনসঙ্গী বাছ বিচার না করে নির্বাচন করা উচিত নয়। তাদের যৌন সঙ্গীর পরিমাণ কমানো উচিত। তাহলেই এসটিআই হবার সম্ভবনা হ্রাস পায়। একই সাথে তাদের সাথেই সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া উচিত; যারা বিশ্বাসযোগ্য। এ উপায়টি বিভিন্ন পর্ন অভিনেতাবহুগামী ব্যক্তি গ্রহণ করে।
  • কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে যৌন সংক্রামক রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। যেমনঃ বয়সের বিভেদ যদি পাচঁ বছরের অধিক হয়, সঙ্গীর যদি অতীতকাল থেকে এসটিআই বহন করে থাকে; অন্য অনেকের সাথে যৌন সঙ্গম করে থাকে। এ ক্ষেত্রে অপর সঙ্গীরও যৌন রোগ তৈরীর সম্ভাবনা হয়।
  • একজন ব্যক্তির সাথে যৌনাচারণ করাটাই অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। এতে করে সঙ্গী; সঙ্গমের পুর্বে কোন ধরনের নিরাপত্তা নিবে, তা আগে থেকে আলোচনা বা যোগাযোগের মাধ্যমে ঠিক করা রাখে।
  • যদি একজন ব্যক্তি যৌন ভাবে অনেক সঙ্গীর সাথে সঙ্গমে সক্রিয় থাকে তবে নিয়মিত চিকিৎসকের দ্বারা যৌন কোনো রোগ আছে কি না; তা পরীক্ষা করা উচিত। কোনো ধরনের অসচরাচর লক্ষণ দেখলে তা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।এইচআইভি ও অন্যান্য সংক্রামক রোগের লক্ষণ সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ নাও পেতে পারে, একে বলে নলক্ষণায়িত বৈশিষ্ট্য; এমতাবস্থায় চিকিৎসকের কাছে না গেলে শারীরিকভাবে হিতে বিপরীত হতে পারে। এন্টিবায়োটিক বিরোধী রোগ তৈরী হয়ে যাওয়ায়; অনেক সময় যৌন রোগের চিকিৎসা ফলপ্রসূ হয় না। তখন অতিরিক্ত অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।

সীমাবদ্ধতা

কন্ডমের ব্যবহার এইচআইভি ও অন্যান্য সংক্রামক রোগের ব্যাপি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এক্লটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে যে, কন্ডম এইচ আইভি ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত ছড়ানো নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু তার চেয়ে বেশি পারে না। কারণ, কণ্ডম অনেক সময় ঠিক করে পরা হয় না, ভাঙা থাকা, ত্রুটি থাকে। এখানে আরো বলা হয়েছে, কণ্ডমের সঠিক ব্যবহার না করতে পারলে, এর যে ফলপ্রসূতা তা ৬০-৭০ শতাংশ হ্রাস পায়।p. 40.

পায়ুযৌনাচারের সময়, কণ্ডম পরিধান না করলে এইচআইভি সেরোপজেটিভ সঙ্গী থেকে এইচআইভি ১২০ জনে ১ জনে হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যদি কণ্ডম পরিধান করা হয়; তাহলে তা চার থেকে পাচঁগুণ হ্রাস পেয়ে, যে সঙ্গী স্পার্ম গ্রহণ করবে, তাদের ৫৫০ জনে ১ জনের এইচআইভি হবার ঝুঁকিতে উত্তীর্ণ হয়। যদি সঙ্গীর এইচ আইভি থাকে, এবং সে এবিষয়ে অজ্ঞাত থাকে এবং কন্ডম ও পরিধান না করে, তাহলে যে কন্ডম পরিধান করে যৌনতা করবে তার তুলনায় দুই-তৃতীয়াংশ ঝুঁকি থাকে।p. 310.

