Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
পৃষ্ঠমৃত্তিকা

পৃষ্ঠমৃত্তিকা

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
বৃষ্টি ঝড়ের সময় আইওয়াতে একটি খামার থেকে পৃষ্ঠের মাটি উড়ে যাচ্ছে, এটি এক ধরনের অনির্দিষ্ট উৎস দূষণ।

পৃষ্ঠমৃত্তিকা হলো মাটির উপরের বহির্ভাগের স্তর, এটি সাধারণত উপরি ভাগে ৫-১০ ইঞ্চি (১৩-২৫ সেমি) গভির হয়ে থাকে। এতে জৈব পদার্থ এবং অণুজীবের ঘনত্ব সর্বাধিক এবং পৃথিবীর জৈবিক মাটির কার্যকলাপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ অংশেই ঘটে থাকে। পৃষ্ঠমৃত্তিকা খনিজ কণা, জৈব পদার্থ, পানি এবং বায়ু দ্বারা গঠিত। জৈব পদার্থ ভিন্ন ভিন্ন মাটিতে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে থাকে। জৈব পদার্থের উপস্থিতি দ্বারা মাটির কাঠামোর শক্তি হ্রাস পায়, দুর্বল ভারসাম্য ক্ষমতা তৈরি করে। জৈব পদার্থ ঘনীভূত করে এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে যেমন রোডবেডস এবং ভিত্তির অধীনে বিভিন্ন উপায়ে স্থায়ী হয়। মাটি জলাবদ্ধ হলে এর গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাটির পরিমাণ যথেষ্ট পরিমাণে হ্রাস পায়। এটি পচে যায় এবং এতে বাতাসের পরিমান কমে যায়।

গুরুত্ব

গাছপালা তাদের অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টির বেশিরভাগ এখান থেকে গ্রহণ করায় সাধারণত এই স্তরটিতে গাছের মূলের ঘনত্ব বেশি থাকে। মাটির পৃষ্ঠস্তরের যথাযথ গভীরতা পরিমণ্ডল হিসাবে পরিচিত অন্তর্মৃত্তিকা প্রধান গহনভাবে বন্ধনযুক্ত মাটির স্তরের পৃষ্ঠের গভীরতা হিসাবে পরিমাপ করা হয়।

শ্রেণিবিন্যাস

মাটির শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতিতে পৃষ্ঠমৃত্তিকা "ও দিকচক্রবাল বা এ দিকচক্রবাল" নামে পরিচিত, সুতরাং এটি একেবারে শীর্ষ স্তর।

যুক্তরাজ্যে বাণিজ্যিকভাবে সহজলভ্য পৃষ্ঠমৃত্তিকা (উৎপাদিত বা প্রাকৃতিকভাবে ঘটে) ২০১৫ সালের বর্তমান সংস্করণসহ ব্রিটিশ মান বিএস ৩৮৮২ তে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। মানের চূড়ান্ত শ্রেণিবিন্যাসের সাথে পৃষ্ঠমৃত্তিকার কয়েকটি শ্রেণিবিন্যাস রয়েছে যা নির্দিষ্ট প্রান্তিক মানদণ্ড পূরণ করার জন্য কতগুলো উপাদান প্রয়োজন যেমন, পুষ্টি উপাদান, এক্সট্র্যাকটেবল ফাইটোটক্সিক উপাদানসমূহ, কণার আকার বিতরণ, জৈব পদার্থের পরিমাণ, কার্বন: নাইট্রোজেন অনুপাত, বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা, ইগনিশন ক্ষয়, পিএইচ, রাসায়নিক এবং ভৌত দূষণ। পৃষ্ঠমৃত্তিকা ব্রিটিশ মান এবং ইউরোপীয় আদর্শ বিএস ইএন ১২৫৭৯:২০১৩ মৃত্তিকা সংস্কারক এবং ক্রমবর্ধমান মিডিয়া - নমুনা অনুসারে নমুনাযুক্ত হওয়া উচিত। আবাসিক এলাকার জন্য বাগান তৈরির সময় পৃষ্ঠমৃত্তিকা যথাযথভাবে প্রত্যয়িত মৃত্তিকার একটি স্তর দ্বারা আচ্ছাদিত হওয়া উচিত যা অন্তমৃত্তিকার জন্য ব্রিটিশ মান বিএস ৮৬০১:২০১৩ দ্বারা  নির্দিষ্টকৃত এবং ব্যবহারের জন্য আবশ্যিক শর্ত।

এটি সর্বদা পরামর্শ দেওয়া হয় যে নির্মাণ প্রকল্পগুলির জন্য পৃষ্ঠমৃত্তিকার ডিএফআরএ রিপোর্ট অনুসারে সামঞ্জস্য রেখে স্থাপন করা, নির্মাণ এলাকার মাটির টেকসই ব্যবহারের জন্য নির্মাণ  কোড মেনে চলা উচিত।

