Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
বাস্তুসংস্থানিক বিপর্যয়

বাস্তুসংস্থানিক বিপর্যয়

Подписчиков: 0, рейтинг: 0

বাস্তুসংস্থানিক বিপর্যয় হচ্ছে এমন অবস্থা যখন বাস্তসংস্থানের দ্রুত, সম্ভাব্য স্থায়ী এবং তাড়াতাড়ি ধারণ ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে যা সময়ের সাথে গণবিলুপ্তিতে রূপ নেয়। সাধারণত এটি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘটে যায়। জৈব বস্তু, যারা বাস্তুসংস্থানের উপর নির্ভর করে, তাদের পরিবর্তনের ফলস্বরূপ বাস্তুসংস্থানিক বিপর্যয় ঘটে।

বাস্তুসংস্থানের বিঘ্ন ঘটাতে সক্ষম এমন যে কোনো বস্তু থেকে এ বিপর্যয় সৃষ্টি হ্ওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধস ও বিঘ্নকরণের মধ্যে মূল পার্থক্য দুটি বিষয়ের দ্বারা নির্ণয় করা হয়- বিষাক্ততা এবং বর্তমান বাস্তুসংস্থানের সহনশীলতার উপর।

জৈবিক গঠন ও বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে পৃথিবী প্রাকৃতিক নির্বাচনের দ্বারা সকল পরিবর্তনকে মোকাবিলা করতে সক্ষম। গাণিতিকভাবে বলা যায়, যত বেশি সংখ্যক জৈবিক বিষয়ের উপস্থিতি হবে, এরা একে অপরের্ ওঠানামাকে কমাতে সাহায্য করবে।

বাস্তুসংস্থানিক ধ্বসের ঘটনা আগে থেকেই ধারণা করা সম্ভব। সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত মডেল আর ফিফটি যা খাদ্যজাল ধসের জন্য ব্যবহার করা হয়, এটি খাদ্যজালের বলিষ্ঠতা নির্ণয় করে।

কারণ এবং উদাহরণ

বাস্তুসংস্তানিক ধসের পেছনে বিভিন্ন কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ― অ্যাস্টরয়েড ধস,বিশাল ভলকানিক উদগীরণ,জলবায়ু পরিবর্তনফসিল রেকর্ড দ্বারা এসব নিয়ামকের স্নোবল এফেক্ট এবং বাস্তুসংস্থানিক ধস নির্ণয় করা যায়। প্রাগৈতিহাসিক যুগের উদাহণের মধ্যে রয়েছে ― কার্বনিফেরাস রেইনফরেস্ট ধস, ক্রেটিসাস-প্যালিওজেন বিলুপ্তি, পারমিয়ান-ট্রায়াসিক বিলুপ্তি এবং আরো অনেক বিলুপ্তির কথা। অর্ডোভিসিয়ান -সিলুরিয়ান যুগের বিলুপ্তি যুগের বিলুপ্তি র ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন একটি অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। ধারণা করা হয় বৈশ্বিক শীতলতার কারণে সমুদ্রের নিচের জীবজন্তু-ব্রাকি্ওপডস,গ্র্যাপটোলাইটস এদের বিলুপ্তি ঘটে। . পরবর্তীতে কার্বানোভ এবং তার সহযোগীরা গবেষণা করে যে কীভাবে Last Glacial Maximum (LGM) এর সময়ে পরিবেশ এবং জলবায়ুতে পরিবর্তনের কারণে বৈকাল হ্রদ এবং হভসগল হ্রদের প্রাণিতে পরিবর্তন ঘটে। LGM চলাকালের পরিবর্তন নতুন বান্তুসংস্থানের সৃষ্টি করে যেখানে খুব অল্প জীববৈচিত্র‌্য এবং স্বল্প পরিমাণে endemism দেখা যায় Hovsgol হ্রদে Holocene যুগে।কারাবোনোভসের গবেষণার আরো একটি ফল হল বৈচিত্র‌্যর ব্যাপক পরিবর্তন হফসগল হ্রদে যা মূলত বিবর্তনের উপজাত হিসেবে ধরা হয়।অর্ডোভিসিয়ান বিলুপ্তি এবং বৈকাল,হভসগল হ্রদ প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিবর্তনের উদাহরণ।

Grand Banks cod ১৯৯০ সালে ধস হ্ওয়ার নমুনা পা্ওয়া যায় ইতিহাসে যার কারণ ছিল অতিরিক্ত মাছ শিকার।

বর্তমান এবং ভবিষ্যত বাস্তুসংস্থানিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে- বাসস্থান সংকট,মান অবনমন, শিল্পায়ন, অতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি,জলবায়ু পরিবর্তন,সমুদ্রের লবণাক্ততা বৃদ্ধি, প্রানী বিলুপ্তি

ঘনবর্ষণ বনাঞ্চল ধস

ঘনবর্ষণ  বনাঞ্চল বলতে বুঝায় বনাঞ্চল গুলোর প্রাচীন এবং তাত্ত্বিক ভবিষ্যতে যে ধস ঘটে তার ধারণা। এটি সাধারণত ঘটে থাকে যেখানে খুব অল্প পরিমাণে biome থাকে এবং আবাসস্থল সংকট থাকে বলে প্রাণীরা রেফুগিয়াল এলাকায় থাকতে বাধ্য হয়।আবাসস্থল টুকরো টুকরো হওয়ার কারণ হতে পারে রাস্তা বানানো।মানুষ যখন থেকে কাঠ কাটতে শুরু করেছে তখন থেকে ঐসব এলাকায় সেকেন্ডারি রাস্তা তৈরি হয়েছে যা একসময় আর ব্যবহার করা হয়না। একবার ফাঁকা হয়ে গেলে এই এলাকায় আর ওই গাছগুলো সহজে জন্মাতে পারেনা। বন বিভাজন অনৈতিক শিকারের রাস্তাও খুলে দেয়।প্রাণীগুলো নতুন জায়গা খুঁজে পায়না এবং একসময় বিলুপ্ত হয়ে যায় এই ঘন বনাঞ্চল থেকে।

কার্বোনিফেরাস যুগ

এই কার্বোনিফেরাস যুগে কয়লা বন, ট্রপিক্যাল জলাভূমি ইউরোমেরিকা (ইউরোপ এবংআমেরিকা)-এর দিকে বিস্তৃত হয়। এই বনভূমিগুলো সাধারণত লিকোপসিডসের আবাসস্থল ছিল যেগুলো টুকরো টুকরো হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ধস নামে। এই ধ্বসের জন্য জলবায়ুতে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দেয়।

বিশেষত আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা এবং শুষ্ক হয়ে যায় যা লাইকোপসিডস এবং অন্যান্য জীববৈচিত্র্যর জন্য সহায়ক না। এর ফলে লাইকোপসিডস এবং উভচর প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যায়। সরীসৃপ প্রাণী এই পরিবেশে বিস্তার লাভ করে, কারণ তাদের জন্য শুষ্ক পরিবেশ বেশি সহায়ক।

মাছের কাটার মতন বন বিভাজন

এখন

স্থলজ উদাহরণ

বিভিন্ন ঘন বর্ষণ বনাঞ্চলে একটি সাধারণ নিয়মে বন বিভাজন চলছে ক্রমাগত এমনকি বিখ্যাত আমাজনেও যে প্যাটার্ন কে বলা হয় fishbone বা মাছের কাটার মতন দেখতে যায় উৎপত্তির মূল কারণ বনের মধ্যে দিয়ে রাস্তা তৈরি হওয়া।এটি অত্যন্ত চিন্তার বিষয় , শুধুমাত্র এইজন্য না যে প্রাণী বিলুপ্ত হচ্ছে তাই এর জন্য আবাসস্থল ও একইভাবে বিভাজন হয়ে যাচ্ছে,যেহেতু প্রাণী এবং গাছপালা একে উপরের উপর নির্ভরশীল।

অতিরিক্ত চাষ করা ও ভূমিধসের অন্যতম কারণ বিশেষত সাউথ ইউরোপিয়ান অঞ্চলে যা বাস্তুসংস্থানের ধসে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করায় অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে।দেশের মূল ভূমিখন্ডের যথাযথ ব্যবস্থাপনা করা হলে এই ঝুকি কিছুটা কমতে পারে।

সমুদ্র

২০১০ সালে ৪.৯ million barrels (২১০ million US gal; ৭,৮০,০০০ মি)

তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ে Gulf of Mexico তে যখন BP's Deep water Horizon Oil rig এর বিস্ফোরণ ঘটে।এই তেল ছড়ানোর প্রভাব ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ও বহন করতে হচ্ছে এখন পর্যন্ত যেহেতু পুরো খাদ্যজালে এই দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে। ৮০০০ এর উপরে সামুদ্রিক প্রাণী,মাছ, স্তন্যপায়ী প্রাণী মারা যায় এবং কিছু কিছুকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায় পরিষ্কারনের সময়ে।এই দুর্ঘটনা পরিবেশের খাদ্যজালের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলেছে ।তেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল যখন তখন ছিল প্রজনন সময় এবং এই জন্য ওই সময়কার ডিম এবং লার্ভা প্রাণী রা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।এই নিম্নমানের প্রাণীরা ভবিষ্যতে বাস্তুসংস্থানের জন্য খুব সমস্যা তৈরী করতে পারে এবং এটি বাস্তুসংস্থানের ব্যাপক ক্ষতি।

