Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

পায়েলোনেফ্রাইটিস

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
পায়েলোনেফ্রাইটিস
প্রতিশব্দ বৃক্কের সংক্রমণ
A color photomicrograph, demonstrating macrophages and giant cells in a case of xanthogranulomatous pyelonephritis.
CD68 immunostaining on this Micrograph/photomicrograph shows macrophages and giant cells in a case of xanthogranulomatous pyelonephritis
উচ্চারণ
বিশেষত্ব ইউরোলজি, নেফ্রোলজি
লক্ষণ জ্বর , পার্শ্বদেশে ব্যথা (Flank pain), বমি বমি ভাব (Nausea), প্রস্রাবের সাথে জ্বালাপোড়া ভাব এবং ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
জটিলতা বৃক্কের চারপাশে পুঁজ, সেপসিস, অথবা বৃক্ক বিকল
কারণ সংক্রমণ
ঝুঁকির কারণ যৌনসঙ্গম, পূর্বে মূত্রনালীর সংক্রমণ, বহুমূত্ররোগ, মূত্রনালীর গঠনগত সমস্যা এবং শুক্রাণুনাশকের ব্যবহার
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় অ্যাপেন্ডিসাইটিস,ডাইভার্টিকুলাইটিস, এন্ডোমেট্রিওসিস,শ্রোণীর প্রদাহ রোগ, বৃক্ক পাথর রোগ
প্রতিরোধ সঙ্গমের পরে মূত্রত্যাগ, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
ঔষধ অ্যান্টিবায়োটিক (সিপ্রোফ্লোক্সাসিন, সেফট্রিয়াক্সন)

পায়েলোনেফ্রাইটিস হল বৃক্কের প্রদাহ যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়। অধিকাংশক্ষেত্রেই এর উপসর্গ থাকে জ্বর এবং পার্শ্বদেশে ব্যথা (Flank pain)। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে থাকতে পারে বমি বমি ভাব (Nausea), প্রস্রাবের সাথে জ্বালাপোড়া ভাব এবং ঘন ঘন মূত্রত্যাগ। বৃক্কের চারপাশে পুঁজ, সেপসিস, অথবা বৃক্ক বিকল হল এ রোগের জটিলতা।

এটি সাধারণত কোন ব্যাকটেরিয়ার (সবেচেয়ে বেশি এশেরিকিয়া কোলাই বা Echerichia coli) সংক্রমণের কারণে হয়। ঝুঁকির কারণসমূহের মাঝে রয়েছে যৌনমিলন, পূর্বে মূত্রনালির সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, মূত্রনালীর গঠনগত সমস্যা এবং শুক্রাণুনাশকের ব্যবহার। সাধারণত মূত্রনালির (Urinary Tract) ভেতর দিয়ে সংক্রমণটি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তপ্রবাহের মাধ্যমেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। রোগনির্ণয় সাধারণত উপসর্গের উপর ভিত্তি করে করা হয় এবং সুনিশ্চিত করা হয় মূত্র বিশ্লেষণের (Urinalysis) মাধ্যমে। চিকিৎসার পরেও কোন উন্নতি দেখা না দিলে "মেডিকেল ইমেজিং"-এর পরামর্শ দেয়া হয়।

যৌনসঙ্গমের পরে মূত্রত্যাগ ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার মাধ্যমে পায়েলোনেফ্রাইটিস প্রতিরোধ করা যেতে পারে। সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক যেমন- সিপ্রোফ্লোক্সাসিন বা সেফট্রিয়াক্সন দিয়ে এ রোগের চিকিৎসা করা হয়। গুরুতর রোগীদের হাসাপাতালে থেকে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। কারও যদি মূত্রনালির বিশেষ কোন গঠনগত সমস্যা অথবা বৃক্কে পাথর থাকে, তাহলে তাদের সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

লক্ষণ ও উপসর্গ

চিত্রে যেসব জায়গায় সাধারণত ব্যথা থাকে তা দেখাচ্ছে।

অ্যাকিউট পায়েলোনেফ্রাইটিসের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো সাধারণত খুব দ্রুত, কয়েক ঘণ্টা বা একদিনের মধ্যে, প্রকাশ পায়। এর ফলে তীব্র জ্বর ও প্রস্রাব করার সময় ব্যথা হতে পারে, সাথে পেটব্যাথাও থাকতে পারে যা কোমড়ের পাশ দিয়ে পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে এসবের সাথে বমিও হতে পারে।

ক্রনিক পায়েলোনেফ্রাইটিসের কারণে থাকতে পারে পেটে কিংবা পার্শ্বদেশে বিরামহীন ব্যাথা, সংক্রমণের লক্ষণসমূহ (জ্বর, অনভিপ্রেত ওজন হ্রাস, অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ করা, ক্ষুধামান্দ্য), মূত্রনালির নিম্নাংশের উপসর্গসমূহ এবং প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তের উপস্থিতি। এছাড়াও ক্রনিক পায়েলোনেফ্রাইটিস "অজানা জ্বর" (Pyrexia of unknown origin [১]) এর কারণ হতে পারে।

