Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
মানব বিষ্ঠা
মানব বিষ্ঠা (ইংরেজি: Human faeces; লাতিন: fæx), বা মল) হচ্ছে মানুষের পাচনতন্ত্রের বহিষ্কৃত দ্রব্য। পাচনতন্ত্রের অবস্থা, খাদ্য ও স্বাস্থ্যের উপরে নির্ভর করে এর গুণাগুণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত বিষ্ঠা একটি শ্লেষ্মা আবরণ দ্বারা অর্ধকঠিন হয়। অল্প কঠিন, বাষ্প কম থাকা বিষ্ঠা খাদ্যনালীর মাথায় থাকতে পারে। পাচন গতি না হওয়ার পরে মলভাণ্ড থেকে বিষ্ঠা অন্ত্রে ফিরে গেলে জলের শোষণ হয়ে সাধারণত এমন হয়। নবজাতকের প্রথম বিষ্ঠাকে মেকোনিয়াম বলা হয়।
বিষ্ঠার রঙের বিভিন্নতা
খাদ্যবস্তু এবং স্বাস্থ্যের উপরে নির্ভর করে মানুষের বিষ্ঠার রং ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
- বাদামী
- মানব বিষ্ঠার রং সাধারণত পাতলা থেকে গাঢ় বাদামী বর্ণের। মৃত লোহিত রক্ত কণিকা থেকে উৎপন্ন হওয়া বিলিরুবিনের রূপ "ষ্টারকোবিলিনোজেন"-এর জন্য এমন রং হয়। সাধারণত একটি শ্লেষ্মা আবরণে বিষ্ঠা অর্ধকঠিন অবস্থার হয়।
- হলুদ
- পরজীবী হিসাবে মানুষের পেটে আশ্রয় নেওয়া প্রোটোজোয়া "জিয়ার্ডিয়া"র ফলে বিষ্ঠার রং হলুদ হতে পারে। এটি সংক্রামক গ্রহণী রোগের সৃষ্টি করে। গিলবার্ট সিনড্রোম" নামের অন্য এক কারণে বিষ্ঠার রং হলুদ হতে পারে। এই রোগে জন্ডিস হয় এবং রক্তে অধিক পরিমাণে বিলিরুবিন উপস্থিত থাকে।
- কালো বা লাল
- অন্ত্রে বহু সময় লোহিত রক্ত কণিকা থাকলে পাচক উৎসেচক সেটি ভেঙে ফেলে এবং তার ফলে বিষ্ঠা কালো রঙের হয়। এই অবস্থাকে "মেলিনা" বলা হয়। পাচন নালীর ওপর অংশে (upper digestive tract) পেপটিক আলসার ইত্যাদির মাধ্যমে রক্তক্ষরণ হলে এমন হতে পারে। জন্তুর রক্তে বেশি পরিমাণে থাকা খাদ্য যেমন কালো পুডিং খাওয়ার পরেও বিষ্ঠার রং কালো হতে পারে। ঔষধ যেমন বিসমুথ সেলিসাইলেট, আয়রন বড়ি, বা বিট, বা ব্লুবেরী খেলেও বিষ্ঠার রং এমন হয়। মলের সাথে উজ্জ্বল লাল রঙের রক্ত গেলে তাকে হিমাটোকেজিয়া বলা হয়। পাচন নালীর নিচের অংশ থেকে রক্তক্ষরণ হলে এমন হয়। অত্যধিক মদ্যপানেও মলের রং লাল-কালো করতে পারে।
- নীল
- বিকিরণ, সিজিয়াম এবং থালিয়াম বিষক্রিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহার হওয়া প্রুসিয়ান ব্লু বিষ্ঠার রং নীল করতে পারে। খাদ্যে ব্যবহৃত নীল রঙের অধিক উপস্থিতিও এমন রং করতে পারে।
- রূপালী
- পিত্তনালীতে বাধা থাকলে উৎপন্ন হওয়া পাতলা বা গাঢ় রঙের মল এবং পাচনতন্ত্রের রক্তক্ষরণ (যেমন: মেলিনা) সাথে হলে রূপালী বা অ্যালুমিনিয়ামের রঙের মতো বিষ্ঠা দেখতে পাওয়া যায়। এমন রঙ ভাটারের অ্যাম্পুলার কর্কট রোগও বোঝাতে পারে যার ফলে পাচননালীর রক্তক্ষরণ এবং পিত্তনালীর বহনে বাধা হয়।
- সবুজ
- পাচননালীতে বেশি পরিমাণের প্রোসেস না হওয়া পিত্ত জমা হলে বিষ্ঠার রং সবুজ হতে পারে। লিকুওরিস ক্যান্ডি বেশি খেলেও এমন হতে পারে। যেহেতু একই লিকুওরিস হার্ব ছাড়া এনিস তেল থেকে এটি তৈরী করা হয় এবং এখানে বেশি পরিমাণে শর্করা থাকে; অধিক শর্করা গ্রহণ করলে এনিস তেলের প্রতি সংবেদনশীলতা বেশি হলে নীল, সবুজ রঙের শৌচ হতে পারে।
গন্ধ
মানব বিষ্ঠার একটি গন্ধ থাকে যা খাদ্য (বিশেষত মাংসের প্রোটিন যেমন – মিথিয়োনিন) এবং স্বাস্থ্য অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। মানব বিষ্ঠার গন্ধ নিচে দেওয়া উদ্বায়ী পদার্থসমূহ থেকে উৎপন্ন হয় বলে মনে করা হয়:
- মিথাইল সালফাইডসমূহ
- মিথাইলমার্কাপটান/মিথেনেথিওল (MM)
- ডাইমিথাইল সালফাইড (DMS)
- ডাইমিথাইল ট্রাইসালফাইড (DMTS)
- ডাইমিথাইল ডাইসালফাইড (DMDS)
- বেঞ্জোপাইরোল
- হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S)
(H2S) হচ্ছে বিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি থাকা সালফার যৌগ। বিষ্ঠার গন্ধ কিছু রোগে বাড়তে পারে, যেমন:
- সিলিয়াক রোগ
- ক্রোনের রোগ
- আলসারেটিভ কোলাইটিস.
