Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
মণি কুমার ছেত্রী
মণি কুমার ছেত্রী | |
---|---|
জন্ম | ২৩ মে ১৯২০ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
শিক্ষা | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য-প্রশাসক |
কর্মজীবন | ১৯৬০ |
মেডিকেল কর্মজীবন | |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | পদ্মশ্রী (১৯৭৪) |
ডাঃ মণি কুমার ছেত্রী (২৩ মে ১৯২০) ভারতের এক বিশিষ্ট চিকিৎসক, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট হেল্থ সার্ভিসের প্রাক্তন অধিকর্তা ও আইপিজিএমইআর এবং এসএসকেএম হাসপাতালের প্রাক্তন অধিকর্তা।
শিক্ষা ও প্রারম্ভিক জীবন
মণি কুমার ১৯২০ সালের ২৩ মে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙের এক গোর্খা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা পি এল সিং ছেত্রী ও মাতা এইচ এম ছেত্রী দার্জিলিংয়ের সবচেয়ে পুরনো তিস্তা উপত্যকা চা বাগানে থাকতেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা দার্জিলিং মিউনিসিপ্যালিটি প্রাইমারি স্কুলে ও টার্নবুল হাই স্কুলে হয়। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে দার্জিলিং গভর্নমেন্ট হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এরপর কলকাতার সেন্ট পল'স ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ভর্তি হন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ডাক্তারিতে স্নাতক (এমবিবিএস) হন। ১৯৪৯-এ ডাক্তারিতে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। এরপর চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে আরও পড়াশোনার জন্য যান বিদেশে। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে লন্ডনের রয়্যাল কলেজ ফিজিসিয়ানস থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবন
লন্ডন থেকে ফিরে কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে কর্মজীবন শুরু ডাঃ মণি কুমার ছেত্রী। যোগ দেন রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান হিসেবে। পরবর্তীকালে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কনসালট্যান্ট ফিজিশিয়ান হিসেবে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেনারেল হাসপাতালে। বর্তমানে যাকে সবাই এসএসকেএম হাসপাতাল বলে চেনে। এই হাসপাতালে দীর্ঘদিন সার্জেন সুপারিনটেনডেন্ট ছিলেন তিনি। যথাযথভাবে পালন করেছেন আইপিজিএমইআর তথা ইনস্টিটিউ অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের কার্ডিওলজি এবং মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডিরেক্টরের দায়িত্বও। বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি এবং আইপিজিএমইআর এবং এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তাও ছিলেন তিনি। সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তারও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তার হাত ধরেই এসএসকেএম হাসপাতালে তৈরি হয় ইনটেনসিভ থেরাপি ইউনিট তথা আইটিইউ সেটআপ। এনডোক্রিনোলজি, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, ডায়াবিটিস, রিউম্যাটোলজির মতো আলাদা আলাদা বিভাগ চালু হয়। যা পশ্চিমবঙ্গের কোনও হাসপাতালে প্রথম। ডাঃ ছেত্রী যেমন অভিজ্ঞ চিকিৎসক তেমনই দক্ষ স্বাস্থ্য প্রশাসক। আবার একদিকে যেমন রোগীদের উদ্ধারকর্তা অন্যদিকে তেমনই ছাত্রদরদী প্রশিক্ষকও।
কলকাতার হাসপাতালে আগুন বিতর্কে
২০১১ খ্রিস্টাব্দের ৯ ই ডিসেম্বরের অগ্নিকাণ্ডে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল - ঢাকুরিয়ার আমরি -'তে ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন সহকর্মী চিকিৎসক ডাঃ প্রণব দাশগুপ্তসহ প্রবীণ এই চিকিৎসকের হেনস্থা হয়। কলকাতার চিকিৎসকমহল এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং সুরক্ষার দাবীতে সরব হন। ডাঃ ছেত্রী পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ব্যক্তিগত চিকিৎসকও ছিলেন।
সম্মাননা
চিকিত্সা ক্ষেত্রে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ডাঃ মণিকুমার ছেত্রী। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তরফে ডক্টর বি সি রায় মেমোরিয়াল রিসার্চ প্রোজেক্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় তাঁকে। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে পান ভারত সরকারের 'পদ্মশ্রী' সম্মান। এসএসকেএম হাসপাতালের রোনাল্ড রস বিল্ডিংয়ে মেডিসিন বিভাগে তার নামে একটি কেবিন রয়েছে। এছাড়া ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি থেকে, ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস থেকে এবং ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে রয়াল কলেজ অফ ফিজিসিয়ানস থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্ত হন।