২০১৩ সালের মার্চে বিল গেটস ১ লক্ষ ইউএস ডলার দেওয়ার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণাপত্রে এর কারণ হিসাবে বলা হয়; এমনভাবে কণ্ডমকে ডিজাইন করতে হবে; যাতে করে, এর পরিধান করে পুরুষ আরো আনন্দ পায়; এবং তারা একে ব্যবহার করতে উৎসাহী হয়। বলা হয়, কণ্ডম পরে যৌনাচার আর না পরে যৌনাচারের মধ্যে তুলনা করলে, না পরিধান করে যৌনাচারে পুরুষ বেশি আনন্দ উপভোগ করে। এজন্যই এমন কোনো কণ্ডম তৈরী করতে হবে, যা আনন্দ বৃদ্ধি করতে পারে। এই প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয়েছে "পরবর্তী জেনারেশনের কণ্ডম "। এই ধরনের কন্ডম তৈরীতে আরো অনেক প্রতিশ্রুতি সম্পন্ন পুরস্কারের ঘোষণা দিলেও কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয় নি।

অকার্যকরী পদ্ধতি

গর্ভনিরোধের বেশিরভাগ পদ্ধতি; বহির্সঙ্গম" ও বেষ্টনী প্রতিরক্ষা বাদে, বাকিগুলো এসটিআই প্রতিরোধে ফলপ্রসূ নয়। এর মধ্যে আছে জন্ম নিরোধক বড়ি, ভ্যাসেক্টোমী, টিউবাল লাইগেশন, পুনরাবৃত্তি উপরতি অবেষ্টনী পদ্ধতি যা গর্ভাধান নিরোধে ব্যবহৃত হয়।

বীর্য অনিঃসৃত ন্যানোক্সিনল-৯ কে এসটিআই সংক্রমণ হ্রাসে সক্ষম বলে দাবী করা হয়। যাইহোক বিশ্ব স্বাস্থ্য-সংস্থার প্রায়োগিক প্রতিবেদনে ন্যানোক্সিনল যন্ত্রণাদায়ক এবং এর ব্যবহারের সময় মিউকাস পর্দায় স্বল্প তরলের সৃষ্টি করতে পারে; যা এই প্রক্রিয়ায় প্যাথোজেন সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দেয়। তারা প্রতিবেদন দাখিল করেছে যে; ন্যানোক্সিনল লুব্রিকেন্টের পর্যাপ্ত বীর্যনিরোধক নেই; যার ফলে গর্ভাধান রোধ করা সবসময় ফলপ্রসূ নাও হতে পারে। তাই এর ব্যবহারে সতর্ক থাকা উচিত।

ডায়াফ্রাগাম অথবা গর্ভনিরোধক স্পোনেজ নারীর জন্য কিছু সুনিশ্চিত যৌন রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকরী কিন্তু তা সকল এসটিআইকে প্রতিহত করতে পারে না।

হরমোনাল সুরক্ষাদান প্রক্রিয়া এসটিআই সংক্রমণ কর‍তে কোনোভাবেই ফলপ্রসূ না। যদিও তা দিয়ে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাধান নিরোধ করা যায়। বেশিরভাগ হরমোনাল প্রক্রিয়া হচ্ছে ডেপোপ্রজেস্টেরন, যোনীতে রিং।

কপার জরায়ুস্থ ডিভাইস এবং হরমোন জরায়ুস্থ ডিভাইস ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে গর্ভাধানের বিপক্ষে প্রতিরক্ষা তৈরী করতে পারে, কিন্তু এসটিআইয়ের বিপক্ষে নয়। নারীরা কপার জরায়ুস্থ ডিভাইসের বদৌলতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামক যেমন গনোরিয়া অথবা ক্লামিডিয়ার মত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যদিও এটা বিতর্কিত।

কইটাস ইন্টারাপ্টাস হচ্ছে পুরুষাঙ্গ থেকে বীর্য নির্গমণের ঠিক পূর্বে যোনি, পায়ু, অথবা মুখের অভ্যন্তরস্থ স্থান থেকে পুরুষাঙ্গকে সরিয়ে নেওয়া। এটা নিরাপদ যৌনতা নয়। কারণ এর ফলে এসটিআই সংক্রমণ হতে পারে। কারণ হিসেবে বীর্য পুর্ব রসকে দায়ী করা যায়। এটি একধরনের তরল পদার্থ যা; মুত্রনালী থেকে প্রকৃত বীর্য নিঃসৃত হবার আগে ক্ষরিত হয়। এটি এইচআইভির মত জীবাণু বহন করতে পারে। কিছু রোগ যেমন জেনিটাল ওয়ার্ট এবং সিফিলিস কোনো ধরনের সঙ্গম, মৌখিক, যোনীয় ভাবে যুক্ত হওয়া ছাড়া, শুধুমাত্র চামড়ার সংস্পর্শে হতে পারে।

