Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
মাল্টিসিস্টিক ডিসপ্লেস্টিক কিডনি
মাল্টিসিস্টিক ডিসপ্লেস্টিক কিডনি (ইংরেজি: Multicystic dysplastic kidney) বা যা সংক্ষেপে এমসিডিকে হিসেবে অভিহিত হচ্ছে এক ধরনের শারীরিক অবস্থা যা ভ্রূণীয় বিকাশের সময় বৃক্ক বা কিডনির বিকলাঙ্গতার কারণের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রে আক্রান্ত বৃক্কে বিভিন্ন আকৃতির অনিয়মিত সিস্ট তৈরি হয়। মূত্রঘটিত তন্ত্র সংশ্লিষ্ট রোগের মধ্যে মাল্টিসিস্টিক ডিসপ্লেস্টিক কিডনির প্রকোপ খুব সাধারণ এবং এটি বাচ্চা শিশুর পেট ফোলার কারণ হতে পারে।
কারণ
বংশগত কারণে এমসিডিকে-এর সৃষ্টি হতে পারে। তবে সাধারণভাবে মূত্রসংক্রান্ত যে-কোনো ডিসেপ্লেশিয়াই বংশগত সিনড্রোমের কারণে হতে পারে যা পরবর্তীতে পরিপাকনালি, স্নায়ুতন্ত্র, বা মূত্রনালির অন্যান্য অংশকেও আক্রমণ করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে মা যদি নিয়মিত নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ (যেমন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী কোনো ওষুধ) সেবন করে থাকেন তবে তাও সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
রোগনির্ণয়
এমসিডিকে সাধারণত জন্মের আগেই আল্টাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা সম্ভব। গর্ভকালীন সময়ে এই রোগ নির্ণয়ের গড় বয়স প্রায় ২৮ সপ্তাহ। মাল্টিসিস্টিক ডিসপ্লেস্টিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এই রোগ নির্ণয়ে আলাদাভাবে মূত্রের অণুবীক্ষণীয় বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। একটি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যে, একপার্শ্বীয় ক্ষেত্রে এমসিডিকে হওয়ার প্রবণতা পুরুষের মধ্যে বেশি এবং সেক্ষেত্রে বেশিরভাগের-ই শরীরের বাম দিক বা বাশ পাশের বৃক্ক আক্রান্ত হয়েছে।
চিকিৎসা
মাল্টিসিস্টিক ডিসপ্লেস্টিক কিডনি রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। তবে এক্ষেত্রে রোগীকে প্রথম কয়েক বছর নিয়মিত আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষার পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয় এবং নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হয় যে সুস্থ বৃক্কটি যথাযথভাবে কাজ করছে এবং আক্রান্ত বৃক্কটি শরীরে কোনো নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে না। মারাত্মক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে দ্বিপার্শ্বীয় ক্ষেত্রে (যখন দুটি বৃক্কই এই রোগে আক্রান্ত হয়) এটি নবজাতকের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তবে একপার্শ্বীয় ক্ষেত্রে এই রোগের পূর্বাভাস ভালো হতে পারে যদিও তা এ সংক্রান্ত অন্যান্য শারীরিক অসঙ্গতিগুলোর ওপর নির্ভর করে।
রোগের বিস্তার
বৃক্ক সংশ্লিষ্ট ডিসপ্লেসিয়াগুলোর মধ্যে এমসিডিকে-এর ঘটনা প্রতি ৪,০০০ শিশুর মধ্যে ১ জন হিসেবে অনুমান করা হয় যার ফলে জনসাধারণের মধ্যে এই রোগের বিস্তৃতি যথেষ্ট বিরল হিসেবে ধরা হয়।
আরও পড়ুন
- Al-Khaldi, N.; Watson, A. R. (১৯৯৪)। "Outcome of antenatally detected cystic dysplastic kidney disease": 520–522। ডিওআই:10.1136/adc.70.6.520। পিএমআইডি 8048824। পিএমসি 1029874 ।
- Van Eijk, L.; Cohen-Overbeek, T. E. (২০০২)। "Unilateral multicystic dysplastic kidney: A combined pre- and postnatal assessment": 180–183। ডিওআই:10.1046/j.0960-7692.2001.00497.x। পিএমআইডি 11876812।
বহিঃসংযোগ
শ্রেণীবিন্যাস | |
---|---|
বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান |