Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

প্যারো

প্যারো হচ্ছে একটি চিকিৎসায় সাহায্যকারী রোবট শিশু হার্প সিল, যাকে বানানো হচ্ছে অত্যন্ত কোমল সুন্দর হিসেবে যাতে তা হাসপাতালে রোগীদের উপর কোমল প্রভাব রাখে এবং রোগীদের আবেগ বের করার চেষ্টা করে, যা প্রাণী-সহযোগে থেরাপির অনুরূপ তবে এক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার হয়।
ইতিহাস
১৯৯৩ সালের শুরুর দিকে প্যারোর নকশা তৈরি করে জাপানের এআইএসটি এর ইনটেলিজেন্ট সিস্টেম রিসার্চ ইন্সটিটিউটের তাকানোরি শিবাতা। ২০০১ সালের শেষদিকে এটিকে জনসম্মুখে আনা হয়। এর উন্নয়নে ইতোমধ্যে ১৫ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার ব্যয় হয় এবং ২০০৩ সালে "বেস্ট অফ কমডেক্সের" এর চূড়ান্ত পর্বে যায় (ফাইনালিস্ট), এবং ২০০৪ সাল থেকে শিবাতার কোম্পানি ইনটেলিজেন্ট সিস্টেম কো. এটি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করে আসছে। প্যারো তৈরি হয়েছে হার্প সিলের ভিত্তিতে যাদের শিবাতা দেখেছিলেন উত্তর-পূর্ব কানাডার একটি বরফাচ্ছাদিত অঞ্চলে যেখানে তিনি আবার তাদের ডাক ও সংরক্ষণ করেছিলেন যাতে তা প্যারোতে উপস্থাপন করা যায়। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ প্যারোকে ২য় শ্রেণীর চিকিৎসা যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে।
প্যারোকে প্রাথমিকভাবে দেখভালের বিশেষ করে ডেমেন্সিয়া রোগীদের জন্য থেরাপি হিসেবে ব্যবহার হয়েছে।
বর্ণনা
প্যারোতে কয়েকটি ডুয়াল ৩২-বিট প্রসেসর, তিনটি মাইক্রোফোন, পশম ঘিরে ১২ টি স্পর্শক্ষম সেন্সর, স্পর্শ কাতর পশম এবং একটি মোটর ও অ্যাকচুয়েটর মিলে একটি জটিল ব্যবস্থা আছে যেটি নিঃশব্দে এটির অঙ্গ ও দেহ পরিচালনা করে। রোবটটি এর লেজ নাড়িয়ে এবং চোখের পাপড়ি খুলে ও বন্ধ করে আদরের প্রতি সাড়া দেয়। শিবাতা এটি তৈরি করেছিলেন এমনভাবে যেন তা সরাসরি চোখে চোখ রাখতে পারে, স্পর্শের প্রতি সাড়া দিতে পারে, মানুষকে জড়িয়ে ধরতে পারে, চেহারা মনে রাখতে পারে এবং এমন সমস্ত ভঙ্গিমা করতে পারে যা পরিস্থিতির সাথে খাপ খায়। তিনি যুক্তি দেখান,
পৌষ্য থেরাপিতে যেমন প্রাণী ব্যবহার হয় প্যারো ও তেমনি হতাশা ও দুঃচিন্তা দূর করতে পারে তবে এটির কখনো খাদ্যের প্রয়োজন হয় না এবং কখনো মারা যায় না।
প্যারো ডাকের প্রতিও সাড়া দেয় এবং নাম মনে রাখতে পারে। এটি চমকে যাওয়া, খুশি হওয়া ও রাগ করার মত আবেগ দেখাতে পারে। এটি একটি সত্যিকারের শিশু শীলের মত শব্দ করতে পারে এবং শিশু শীলের স্বভাবের বদলে এটিকে দিনে জেগে থাকার ও রাতে ঘুমানোর প্রোগ্রাম করা হয়।
নৈতিক চিন্তা
ডঃ বিল থমাস মানুষের আবেগকে সহায়তা দেয়ার জন্য রোবটের উপর নির্ভর করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, ডঃ বিল থমাস গ্রিন হাউস প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা যেটির লক্ষ্য হচ্ছে প্রথাগত নার্সিং হোমে দীর্ঘ-মেয়াদী যত্নের পরিবর্তে ছোট, গৃহ-সদৃশ পরিবেশে রোগীর যত্ন নেয়া যাতে তারা জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারে। এমআইটি’র “ইনিশিয়েটিভ অন টেকনোলজি অ্যান্ড দ্য সেলফ” এর পরিচালক শেরী টারকেল যুক্তি দেখান যে প্যারোর মত রোবটগুলো একটি কৃত্রিম সম্পর্ক তৈরি করবে এবং যারা মানব সম্পর্ক জটিল মনে করে তারা রোবট সঙ্গীর দিকে ঝুঁকে যাবে।
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
দ্য সিম্পসনের "প্রতিস্থাপনযোগ্য তুমি" পর্বে বার্ট সিম্পসন এবং মার্টিন প্রিন্স তৈরি করেছিলেন রোবটিক শিশু শীল। এগুলো ছিল মূলত প্যারো রোবট যেগুলো তৈরির উদ্দেশ্য ছিল স্প্রিংফিল্ড রিটায়ারমেন্ট ক্যাসেলের বয়স্ক ব্যক্তিদের আনন্দ দেয়া। আজিজ আনসারির নেটফিল্কস নাটক মাস্টার অফ নানের অষ্টম পর্ব ‘’ওল্ড পিপলে’’ প্যারোকে দেখা গিয়েছিল।
বহিঃসংযোগ

- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (US)
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট (জাপান) (ইংরেজি এবং জাপানি ভাষায়)
- জার্মানিতে থেরাপেউটিক কাজে প্যারোর ব্যবহারের উপর সংবাদ প্রকল্প