উপরতি

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যৌন রোগ বিরোধী প্রাচীরপত্র

যৌনতায় বিরতি বা উপরতি পরিভাষাকে অনেক সময় প্রচারণা হিসেবে ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়, এর অর্থ হচ্ছে মানব যৌনতা নিবারণ করা, যাতে সংক্রামক রোগ ছড়ানোকে ঠেকানো যায়। যদিও অন্যান্য বিষয় যেমন ধর্ষনের মাধ্যমে যৌন রোগ ছড়াতে পারে। এইচআইভি সুইয়ের মাধ্যমে, ট্যাটুর মাধ্যমে, শরীরে ভেদনের মাধ্যমে অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। চিকিৎসা ব্যবস্থায় অথবা দাতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে বিশুদ্ধ না করা গেলে, এইচআইভি ছড়াতে পারে। তথ্যপ্রমাণ গুলো যৌন শিক্ষায়, শুধুমাত্র যৌন বিরতিমুলক শিক্ষাকে সমর্থন করে না। নিরাপদ যৌন শিক্ষায়, শুধুমাত্র যৌন বিরতি মুলক শিক্ষা পেলে, তা যে এইচআইভি হ্রাস করবে, এটা ভুল ধারণা। উন্নত বিশ্বে যৌন বিরতিমুলক শিক্ষা প্রয়োগ করেও এইচআইভির সংক্রমণ হ্রাস করা যায় নি। এবং অপরিকল্পিত গর্ভাধানকেও নিরোধ করা যায় নি।

কিছু গোষ্ঠী যেমনঃ খ্রিষ্ঠান সম্প্রদায় বিবাহ বহির্ভুত সঙ্গমের বিরুদ্ধে এবং যৌন শিক্ষার বিরুদ্ধেও তারা আপত্তি করে; কারণ তাদের আশঙ্কা, এই যৌন শিক্ষা, তাদের বিবাহ বহির্ভুত সঙ্গম যেমনঃ পতিতাবৃত্তিতে উৎসাহী করবে। সতীত্ব নিরাপদ রাখা ও যৌন বিরতি মুলক শিক্ষা অনেক সময় নিরাপদ যৌনতা ও গর্ভনিরোধক কার্যক্রমের পরিবর্তে প্রচারণার মাধ্যমে ছড়ানোর চেষ্টা করা হয় । বিবাহ পূর্ব পর্যন্ত সতীত্ব বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এমন তরুনদের ৬০ শতাংশের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, তারা বিবাহের পূর্বে সঙ্গমে লিপ্ত হয়। যারা প্রায়োগিক যৌন শিক্ষা লাভ করে তাদের তুলনায় এসব তরুণদের এক তৃতীয়াংশেরও কম গর্ভ-নিরোধক কার্যপ্রণালী ব্যবহার করে এর ফলে সেসব তরুণদের সংক্রামক রোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরী হয়।

পায়ুযৌনাচার

যৌন অভিমুখিতা যাই হোক না কেন, অসুরক্ষিত পায়ু যৌনাচার খুবই বিপজ্জনক। পায়ু যৌনাচার; স্ত্রী যৌনি সঙ্গমের তুলনায় অনেক বেশি ঝুকিঁপুর্ণ কারণ পায়ু ও রেকটামের (মলদ্বার) পাতলা টিস্যু অনেক সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হালকা ক্ষতও ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাতে পারে, এইচআইভি ছড়াতে পারে। পায়ুতে যৌন খেলনা প্রবেশ করালেও এমনটা হতে পারে। কন্ডম যোনীপথে সঙ্গমের তুলনায়, পায়ুপথে সঙ্গমে বেশি ভেঙে পরে, ফলে সংক্রামক রোগের ঝুকিও বেড়ে যায়।

পায়ু যৌনাচার সমকামীদের সাথে সাথে বিষমকামীরাও করে থাকে। এই পায়ু এলাকায় নারী পুরুষ উভয়েরই অনেক প্রেমুময় স্নায়ুর সমাপ্তি ঘটেছে। একারণেই অনেক দম্পতি (সমকামী ও বিষমকামী); যাদের উপর এই পায়ু যৌনাচার হয় তারা আনন্দ লাভ করে। বিষমকামী দম্পতি যদি এই পায়ু যৌনাচার করে; তবে তাদের ও নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। যৌন সংক্রামক রোগ ছাড়াও অন্য অনেক ঝুঁকি এই ধরনের সঙ্গমে আছে। পায়ু সঙ্গমের মাধ্যমে এইচআইভি, হেপাটাইটিস সি এবং ইকোলি এবং এইচপিভি সংক্রমণের আশঙ্কা আছে।