গুণাগুন

একটি উদ্যান প্রকল্প শুরু করার সময় মাটি সন্তোষজনক কিনা তা খতিয়ে দেখা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের পুষ্টির চাহিদা ভিন্ন হয় এবং পছন্দসই মাটির শর্তবলীর মধ্যে পরিবর্তিত হয়, অনেকগুলি নির্দিষ্ট অবস্থার সাথে দৃঢ় ভাবে মানিয়ে নেয়। যাহোক, "পৃষ্ঠমৃত্তিকার পুষ্টির কাঙ্ক্ষিত স্তরের" জন্য কিছু সাধারণ নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে, বহু গাছপালার জন্য যা মোটামুটি উপযুক্ত।

বিভাগ কাঙ্ক্ষিত ফলাফল
পিএইচ (pH) স্তর ৫.৫ থেকে ৬.২
ফসফরাস (P-I) ৫০ এর সূচক
পটাসিয়াম (K-I) ৫০ এর সূচক
ক্যালসিয়াম (Ca%) ৪০-৬০% কেটায়ন বিনিময় সক্ষমতা (CEC)
ম্যাগনেসিয়াম (Mg%) ৮-১০% কেটায়ন বিনিময় সক্ষমতা
ভিত্তি সম্পৃক্তি (BS%) ৩৫-৮০% কেটায়ন বিনিময় সক্ষমতা
ম্যাঙ্গানিজ (Mn-I) সূচক > ২৫
জিঙ্ক বা দস্তা (Zn-I) সূচক > ২৫
কপার বা তামা (Cu-I) সূচক > ২৫

পৃষ্ঠমৃত্তিকার দুটি সাধারণ ধরন হলো স্তূপ এবং ফাঁপা পৃষ্ঠমৃত্তিকা। নিম্নলিখিত সারণীতে উভয়ের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো দেখানো হয়েছে।

পৃষ্ঠমৃত্তিকার ধরন HM% BS% পিএইচ (pH) ফসফরাস (P-I) পটাসিয়াম (K-I) ক্যালসিয়াম (Ca%) ম্যাগনেসিয়াম (Mg%)
স্তূপ ০.৩ ৬৯ ৫.২ ০০৯ ০২৬ ৪৫ ১০
ফাঁপা ০.৭ ৭৮ ৫.৮ ১৬৬+ ১৭৮ ৫৬ ১২.৩

বিকল্পভাবে ব্রিটিশ মান অন্যান্য কার্যকরী মানের সাথে সম্পর্কিত:

বিভাগ কাঙ্ক্ষিত ফলাফল
পিএইচ (pH) স্তর ৫.৫ থেকে ৮.৫
ফসফেট (PO4) ১৬ থেকে ১৪০ মিলিগ্রাম/লিটার
পটাসিয়াম (K) ১২১ থেকে ১৫০০ মিলিগ্রাম/লিটার
ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ৫১ থেকে ৬০০ মিলিগ্রাম/লিটার
নিকেল (Ni) হতে <৬০ মিলিগ্রাম/কেজি
জিঙ্ক বা দস্তা (Zn) হতে <২০০ মিলিগ্রাম/কেজি
কপার বা তামা (Cu) হতে <১০০ মিলিগ্রাম/কেজি

এটি বিভিন্ন শ্রেণীর এবং নির্দিষ্ট স্তরের জন্য মাটির পিএইচ পরিবর্তন হতে পারে। মানের নির্দিষ্ট অন্যান্য ব্যবহার যা বিভিন্ন এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ব্যবহারের অনুমতি দেয়: অম্লধর্মী, চুনযুক্ত , কম উর্বরতা, কম উর্বরতা অম্লধর্মী এবং কম উর্বরতা চুনযুক্ত। এই ব্যবহারগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ এবং নির্মাণ প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্যতা থাকা উচিত।

কার্বন থেকে নাইট্রোজেন অনুপাত

পৃষ্ঠমৃত্তিকা উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং ফসলের উন্নতি হওয়ার প্রাথমিক সংস্থান এবং এর প্রধান দুটি উপাদান হলো কার্বন এবং নাইট্রোজেন। কার্বন শক্তি উৎপাদন করে এবং নাইট্রোজেন একটি টিস্যু নির্মানে সহায়তা করে এবং গাছপালার উপযুক্ত বিকাশে সক্ষমতা তৈরি করতে বিভিন্ন অনুপাতে তা প্রয়োজন হয়। যুক্তরাজ্যে পৃষ্ঠমৃত্তিকার জন্য সর্বাপেক্ষা অনুকূল মাত্রা হলো ২০:১ এর চেয়ে কম অনুপাত। এটি নিশ্চিত করে যে মাটিতে গাছগুলির সঠিকভাবে বৃদ্ধি হওয়ার জন্য উপযুক্ত শক্তি সংরক্ষণের পাশাপাশি টিস্যু গঠনের উপাদান রয়েছে। একটি কাঠের মজ্জা সাধারণত একটি অঙ্গারময় ভিত্তি এবং এতে একটি উচ্চ কার্বন: নাইট্রোজেন অনুপাত (সি. ৪০০:১ এর ক্রম) থাকে যেখানে একটি ত্রিপত্রবিশিষ্ট উদ্ভিদের খড়ে কম অঙ্গারময় উপাদান থাকে এবং সাধারণত: ১২:১ অনুপাতে কার্বন: নাইট্রোজেন থাকতে পারে।