- ক্রোনিক প্যানক্রিয়াটাইটিস
- সিষ্টিক ফাইব্রোসিস
- অন্ত্রের সংক্রমণ, যেমন – ক্লোষ্ট্রিডিয়াম ডিফিসিল সংক্ৰমণ।
- অজীর্ণ
- শর্ট বাওয়েল সিনড্রোম
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা
ভিন্ন ভিন্ন সমাজে মলত্যাগ করার পরে মলদ্বার পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন।
- পশ্চিমী এবং পূর্ব এশিয়ার সমাজে টয়লেট পেপারের বহুল ব্যবহার হয়। ফ্লাছ টয়লেট উদ্ভাবন হওয়ার পূর্বে অন্য কাগজের সামগ্রীও ব্যবহার হত।
- কিছু ইউরোপীয়ান দেশে অধিক পরিষ্কারের জন্য বিডেট ব্যবহার করা হয়।
- দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় টয়লেটে ব্যবহার জন্য শাওয়ার থাকে।
- ইসলামীয় সংস্কৃতিতে জল ব্যবহার করে বামহাতে মলদ্বার সাফাই করার নিয়ম।
- ভারততো জল ব্যবহার করে বামহাতে মলদ্বার পরিষ্কার করা হয়।
- যুক্তরাজ্যে রাণী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকালে ভারতীয় টয়লেট-এর বহুল প্রচলন হয়েছিল। তেমন টয়লেট ব্যবহার করা কর্মীদের থেকে কয়েকটি খাদ্য বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
- প্রাচীন রোমে একটুকরো সরকারি স্পঞ্জের ব্যবহার করা হত। ব্যবহারের পরে সেগুলি নুন-জলে পরিষ্কার করা হত।
- জাপানে পুরানোকালে চ্যাপ্টা লাঠি ব্যবহার করা হত। পশ্চিমকরণের সাথে সাথে টয়লেট পেপারের প্রচলন হয়। আজকাল বিডেটযুক্ত টয়লেটের আদর বেড়ে আসছে। এই সরঞ্জামে ব্যবহারকারী জলের তাপমাত্রা, দিক এবং গতি পরিবর্তন করতে পারে এবং মলদ্বার শুকানোর জন্য বাতাস করতে পারে। আসন থেকে বাইরে বেরোবার সাথে সাথে টয়লেটটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাশ হয়।
ব্রিস্টল মল স্কেল
চিকিৎসা বিজ্ঞানে মানব বিষ্ঠাকে প্রকৃতি অনুসারে শ্রেণীকরণ করার জন্য এই স্কেল (Bristol Stool Scale) ব্যবহার করা হয়। সংযুক্ত রাজ্যে "Meyers Scale" বলাও এই পদ্ধতিতেটি K.W.Heatonএ ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবন করেছিলেন এবং প্রথমে ১৯৯৭ সালে Scandinavian Journal of Gastroenterologyত প্রকাশিত হয়েছিল।কোলনে বিষ্ঠা থাকার সময়ের উপরে তার প্রকৃতি নির্ভর করে।
মানব বিষ্ঠার সাতটা প্রকার হল:
- পৃথক পৃথক কঠিন নাড়ুর মতো (বেরিয়ে যেতে শক্ত)
- সসেজ আকৃতির কিন্তু ডেলার মতো থাকে
- সসেজের মতো কিন্তু পৃষ্ঠ ফাটার মতো দেখতে
- সসেজ বা সর্পাকৃতির, নরম এবং পিছল
- নির্দিষ্ট ধার থাকা নরম ছিটের মত
- ছেঁড়া ধার থাকা পাতলা টুকরো, পাতলা মল
- জলের মত, কঠিন টুকরো নেই।
প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রকারে বিশেষকরে দ্বিতীয়টি কন্ষ্টিপেশন বোঝায় কারণ সেগুলি মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে যেতে শক্ত হয়। ৫-৭ নং প্রকারে গ্রহণী বা বেশি মলত্যাগের অনুভূতিকে বোঝায়।.