কিছু গবেষণা থেকে বলা হচ্ছে, যদিও সমকামী পুরুষদের মধ্যে পায়ুযৌনাচারের সময় কন্ডম ব্যবহারের একটা প্রবণতা থাকে, কিন্তু বিষমকামীরা (পুরুষ→নারী) যখন পায়ুযৌনাচার করে, তখন তাদের মধ্যে কন্ডম ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায় না। অন্যান্য গবেষকরা এটা দাবী করেছেন যে, সমকামী পুরুষরা বিষমকামী দম্পতির তুলনায় কম পায়ুযৌনাচার করে।

সতর্কতা

পায়ু যৌন ক্রিয়া সেই সব দম্পতির অন্তত একজন সঙ্গী এসটিয়াই(যৌন সংক্রামক ইনফেকশন) এ ভুগছে, তাদের ট্রিটমেন্টে ফলাফল ভালোর দিকে না আসা পর্যন্ত পরিত্যাগ করা উচিত।

যদি পায়ু যৌন ক্রিয়া নিরাপদভাবে করতে হয়; তাহলে সেই দম্পতিকে নিশ্চিত থাকতে হবে পায়ু এলাকা পরিষ্কার এবং অন্ত্রের জায়গা খালি থাকে। এবং যার উপর এই পায়ু যৌন ক্রিয়া করা হবে, তার যেন শিথিল (রিলাক্স) থাকার সক্ষমতা থাকে। আঙুল অথবা শিশ্ন নির্বিশেষে যার অনুপ্রবেশ ঘটবে; সেখানে কনডম ব্যবহারই এসটিয়াই প্রতিরোধে সর্বোৎকৃষ্ঠ পন্থা।

যেহেতু মলদ্বার খুব সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই এমনকি অঙ্গুলী দ্বারা অনুপ্রবেশ ঘটানোর সময়ও লুব্রিকেন্টকে মাত্রাতিরিক্তভাবে সুপারিশ করা হয়। বিশেষ করে যাদের উপর এটা প্রথম করা হয়; আঙুলের উপর কনডম ব্যবহার করলে তা এসটিয়াইয়ের বিরুদ্ধে সুরক্ষাও দিবে একই সাথে লুব্রিকেন্টের উৎস হিসেবেও কাজ করবে। বেশিরভাগ কনডমই পিচ্ছিল (লুব্রিকেটেড) এবং যাতে সহজে অনুপ্রবেশ ঘটে এবং কম ব্যথা অনুভব হয়; সেভাবেই তৈরী করা হয়। তৈলাক্ত লুব্রিকেন্ট ( Oil-based lubricants) ল্যাটেক্সকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ও কনডমের সাথে ব্যবহার করা উচিত নয়; এর পরিবর্তে পানি-ভিত্তিক ও সিলিকন ভিত্তিক লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। ল্যাটেক্সে যাদের প্রতি এলার্জি আছে; তাদের জন্য ল্যাটেক্স নয় এরকম কনডম আছে( উদাহরণস্বরুপ, পলিইউরেথ্রিন কন্ডম, তৈল নির্ভর আর পানি নির্ভর লুব্রিকেন্টের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন) নারী তার পায়ুতে সঙ্গীর দ্বারা যৌনক্রিয়া সংঘটিত হতে দিলে "নারী কনডম" কার্যকরীভাবে ব্যবহার করা যায়।

শিশ্নের মাধ্যমে পায়ূ সঙ্গমে যে যে নিরাপত্তার দিকে নজর রাখতে হয়; সেক্স টয়ের মাধ্যমে সঙ্গমেও একইভাবে নজর রাখতে হয়। সেক্স টয়ের উপর কণডম পরিধান করানো উচিত