রোগের কারণ

অধিকাংশক্ষেত্রেই "কমিউনিটি-একুয়ার্ড" পায়েলোনেফ্রাইটিস হয় অন্ত্রের অণুজীব দ্বারা যা মূত্রনালির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। অণুজীব হিসেবে সাধারণত এশেরিকিয়া কোলাই (৭০-৮০%) ও এন্টেরোকক্কাস ফিকালিস (Enterococcus faecalis) থাকে। কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া এবং এন্টেরোকক্কাই (Enterococci)- এর পাশাপাশি সম্প্রদায়ে বিরল অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া (যেমনঃ সিউডোমোনাস এরুজিনোসা ও বিভিন্ন প্রজাতির ক্লেবসিয়েলা)-র কারণে হাসপাতাল-লব্ধ সংক্রমণ (Hospital-acquired infections) ঘটতে পারে। অধিকাংশক্ষেত্রে পায়েলোনেফ্রাইটিস মূত্রনালির নিম্নাংশের সংক্রমণ, বিশেষ করে সিস্টাইটিস ও প্রোস্টেটাইটিস, হিসেবে শুরু হয়।ই . কোলাই মূত্রথলির পৃষ্ঠস্থ ছাতাকৃতির কোষে (Superficial umbrella cells of bladder) আক্রমণ করে অন্তঃকোষীয় ব্যাকটেরিয়ার সম্প্রদায় (Intracellular bacterial community, IBC) গঠন করতে পারে যা পরবর্তীতে বায়োফিল্মে (Biofilm) পরিণত হয়। এইসব বায়োফিল্ম-গঠনকারী ই . কোলাই অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি ও ইমিউনতন্ত্রের সাড়া ( Immune system response) প্রতিরোধী। এই প্রতিরোধ্যতা পায়েলোনেফ্রাইটিসসহ মূত্রনালির অন্যান্য সংক্রমণ পুনঃসংঘটিত হওয়ার সম্ভাব্য ব্যাখ্যা প্রদান করে। নিম্নলিখিত ক্ষেত্রসমূহে ঝুঁকির সম্ভবনা বেড়ে যায়।

  • যান্ত্রিকঃ মূত্রনালির যেকোন গঠনগত সমস্যা, ভেসিকোইউরেটারাল রিফ্লাক্স (মূত্র মূত্রথলি থেকে বিপরীত দিকে অর্থাৎ রেচননালি বা বৃক্কের দিকে প্রবাহিত হয়; ইংরেজিতে Vesicoureteral reflux), বৃক্কে পাথর ,মূত্রনিষ্কাশনযন্ত্র ব্যবহার (Urinary catheterization), রেচননালির স্টেন্টসমূহ (Ureteral stents) অথবা নিষ্কাশন পদ্ধতিসমূহ (যেমনঃ নেফ্রোস্টমি), গর্ভধারণ, নিউরোজেনিক ব্লাডার এবং পুরুষের প্রোস্টেটগ্রন্থির রোগ (যেমনঃ বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া)।
  • আভ্যন্তরিকঃ ডায়াবেটিস, দূর্বল ইমিউনতন্ত্র (Immunocompromised)।
  • আচরণগতঃ একবছেরর ভেতর যৌনসঙ্গীর পরিবর্তন, শুক্রাণুনাশক ব্যবহার
  • পারিবারিক ইতিহাস (বিশেষ করে যদি কারও নিকটাত্মীয়ের বার বার সংক্রমণের ইতিহাস থাকে)

রোগ নির্ণয়

ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা

মূত্র বিশ্লেষণ করলে মূত্রনালির সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যেতে পারে। বিশেষত সাধারণ লক্ষণবিশিষ্ট রোগীর ক্ষেত্রে ডিপস্টিক টেস্টে (বা Urine test strip [২]) মূত্রের নাইট্রাইটসমূহ (Urinary nitrite) এবং শ্বেত রক্তকণিকার (Leukocytes) উপস্থিতি পায়েলোনেফ্রাইটিস নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট। এসব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতালব্ধ চিকিৎসা পদ্ধতি (Empirical therapy [৩]) ব্যবহার করা হয়। রক্ত পরীক্ষা যেমনঃ কমপ্লিট ব্লাড কাউন্টে নিউট্রোফিলিয়া (Neutrophilia) থাকতে পারে। ব্লাড কালচার ও অ্যান্টিবায়োটিকের সংবেদনশীলতা পরীক্ষা সহ বা ছাড়া মূত্রের মাইক্রোবায়োলজিকাল কালচার করা একটা বিধিসম্মত রোগনির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় এবং আবশ্যক বলে বিবেচিত হয়।

ইমেজিং পঠন

যদি বৃক্কে পাথর আছে বলে সন্দেহ করা হয় (যেমনঃ বিশিষ্টমূলক কোলিকি ব্যথা অথবা মূত্রে রক্তের পরিমাণের অসংগতির উপর ভিত্তি করে), তাহলে একটি "বৃক্ক, রেচননালি ও মূত্রথলি"-র এক্সরে ( Kidneys, Ureters, and Bladder X-ray aka KUB film) রেডিওঅস্বচ্ছ (Radioopaque) পাথর সনাক্তকরণে সহায়তা করতে পারে।

শ্রেণীবিভাগ

  • অ্যাকিউট পায়েলোনেফ্রাইটিস
  • ক্রনিক পায়েলোনেফ্রাইটিস

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение