Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস | |
---|---|
বিশেষত্ব | স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিজ্ঞান |
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস (ভিবি), ভ্যাজাইনাল ব্যাকটেরিওসিস অথবা গার্ডনেরেলা ভ্যাজাইনোটিস নামে পরিচিত, এটি যোনিনালীর রোগ যা অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে যোনিস্রাব বৃদ্ধি পায় যা প্রায়সই আঁশটে গন্ধ করে। যোনিস্রাব সাধারণত সাদা অথবা ধূসর রংয়ের হয়। প্রস্রাবের সাথে জ্বালাপোড়া দেখা যেতে পারে। চুলকানি থাকবেই। মধ্যে লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে। ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস বৃদ্ধি পেলে এইচআইভি/এইডস সহ অন্যান্য যৌন সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এটি গর্ভবতী নারীদেরও সময়ে পূর্বে প্রসব এর ঝুঁকির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
কারণ ও রোগ নির্ণয়
প্রাকৃতিকভাবে যোনির মধ্যে অস্বাভাবিক ব্যাকটেরিয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস হয়। সবচেয়ে সাধারণ ব্যাকটেরিয়া পরিবর্তন হয়ে এবং মোট ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা একশত থেকে হাজার গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে লক্ষ করা যায়। ঝুঁকির বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত, নতুন অথবা একাধিক যৌন সঙ্গী, অ্যান্টিবায়োটিক এবং জরায়ুস্থ অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহারের ফলে। তবে, এটি একটি যৌনবাহিত সংক্রমণ বিবেচনা করা হয় না। উপসর্গ এবং নির্গত যোনিস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে এবং সাধারণ যোনির (পিএইচ এবং বহু সংখ্যক ব্যাকটেরিয়া রোগ নির্ণয়ের ভিত্তি হতে পারে। ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস প্রায়ই ভ্যাজাইনাল ঈস্ট ক্ষত বা ট্রাইকোমোনাস সংক্রমণ এর সাথে বিভ্রান্তি হয়।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক ক্লিন্ডামাইসিন অথবা মেট্রোনিডাজল দিয়ে চিকিৎসা হয়। গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় বা তৃতীয় মাসেও এই ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রায়ই এই অবস্থা; তৎসত্ত্বেও, পুনরায় নিম্নলিখিত চিকিৎসা। প্রোবায়োটিক পুনরাবৃত্তি রোধে সাহায্য হতে পারে। প্রোবায়োটিক অথবা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে গর্ভাবস্থার ফলাফলে প্রভাব হয় কিনা এটা ষ্পস্ট নয়।
রোগ বিস্তার সংক্রান্ত বিদ্যা এবং ইতিহাস
ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস প্রজনন বয়সের নারীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ যোনি সংক্রমণ রোগ। যে কোন সময়ে আক্রান্ত নারীদের শতকরা হার ৫% থেকে ৭০% এর মধ্যে থাকে। ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস আফ্রিকার কিছু অংশে সবচেয়ে প্রচলিত এবং এশিয়া ও ইউরোপে কম প্রচলিত। যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ থেকে ৪৯ বছর বয়সের প্রায় ৩০% মহিলা আক্রান্ত।) একটা দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্টীর মধ্যে এই হার তারতম্য হয়। প্রচুর নথিভূক্ত ইতিহাসের জন্য যখন ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস উপসর্গ আকারে বর্ণনা করা হয়েছিল, প্রথম পরিষ্কারভাবে ঘটনা নথিভূক্ত হয়েছিল ১৮৯৪ সালে।