যদি বিষকামী মুলক সঙ্গমে পুরুষ পায়ু্যৌনাচার করে, তবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তার পুরুষাঙ্গকে ভালোভাবে ধৌত করে পরিষ্কার করা। তারপরই সে নারীর যোনিতে সঙ্গম করতে পারে। কারণ তা না হলে ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই রেকটাম থেকে যোনীতে প্রবেশ করতে পারে। যার ফলে যোনী সংক্রামক রোগ হয়।

যখন পায়ু-মৌখিক সঙ্গম সংযোগ হয়, তখন নিশ্চিত ভাবে সুরক্ষা নেওয়া উচিয়, কারণ এটা বিপজ্জনক যৌন আচরণ; এর ফলে সহজেই হেপাটাইটিস এ অথবা এসটিআই ছড়াতে পারে, ছড়াতে পারে আন্ত্রিক সংক্রামক রোগও। ডেন্টাল ডাম অথবা প্লাস্টিক ভাজঁ ফলপ্রসূ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যখন পায়ুলেহন প্রক্রিয়া প্রয়োগ হয়।

সেক্স টয়

সেক্স টয়ে কনডম পরিধান করিয়ে যৌন চর্চা করা যৌন স্বাস্থ্যগত দিক থেকে উত্তম। যদি অন্য কেও ওটা ব্যবহার করে তাহলে ও সংক্রামক রোগের আশঙ্কা থাকে না, এক্ষেত্রে অন্য নতুন কনডম ব্যবহার করা উত্তম। কিছু সেক্স টয় রন্ধ্রযুক্ত উপাদানে তৈরী যা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ধারণ করতে পারে। তাই সেক্স টয়কে ভালোভাবে বিশেষ করে ক্লিনার বা পরিষ্কারক দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। গ্লাসে রন্ধ্র থাকে না এবং মেডিক্যাল গ্রেড গ্লাস তুলনামুলক বেশি সহজে জীবাণুমুক্ত করা যায়।

যদি কোনো সঙ্গী যৌন সংক্রামক ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়, তবে প্রতি সুপারিশ করা হয়ে থাকে, যেন সেই দম্পতি যৌন রোগ ভালো না হওয়া অবধি এই সেক্স টয় ব্যবহার না করেন।

সকল সেক্স টয়কে ব্যবহারের পর সম্পূর্ণভাবে পরিশোধিত করতে হবে। এই পরিশোধনের প্রক্রিয়াটা নির্ভর করে কোন উপাদানের দ্বারা এই সেক্স টয় তৈরী হয়। যেমন ডিসওয়াটারে কিছু সেক্স টয়কে ধৌত করা বা সিদ্ধ করা যেতে পারে। বেশিরভাগ সেক্স টয়ের ব্যবহার ও ধৌতবিধি নিয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা থাকে; সেটা সতর্কতার সাথে অনুসরণ করা উচিত। একটি সেক্স টয় শুধুমাত্র অন্য কেও ব্যবহার করলেই ধৌত করা উচিত; এমনটা নয়, বরং একই ব্যক্তি শরীরের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করলেও (যেমনঃ মুখ, ভ্যাজিনা, পায়ু) তা ধৌত করা উচিত।

সেক্স টয়ের কোথাও ফাটল বা ভাঙা আছে কিনা, তা নিয়মিত খেয়াল রাখা উচিত। কারণ সেই জায়গাটাই হয়ে উঠতে পারে; ব্যাকটেরিয়ার প্রজননের আবাদস্থল। সর্বোত্তম পন্থা হলো, ত্রুটিপুর্ণ সেক্স টয়কে বাদ দিয়ে ত্রুটিহীন সেক্স টয় নিয়ে আসা। গর্ভবতী নারীর সেক্স টয় ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যেসব সেক্স টয়ের জন্য রক্ত পাত হয়, তা পরিহার করাই উত্তম। কারণ তা নিরাপদ নয়। মলদ্বারে সেক্স টয় ব্যবহার করা হলে সেক্স টয় "... সহজেই হারিয়ে যেতে পারে" যেমন রেক্টাল মাংসপেশী সঙ্কুচিত করে এবং একটি বস্তু শুষে নিতে পারে,সম্ভাব্য কোলন আটকাতে "এই গুরুতর সমস্যা প্রতিরোধ করতে সেক্স টয় ব্যবহারকারীদের পরিবর্তনশীল অথবা সূতা জাতীয় (নমনীয়) সেক্স টয় ব্যাবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।

আরো দেখুন

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение