Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
পীতজ্বর
পীতজ্বর | |
---|---|
প্রতিশব্দ | yellow jack, yellow plague, bronze john |
বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ |
পীতজ্বর (ইংরেজি: Yellow fever) বা ইয়েলো ফিভার একটি ভাইরাসঘটিত রোগ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে লক্ষণসমূহ হলো জ্বর, ক্ষুধামন্দা, বমিভাব, মাংসপেশিতে ব্যথা (বিশেষ করে পিঠে), ও মাথাব্যথা। লক্ষণগুলো সাধারণত পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে যায়।
কারো কারো ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো উন্নতি হওয়ার একদিনের মধ্যে পুনরায় জ্বর হতে পারে, পেটব্যথা শুরু হয় ও যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জন্ডিস হতে পারে ও শরীর হলুদ হয়ে যায়। এইজন্য এই রোগের নাম পীতজ্বর রাখা হয়েছে। জন্ডিস হলে রোগীর রক্তক্ষরণ ও কিডনি ফেইলিওরের সম্ভাবনা বাড়ে।
যে ভাইরাসের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় তা ইয়েলো ফিভার ভাইরাস নামে পরিচিত। Aedes aegypti প্রজাতির মশা এই ভাইরাসের বাহক। এটি ফ্ল্যাভিভাইরাস গণের অন্তর্ভুক্ত একটি আরএনএ ভাইরাস। প্রাথমিক অবস্থায় অন্যান্য রোগ থেকে এটাকে পৃথক করা কঠিন। এই ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে রক্ত নমুনা নিয়ে পলিমারেজ চেইন রিয়াকশন নামক পরীক্ষা করতে হয়।
এই রোগ প্রতিরোধের জন্য কার্যকর ও নিরাপদ টিকা বিদ্যমান। টিকার পাশাপাশি বাহক মশার বংশবৃদ্ধি ব্যাহত করতে হবে। যেসব এলাকায় পীতজ্বর হয় কিন্তু টিকার ব্যবস্থা নাই সেখানে মহামারী ঠেকানোর জন্য প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় ও টিকাদানের ব্যবস্থা করা খুব জরুরি। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করতে হয়, সুনির্দিষ্ট কার্যকর কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই।
প্রতিবছর দুই লক্ষ লোক পীতজ্বরে আক্রান্ত হয় ও প্রায় ত্রিশ হাজার মৃত্যুবরণ করে। প্রায় নব্বই শতাংশ রোগীই আফ্রিকার।দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি হলেও এশিয়াতে খুব একটা দেখা যায় না। ১৯৮০ সাল থেকে পীতজ্বর রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর জন্য জলবায়ুর পরিবর্তন, লোকজনের অধিক ভ্রমণ, শহরে বসবাসের প্রবণতা ও পর্যাপ্ত টিকার ব্যবস্থা না থাকাকে দায়ী করা হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে দাস বাণিজ্যের ফলে এই রোগ আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ আমেরিকায় ছড়িয়ে যায়। সপ্তদশ শতাব্দী থেকে আমেরিকা, আফ্রিকা ও ইউরোপে বেশ কয়েকবার মহামারী দেখা দেয়। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে পীতজ্বরকে অন্যতম ভয়ানক সংক্রামক ব্যাধি হিসেবে গণ্য করা হত। ১৯২৭ সালে সকল ভাইরাসের মধ্যে ইয়েলো ফিভার ভাইরাসকেই প্রথমবারের মতো পৃথক করা সম্ভব হয়েছিল।
উপসর্গ
পীতজ্বরের সুপ্তাবস্থা তিন থেকে ছয় দিন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লক্ষণসমূহ হলো জ্বর, ক্ষুধামন্দা, বমিভাব বা বমি, মাংসপেশিতে ব্যথা (বিশেষ করে পিঠে), পেটব্যথা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা ও জন্ডিস।
কারণ
ইয়েলো ফিভার ভাইরাস | |
---|---|
ভাইরাসের শ্রেণীবিন্যাস | |
গ্রুপ: | ৪র্থ গ্রুপ ((+)ssRNA) |
বর্গ: | Unassigned |
পরিবার: | Flaviviridae |
গণ: | Flavivirus |
প্রজাতি: | Yellow fever virus |
ইয়েলো ফিভার ভাইরাস নামক RNA ভাইরাস এই রোগের জন্য দায়ী।
আরো পড়ুন
- Crosby, M. (২০০৬)। The American Plague: The Untold Story of Yellow Fever, the Epidemic that Shaped Our History। New York: The Berkley Publishing Group। আইএসবিএন 0-425-21202-5।
- Espinosa, M. (২০০৯)। Epidemic Invasions: Yellow Fever and the Limits of Cuban Independence, 1878–1930। Chicago: University of Chicago Press। আইএসবিএন 978-0-226-21811-3।
- Murphy, J. (২০০৩)। An American Plague: The True and Terrifying Story of the Yellow Fever Epidemic of 1793। New York: Clarion Books। আইএসবিএন 0-395-77608-2।
- Nuwer, D. S. (২০০৯)। Plague Among the Magnolias: The 1878 Yellow Fever Epidemic in Mississippi। University of Alabama Press। আইএসবিএন 978-0-8173-1653-2।
বহিঃসংযোগ
- কার্লিতে পীতজ্বর (ইংরেজি)
- Finlay CJ (২০১২)। "The Mosquito Hypothetically Considered as the Transmitting Agent of Yellow Fever"। MEDICC Review। 14 (1): 56–9।
- "Philip S. Hench Walter Reed Yellow Fever Collection." Claude Moore Health Sciences Library, University of Virginia
- "Yellow Fever and the Reed Commission." Claude Moore Health Sciences Library, University of Virginia
- "Yellow fever virus"। NCBI Taxonomy Browser। 11089।
Arthropod-borne |
|
||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
Mammal-borne |
|
||||||||||||||||||