Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

মাম্প্‌স

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
মাম্প্‌স
Mumps PHIL 130 lores.jpg
বিশেষত্ব সংক্রামক রোগ, শিশুচিকিৎসাবিজ্ঞান উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

মাম্প্‌স বা পনসিকা (ইংরেজি: Mumps প্যারটাইটিস নামেও পরিচিত ), একপ্রকারের ভাইরাসজনিত রোগ, যা মাম্প‌স ভাইরাস দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে। প্রতিষেধক আবিষ্কারের আগে, পৃথিবীব্যাপী শিশুদের মধ্যে এটি একটি সাধারণ রোগ ছিল। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এখনও এই রোগ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে থাকে, এছাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রায়ই রোগটি দেখা যায়।

লক্ষণসমূহ

মাম্প্‌স-এর সাধারণ লক্ষণসমূহ হলো:

  • ৬০%-৭০% সংক্রমণের ক্ষেত্রে কানের নিকটবর্তি প্যারোটিড গ্রন্থি ফুলে যায় (প্যারোটিটাইটিস) এবং লক্ষণ ধরা পড়ে। প্যারোটিটাইটিসের কারণে আক্রান্ত স্থান ফুলে যায় এবং স্থানটিতে ব্যথা অনুভূত হয়, বিশেষ করে কিছু চিবানোর সময়। এটা একপাশে (একপেশে) হতে পারে, কিন্তু সাধারণত অধিকাংশ ক্ষেত্রে, প্রায় ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রে দুপাশই ফুলে থাকে (দোপেশে)।
  • জ্বর
  • মাথাব্যথা
  • অর্কাইটিস (en:Orchitis), যা মূলত অণ্ডকোষ ফুলে ব্যথা হওয়া বোঝায়। বয়ঃসন্ধি পার হওয়া পুরুষদের মাম্প্‌স হলে অর্কাইটিস হবার সম্ভাবনা ৩০%।

কারণ

মাম্প্‌স একটি ছোঁয়াচে রোগ, যা সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সংক্রামক উপাদান, যেমন মুখের লালা ইত্যাদির মাধ্যমে, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি দিলে কিংবা সর্দি ঝাড়লে তার সূক্ষ্ম কণাগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, এবং অন্য ব্যক্তির নাক, চোখ কিংবা মুখ দিয়ে ভিতরে গিয়ে সংক্রমণ ঘটায়। এছাড়া খাবার ও পানীয়, আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ভাগাভাগি করার মাধ্যমেও মাম্প্‌স ছড়ায়। এছাড়া এই ভাইরাস, মানবশরীরভিন্ন কোনো তলেও বেঁচে থাকতে পারে, এবং পরবর্তিতে একইভাবে অন্যের সংস্পর্শে ছড়িয়ে থাকে। মাম্প্‌স আক্রান্ত ব্যক্তি, আক্রান্ত হবার দিন থেকে আনুমানিক ৬ দিন আগে থেকে, এবং লক্ষণ দেখা দেয়ার ৯ দিন পর পর্যন্ত সংক্রামক থাকে। পর্যবেক্ষণ সময় (লক্ষণ দেখা দেয়ার আগ পর্যন্ত) ১৪-২৫ দিন হতে পারে কিন্তু সাধারণত তা ১৬-১৮ দিন হয়ে থাকে।

প্রতিরোধ

সবচেয়ে সাধারণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হলো মাম্প্‌স ভ্যকসিন বা টিকা দেয়া, যা আবিষ্কার করেছিলেন মার্ক এ্যান্ড কোম্পানি'র মরিস হাইলম্যান (Maurice Hilleman)।

চিকিৎসা

মাম্প্‌স-এর কোনো নির্ধারিত চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। লক্ষণগুলোকে প্রশমিত করার জন্য আক্রান্ত ঘাঢ়/অণ্ডকোষ-স্থানে নির্দিষ্ট বিরতিতে বরফ কিংবা গরম সেঁক দেয়া হয় এবং এসেটামিনোফেন/প্যারাসিটামল-জাতীয় ব্যথানাশক (Tylenol) ব্যবহার করে ব্যথা কমানো হয়। রে'জ সিনড্রম-এর (en:Reye's syndrome) সাথে তাত্ত্বিক সংযোগ থাকায় এ্যাসপিরিন ব্যবহৃত হয় না। গরম লবণ-জল দিয়ে গার্গল করা, নরম খাদ্য খাওয়া এবং অতিরিক্ত তরল পান করলেও লক্ষণগুলো প্রশমিত হয়। মিনেসোটা'র স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঠেকানোর কোনো কার্যকরী লক্ষণ-পরবর্তি পরামর্শ নেই, এমনকি লক্ষণ-পরবর্তি ভ্যাকসিন কিংবা অ্যান্টিবডিও কার্যকর নয়।

রোগীদেরকে ক্ষারীয় খাদ্য ও পানীয় পরিহার করতে পরামর্শ দেয়া হয়, কেননা এগুলো লালা গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে থাকে, যা খুব ব্যথা উদ্রেককারী হয়ে থাকে।

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение