Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
প্যারাসিটামল বিষক্রিয়া

প্যারাসিটামল বিষক্রিয়া

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
প্যারাসিটামল বিষক্রিয়া
প্রতিশব্দ অ্যাসিটোমিনোফেন বিষক্রিয়া, প্যারাসিটামল টক্সিসিটি, অ্যাসিটোমিনোফেন টক্সিসিটি, প্যারাসিটামল ওভারডোজ, অ্যাসিটোমিনোফেন ওভারডোজ, টাইলেনল ওভারডোজ
Paracetamol-skeletal.svg
প্যারাসিটামল
বিশেষত্ব বিষক্রিয়াবিজ্ঞান
লক্ষণ প্রারম্ভে: সুনির্দিষ্ট নয়, ক্লান্ত অনুভব করা, পেট ব্যাথা, বমি বমি ভাব
পরবর্তীতে: হলদে ত্বক, রক্ত জমাট বাধার সমস্যা, মানসিক বিভ্রান্তি
জটিলতা যকৃতের অকার্যকারীতা, বৃক্কের অকার্যকারীতা, অগ্ন্যাশয় প্রদাহ, রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস, ল্যাক্টিক অ্যাসিডোসিস
রোগের সূত্রপাত বিষক্রিয়ার ২৪ ঘণ্টার পর
কারণ ৭ গ্রামের (৭,০০০ মিলিগ্রাম) বেশির প্যারাসিটামল গ্রহণ
ঝুঁকির কারণ মদ্যাসক্তি, অপুষ্টি, সুনির্দিষ্ট অন্যান্য ওষুধ
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি ওষুধ গ্রহণের পর নির্দিষ্ট সময় পর রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় মদ্যাসক্তি, ভাইরাসঘটিত হেপাটাইটিস, গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস
চিকিৎসা কাঠ-কয়লার গুড়ো, অ্যাসিটাইলসিস্টাইন, যকৃৎ প্রতিস্থাপন
আরোগ্যসম্ভাবনা ~০.১% ক্ষেত্রে মৃত্যু
সংঘটনের হার প্রতি বছর ১ লক্ষ (যুক্তরাষ্ট্র)

প্যারাসিটামল বিষক্রিয়া (ইংরেজি: paracetamol poisoning) যা এসিটামিনোফেন বিষক্রিয়া নামেও পরিচিত, হলো মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল (এসিটামিনোফেন) ওষুধ গ্রহণ করার ফলে শরীরে সৃষ্ট বিষক্রিয়া। বেশিরভাগ মানুষ অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বা অনির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ প্রত্যক্ষ করেন যার মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি অনুভব করা, পেটব্যাথা, বা বমি বমি ভাব। এর পর সাধারণত কয়েকদিন আর কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, কিন্তু তার পরেই হলদে ত্বক, রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা, মানসিক বিভ্রান্তি বা এলোমেলো অবস্থার মতো উপসর্গ দেখা যায় যা যকৃতের অকার্যকারীতার কারণে সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত জটিলতার মধ্যে রয়েছে বৃক্কের অকার্যকারীতা, অগ্ন্যাশয় প্রদাহ, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়া, এবং ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিস। আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু না হলে সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা না হলে কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগী নিজে নিজেই সুস্থ হয়ে উঠলেও অন্যথায় তা মৃত্যুর কারণ হয়।

দুর্ঘটনাজনক কারণে বা আত্মহত্যার প্রচেষ্টা হিসেবে প্যারাসিটামল বিষক্রিয়া ঘটে থাকতে পারে।.মদ্যাসক্তি, অপুষ্টিসহ অন্যান্য কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবনের কারণে এই বিষয়ক্রিয়ার প্রভাবে সৃষ্ট ঝুঁকির তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। তবে যকৃতের ক্ষতি সরাসরি প্যারাসিটামলের কারণে হয় না, বরং এর বিপাক থেকে সৃষ্ট যৌগ এন-এসিটাইল-পি-বেনযোকুইনোন ইমাইনের (এনএপিকিউআই) কারণে হয়। এনএপিকিউআই যকৃতে গ্লুটাথায়োনের উৎপাদন হ্রাস করে যা প্যারাসিটামল থেকে সৃষ্ট বিষক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে কাজ করে। গ্লুটাথায়োনের অভাবে এনপিকিউআই সরাসরি যকৃতের কোষের ক্ষতিসাধন করা শুরু করে। প্যারাসিটামল গ্রহণের সুনির্দিষ্ট সময় পর রক্তে এর পরিমাণ পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিষক্রিয়া পরিমাণ ও মারাত্মকতা নির্ণয় করা সম্ভব। ঝুঁকির মাত্রা নির্ণয়টি প্রায় সময়-ই পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত মান রুম্যাক-ম্যাথিউ নমোগ্রামে সাজানোর মাধ্যমে করা হয়।

অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের পরপর-ই যদি আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন সেক্ষেত্রে কাঠ-কয়লা বা চারকোলের গুড়ো গ্রহণের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে। গ্রহণ করার পর ব্যক্তিকে বমি করানোর চেষ্টাকে নিরুৎসাহিত করা হয়। যদি বিষক্রিয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি থাকে তবে বিশনাষক বা অ্যান্টিডোট হিসেবে অ্যাসিটাইলসিস্টাইন গ্রহণের সুপারিশ করা হয় যা সাধারণত শুরুর পর ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রদান করা হয়। বিষক্রিয়া থেকে আরোগ্যের পর আক্রান্ত ব্যক্তির মনোরোগ চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যকৃৎ যদি অত্যন্ত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেক্ষেত্রে শেষ চেষ্টা হিসেবে যকৃৎ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ধরনের প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নিম্ন মাত্রার রক্তের পিএইচ, উচ্চ মাত্রার রক্তের ল্যাক্টেট, ও রক্ত জমাট বাধার সামর্থ্য হ্রাস পাওয়া, বা হেপাটিক এনসেফ্যালোপ্যাথির উল্লেখযোগ্য উপস্থিতির মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা করা হয়ে যকৃতের অকার্যকারীতার সম্ভাবনা খুব-ই কম। এ ধরনের ক্ষেত্রে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ০.১%।

সর্বপ্রথম ১৯৬০-এর দশকে প্যারাসিটামল বিষয়ক্রিয়ার কথা বর্ণনা করা হয়। এই বিষক্রিয়ার হার বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের ঘটনার পরিমাণ প্রতি বছর দশ হাজারেরও বেশি।যুক্তরাজ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের ফলে সৃষ্ট জটিলতার মধ্যে প্যারাসিটামল বিষক্রিয়ার পরিমাণ সর্বোচ্চ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছোট বাচ্চারাই এ সমস্যার স্বীকার হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য উভয় দেশেই প্যারাসিটামল বিষয়ক্রিয়া যকৃতের জটিল অকার্যকারীতা বা একিউট লিভার ফেইলিউরের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত কারণ।

বহিঃসংযোগ

শ্রেণীবিন্যাস
বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান
  • Gerth, Jeff; T. Christian Miller (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Use Only as Directed"ProPublica। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১৩ 

Новое сообщение