বিষ্ঠার মার্কার
বিষ্ঠা কতকগুলি মার্কারে শরীরে চলতে থাকা বিভিন্ন রোগ এবং পরিঘটনার প্রমাণ দেয়। উদাহরণস্বরূপ - ফিকেল ক্যাল্প্রটেক্টিনের উচ্চ মাত্রার প্রদাহ প্রক্রিয়া যেমন ক্রোনের রোগ, আলসারেটিভ কলাইটিস এবং কর্কট রোগে বোঝাতে পারে।
বিষ্ঠার মার্কারের মাত্রা | |||||
---|---|---|---|---|---|
মার্কার | রোগীর প্রকার | উচ্চ সীমা | একক | ||
ফিকেল ক্যাল্প্রটেক্টিন | ২-৯ বছর | ১৬৬ | মাইক্রোগ্রাম/গ্রাম বিষ্ঠা | ||
১০-৫৯ বছর | ৫১ | ||||
≥ ৬০ বছর | ১১২ | ||||
লেক্টোফেরিন | ২-৯ বছর | ২৯ | |||
≥ ১০ বছর | ৪.৬ |
তা ছাড়াও বিষ্ঠা ওকাল্ট রক্তের জন্য বিশ্লেষণ করা যায় যা পেটের মধ্যেকার রক্তক্ষরণ বোঝায়।
অস্বাভাবিকতা
বিষ্ঠা বিশ্লেষণ (বিষ্ঠার নমুনা)
বিষ্ঠায় থাকা প্রধান অণুজীবসমূহ হচ্ছে:
- ব্যাক্টরইডস্ প্রজাতি
- সালমোনেলা এবং শিগেলা
- য়ারসিনিয়াকে সাধারণ উষ্মতা থেকে অল্প কম তাপের প্রয়োজন হয়। (৩০0 c)
- কেম্পাইলোব্যাক্টরকে ৪২0 cতে বিশেষ পরিবেশে ইন্কিউবেট করা হয়।
- এরোমোনাস
- কেণ্ডিডা যদি ব্যক্তির প্রতিরোধী ক্ষমতা কম।
- "ই কোলাই" ০১৫৭ যদি ব্যক্তির বিষ্ঠার নমুনায় রক্ত দেখা যায়।
- ক্রীপ্টোস্পোরিডিয়াম
- এন্টামিবা হিষ্টোলাইটিকা
অন্ত্রের পরজীবী এবং সেগুলির কণা কখনো সাদা চোখেও দেখতে পাওয়া যেতে পারে।
অজীর্ণ খাদ্যের কণা
হজম না হওয়া খাদ্যের অবশিষ্ট যেমন গুটি মানুষের পরিপাক তন্ত্র দিয়ে পার হয়ে পরে গজালি মেলতে পারে। একটি উদাহরণ হচ্ছে বিষ্ঠার অংশকে সার হিসাবে ব্যবহার করলে বিলাহীর গাছি গজাটি।
ডায়েরিয়া
ডায়েরিয়া হচ্ছে সময়ে তিন বা ততোধিকবার ঢিলা বা পাতলা পায়খানা হওয়া, বা একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক অবস্থা থেকে বেশি হওয়া। এটি কোনো আঘাত, রোগ বা খাদ্যের থেকে হওয়া রোগের লক্ষণ হতে পারে। ডায়েরিয়ায় প্রায়ই পেটের ব্যাথা, বমির ভাব, বমি ইত্যাদি হতে পারে। অন্য কিছু অবস্থায় ডায়েরিয়ার অনেকগুলি বা কিছু লক্ষণ থাকতে পারে। আবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে ডায়েরিয়ার সংজ্ঞা দিতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম থেকে বেশি শৌচ হওয়াকে বোঝানো হয় (যদিও আসলে শৌচের ওজন করে রোগ নিরূপণ করা হয় না)।
কোলনে জল কমকরে শোষণ করলে শৌচ ঢিলা হয়। পাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে বা জলীয় পদার্থ গ্রহণ করলে খাদ্যের সঙ্গে যথেষ্ট পরিমাণের জল মিশ্রিত হয়। কোলনে যাওয়ার আগে খাদ্য তেমনই জলীয় হয়ে থাকে। কোলন জলটি শোষণ করার ফলে বাকী থাকা বস্তুটি অর্ধকঠিন বিষ্ঠার রূপ নেয়। কোলনের এই কার্যে বাধার সৃষ্টি হলে শোষণ না হওয়ার ফলে পাতলা শৌচ হয়।