বাণিজ্যিক ব্যবহার

বাণিজ্যিকভাবে মাটির বিভিন্ন ধরনের মিশ্রণ বিক্রয় করা হয় যা সাধারণত বাগান এবং ঘাসের উন্নতির জন্য ব্যবহার করা হয়, যেমন পাত্রে বাগান, পটিং মিক্স এবং পিট। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা এখনও সাধারণভাবে জানা যায়নি তা হ'ল বাড়িগুলির মতো আবাসিক ভবনগুলির নিকটে সঠিক পৃষ্ঠতল বাগানের জন্য পৃষ্ঠমৃত্তিকা ব্যবহার। "বাড়ির চারপাশের বাগান ঘর থেকে প্রথম দশ ফুট ছয় ইঞ্চি ঢালু হওয়া উচিত। এটি প্রায়শই পৃষ্ঠমৃত্তিকা যোগ করে (বালু বা নুড়ি ব্যবহার না করে) করা যায়।

ক্ষয়

যখন পৃষ্ঠমৃত্তিকার স্তর উড়ে বা ধুয়ে যায় তখন পৃষ্ঠমৃত্তিকার ক্ষয় হিসাবে এটিকে প্রধান পরিবেশগত উদ্বেগ দেখা হয়। পৃষ্ঠমৃত্তিকা ছাড়া একটি ছোট গাছের জীবন ধারণ সম্ভব। মাটি ক্ষয়ের সাথে সম্পর্কিত জনসাধারণ ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য ক্ষতির আনুমানিক বার্ষিক ব্যয় ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রচলিত পদ্ধতি কৃষিক্ষেত্রের ক্ষয়কে প্রণোদিত করে কারণ প্রতি বছর মাটি চষা হয় এবং পুনরায় রোপণ করা হয়। টেকসই কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে মাটিতে জৈব পদার্থ গঠনের জন্য আচ্ছাদিত ফসলের ব্যবহারের মাধ্যমে ক্ষয়কে ধীর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই প্রতি বছর প্রতি একরে প্রায় ৩ টন পৃষ্ঠমৃত্তিকা হারায়। এটি অত্যন্ত পরিবেশগত উদ্বেগের কারণ যে প্রাকৃতিকভাবে এক ইঞ্চি পৃষ্ঠমৃত্তিকা গঠন করতে ৫০০ থেকে ১০০০ বছর সময় লাগতে পারে। ২০১৪ প্রবণতার উপর ভিত্তি করে মনে করা হয় বিশ্বে আর মাত্র ৬০ বছরের পৃষ্ঠমৃত্তিকা অবশিষ্ট রয়েছে।

সংরক্ষণ

বাণিজ্যিক প্রয়োগে এর ব্যবহার এবং ক্ষয়ের বিষয়ে পরিবেশগত উদ্বেগের কারণে ব্যবহারকারীর কোন প্রকল্পের জন্য তাদের কতটুকু পৃষ্ঠমৃত্তিকা প্রয়োজন তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রে পৃষ্ঠমৃত্তিকা মূলত ঘন গজ হিসেবে বিক্রি করা হয়। প্রয়োজনীয় মাটির পরিমাণ গণনা করতে, "দৈর্ঘ্য (ফুট এককে) কে প্রস্থ (ফুট এককে) দ্বারা গুণ করে এরপর গভীরতা (ফুট এককে) দ্বারা গুণ করতে হবে (যেহেতু এটি ফুটি হিসাব যদি ৫ ইঞ্চি চায় তাহলে তা ৫/১২ হবে) তারপর প্রাপ্ত মোট ফলকে ২৭ দ্বারা ভাগ করলেই ঘন গজ এককে মোট মাটির পরিমান পাওয়া যাবে। এই হিসাবের মাধ্যমে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ঘন গজ মাটি দিবে। উদা: মনে করি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, প্রস্থ ১০ ফুট, এবং গভীরতা ৫ ইঞ্চি। তাহলে মোট মাটির প্রয়োজন ১০ x ১০ x (৫/১২) = ৪১.৬৬/২৭ = ১.৫৪ ঘন গজ মাটি প্রয়োজন।"

আরও দেখুন

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение