ফুসফুসের এডিনোকার্সিনোমা
| ফুসফুসের এডিনোকার্সিনোমা | |
|---|---|
| প্রতিশব্দ | ফুসফুসীয় এডিনোকার্সিনোমা |
| লোবএক্টোমির মাধ্যমে অপসারিত ফুসফুসীয় এডিনোকার্সিনোমার বড়ো আকৃতির একটি প্যাথলজিকাল নমুনা | |
| বিশেষত্ব | অনকোলজি |
ফুসফুসের এডিনোকার্সিনোমা বা ফুসফুসীয় এডিনোকার্সিনোমা হচ্ছে সবচেয়ে প্রচলিত ধরনের ফুসফুসের ক্যান্সার। অন্যান্য ধরনের ফুসফুসের ক্যান্সের মতো এটিকেও সুনির্দিষ্ট কোষীয় ও আণবিক বৈশিষ্টের দ্বারা চিহ্নিত করা সম্ভব। এটি বিভিন্ন ধরনের অ-ক্ষুদ্র কোষীয় ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি। ভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট ও পূর্বাভাস থাকার কারণে ক্ষুদ্র কোষীয় ফুসফুসের ক্যান্সার থেকে এটিকে আলাদা করা সম্ভব। ফুসফুসীয় এডিনোকার্সিনোমাও বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। এ ধরনের ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ ও উপসর্গ অন্য ধরনের ফুসফুসের ক্যান্সারের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যা অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ঘন ঘন কাশি এবং শ্বাসকষ্ট।
দীর্ঘ সময় ধরে ধূমপান সেবনের ইতিহাস রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ফুসফুসীয় এডিনোকার্সিনোমার প্রচলন বেশি। তুলনামূলকভাবে কমবয়সী মহিলা ও এশীয়দের আক্রান্ত হওয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের মধ্যে এর প্রকোপ-ই সবচেয়ে বেশি। এডিনোকার্সিনোমার রোগশারীরবৃত্ত জটিল, তবে সাধারণত এটি এক ধরনের কোষীয় অগ্রসরণকে অনুসরণ করে আর তা হচ্ছে ফুসফুসের সুস্থ কোষ থেকে ক্রমান্বয়ে স্বতন্ত্রভাবে অস্বাভাবিকভাবে পরিবর্তিত হওয়া বা অনিয়মিত কোষে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে ক্যান্সার সৃষ্টি করা। এ ধরনের কোষীয় অগ্রসরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুনির্দিষ্ট আণবিক ও জিনগত ধাপ দায়ী। বেশিরভাগ ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো এডিনোকার্সিনোমাও অত্যন্ত অগ্রসর অবস্থায় ধরা পড়ে। যখন সিটি স্ক্যান বা এক্সরের মতো পরীক্ষায় টিউমার বা ক্ষত দেখা যায় তখন বায়োপসির মাধ্যমে এডিনোকার্সিনোমা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এ ধরনের ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা এর নির্দিষ্ট প্রকারভেদ এবং প্রাথমিক টিউমারের ছড়িয়ে পড়ার ব্যপ্তির উপর নির্ভর করে। শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে টিউমার অপসারণ, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, উদ্দেশ্যমূলক থেরাপি, এবং ইমিউনোথেরাপির মাধ্যমে এই রোগ নির্মূলের চেষ্টা করা হয়।