সাধারণত বিভিন্ন প্রকারের ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে ডায়েরিয়া হয় যদিও ব্যাক্টেরিয়ার টক্সিন বা সংক্রমণেও ডায়েরিয়া হতে পারে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে এবং সঠিক খাদ্য-জলের যোগান থাকলে একজন মানুষ সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণ থেকে একসপ্তাহের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে। কিন্তু অন্য রোগ বা অপুষ্টিতে ভোগা মানুষ তীব্র ডিহাইড্রেশন হয়ে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুমুখেও পড়তে পারে।
ব্যবহার
সার হিসাবে
অনেক আগের থেকেই মানব বিষ্ঠা সার হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শুদ্ধ না করে চাষমাঠে ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের হানি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশ্বজুড়ে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে হওয়া ১৫০ কোটি helminthiasis নামের পেলুর রোগের এটি এক কারণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ মতে মানুষের বিষ্ঠা থেকে বীজাণু সরিয়ে একে ব্যবহার করা হয়। মানব বিষ্ঠা এবং চাষের এই সম্পর্ককে ecosan (ইকোলজিকাল স্যানিটেশন) নাম দেওয়া হয়েছে। মলকে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা টয়লেটের প্রকারের মধ্যে আছে ইউরিন ডাইভার্টিং ড্রাই টইলেট এবং কম্পোষ্টিং টইলেট।
মল সংস্থাপন
স্বাস্থ্যবান লোকের মলের ব্যাক্টেরিয়া নিয়ে ইরিটেবল বাওয়েেল সিন্ড্রোমের মতো রোগে ভোগা মানুষের গায়ে সংস্থাপন করাকে "মল সংস্থাপন" বা "মল ব্যাক্টেরিয়োথেরাপী" (Fecal bacteriotherapy) বলে। এর ফলে গ্রহণকারীর অন্ত্রের উন্নতি হয় বলে ধারণা করা হয়। সম্প্রতি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে প্রতিজৈবিক বা অন্য চিকিৎসার ফলে ধ্বংস হওয়া অন্ত্রের প্রয়োজনীয় ব্যাক্টেরিয়া গড়ে তোলায় এটি সহায়ক।
জৈবিক গ্যাস উৎপাদন
নর্দমায় মল রেখে অবাত শ্বসন পদ্ধতিতে জৈবিক গ্যাস উৎপাদন করা নিয়ে ৯৫০ কোটি ডলারের ব্যবসায় হতে পারে।
ওয়াশিংটন ডিসি এমনভাবে জৈবিক গ্যাস উৎপাদন করে বছরে ১.৩ কোটি ডলার লাভের পরিকল্পনা করেছে।
ধাতুর সন্ধান
জাপানের কর্মীরা মলের নর্দমায় ধাতুর সন্ধান করেছিলেন। US Geological Survey হিসাব করেন যে ১০ লাখ মানুষের মলে ১.৩ কোটি ডলার মূল্যের ধাতু থাকে।
বিষ্ঠা দূষণ
জলের উৎসকে বিষ্ঠার দূষিত করা পরীক্ষা করতে মেক্কংকী অগের বা পেট্রি ডিসের সহায়তায় "ই কোলাই" ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। ই কোলাই ব্যাক্টেরিয়া সাধারণত ৪৩0 cতে রাতের মধ্যে লাল কোলনী সৃষ্টি করে। ই কোলাই ব্যাক্টেরিয়ার বেশিরভাগ প্রকারই অনিষ্ট করে না যদিও এর উপস্থিতি জলে বিষ্ঠার দূষণ এবং আবার অন্য অনিষ্টকর বীজাণুর উপস্থিতির সম্ভাবনা পর্যন্ত দেখিয়ে দেয়।
গোটা বিশ্বে জলের উৎসকে বিষ্ঠা দূষিত করে এবং পানীয় জলকে অসুরক্ষিত করে তোলে। উন্নয়নশীল দেশসমূহে শৌচাগারের ফেলা জল কোনো রাসায়নিক দ্রব্য না মিশিয়ে বেরিয়ে যেতে দেওয়া হয়। এমনকি উন্নত দেশসমূহেও এমন নলের আবর্জনা বেশি বেরিয়ে জলের উৎসকে দূষিত করে, যেমন- ফ্রান্স-এর সেইন নদী এবং ইংল্যান্ড-এর টেমস নদী।