উপুরন্ত সামুদ্রিক গবেষকদের জন্য অন্যতম চিন্তার বিষয় প্রবাল প্রাচীর এর উপর বাস্তুসংস্থানের বিপর্যয়ের প্রভাব (যেহেতু প্রবাল প্রাচীরের যেসব ফসিল পাওয়া যায় তারা ধ্বংসের মুখে আছেএবং এরই সবচেয়ে বেশি পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে সক্ষম )। জলবায়ু পরিবর্তজনিত কারণে পানির উচ্চতা বাড়ছে যা প্রবাল প্রাচীর ধুয়ে নিয়ে চলে এতে পারে যাকে বলে প্রবাল ধোলাই বা coral bleaching। মানুষের কর্মকাণ্ড যেমন- মাছ শিকার,বন উজাড় এগুলো প্রবাল প্রাচীরের জন্য হুমকিস্বরূপ।উদাহরণস্বরূপ-Edinger এবং তার সহকর্মীরা মানুষের কর্মকাণ্ডে এবং প্রবাল প্রাচীর ধ্বসের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন ৩০-৬০% পর্যন্ত।

লগ লিনিয়ার সম্পর্ক ৪২ বছরের বনভূমির মধ্যে

world ocean সবচেয়ে বিপদের মুখে আছে।১৫৪ প্রজাতির বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ গবেষণা করে David Byler খুঁজে পেয়েছেন অতিরিক্ত মাছ ধরা,জলবায়ু পরিবর্তন,মাছের অতিরিক্ত দ্রুত প্রজনন বিপর্যয় কে ত্বরান্বিত করে। যখন মানুষ মাছ ধরে তারা সাধারণত টুনা এবং সলমন এই ধরনের মাছ বেশি ধরে।ফলে এই ট্রপিক লেভেল হ্রাস ঘটে এবং ফলোস্রুতিতে নিম্ন ট্রপিক লেভেল এর বৃদ্ধি ঘটে যেহেতু ওদের খাদক শ্রেণি কমে যায়।উদাহরণ-যখন পানিতে শিং মাছ কমে যায় তখন প্ল্যাঙ্কটন বেড়ে যাবে এবং এর ফলে eutrophication সৃষ্টি হবে যার ফলে সমুদ্রের নিচে অক্সিজেন কমে যাবে। দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যাওয়ায় প্রাণীরা দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা চলে যাবে এবং এক সময় ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাবে বা মারা যাবে।জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রের লবণাক্ততা বৃদ্ধি একইভাবে বিপর্যয় সাহায্য করেছে ।

বৈজ্ঞানিক গবেষণা

কিছু বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে বৈশ্বিক বিপর্যয় ঘটবে যখন পৃথিবীর প্রাকৃতিক ভূমির ৫০% মানুষের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য নষ্ট হয়ে যাবে। যাবে।যদিও আবার এটাও বলা হয় যে বাস্তুসংস্থানের বিপর্যয় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঘটবে,ছোট বাস্তুসংস্থানের তুলনায়।একটি গবেষণায় আলোকে দেখা যায় যখন ‘point of no return’ এ পৌঁছে যাবে তখন ধ্বংস তীব্র গতিতে হবে এবং আমাজন বনভূমি Savannah- ধরনের গাছ এবং ঘাসে পরিণত হবে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ক্যারিবিয়ান প্রবাল প্রাচীর ১৫ বছরে শেষ হয়ে যাবে পুরোপুরিভাবে।

ফলাফল

যদিও বাস্তুসংস্থানিক বিপর্যয়ের কারণগুলি প্রায় একই সব পরিবেশেই,তাই তাদের পরিবর্তন ও একই রকম যেমন-জীববৈচিত্র্য, ট্রপিক্যাল বিপর্যয় এবং বিলুপ্তি। উদাহরণস্বরূপ- দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নগরায়ন এবং বন উজাড়ের কারণে তিন ধরনের গাছের প্রজাতির এবং আট ধরনের প্রাণীরা বিলুপ্তি ঘটেছে ২০০৩ সালে।

আরও দেখুন


Новое сообщение