Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

মিয়া ফ্যারো

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
মিয়া ফ্যারো
Mia Farrow
Pulitzer2018-mia-farrow-20180530-wp.jpg
২০১৮ সালে পুলিৎজার পুরস্কার অনুষ্ঠানে ফ্যারো
জন্ম
মারিয়া ডি লুর্ডস ভিলিয়ার্স ফ্যারো

(1945-02-09) ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫
পেশা অভিনেত্রী, সমাজকর্মী, ফ্যাশন মডেল
কর্মজীবন ১৯৫৯-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা
(বি. ১৯৬৬; বিচ্ছেদ. ১৯৬৮)

আন্দ্রে প্রেভিন (বি. ১৯৭০; বিচ্ছেদ. ১৯৭৯)
সঙ্গী উডি অ্যালেন (আনু. ১৯৮০-১৯৯২)
পিতা-মাতা জন ফ্যারো (পিতা)
মরিন ওসুলিভান (মাতা)

মারিয়া ডি লুর্ডস "মিয়া" ভিলিয়ার্স ফ্যারো (ইংরেজি: María de Lourdes "Mia" Villiers Farrow; ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫) হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, সমাজকর্মী ও সাবেক ফ্যাশন মডেল। ফ্যারো পঞ্চাশের অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও একটি দাভিদ দি দোনাতেল্লো জয় এবং তিনটি বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন। এছাড়া ফ্যারো ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তার কাজের জন্য পরিচিত। ২০০৮ সালে টাইম ম্যাগাজিন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে।

ফ্যারো অস্ট্রেলীয় পরিচালক জন ফ্যারো ও আইরিশ অভিনেত্রী মরিন ওসুলিভানের জ্যেষ্ঠ কন্যা। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসে ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী হিসেবে বেড়ে ওঠেন। কিশোর বয়সে ফ্যাশন মডেল হিসেবে কাজ করার পর তিনি সোপ অপেরা পেটন প্লেস-এ অ্যালিসন ম্যাকেঞ্জি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি অর্জন করেন। ২১ বছর বয়সে ফ্রাঙ্ক সিনাত্রার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তিনি আরও পরিচিতি লাভ করেন। তিনি রোমান পোলান্‌স্কির রোজাম্যারিস বেবি (১৯৬৮) চলচ্চিত্রে রোজাম্যারি চরিত্রে অভিনয় করে সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারশ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি ফলো মি! (১৯৭২), দ্য গ্রেট গ্যাটসবি (১৯৭৪) এবং ডেথ অন দ্য নাইল (১৯৭৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

মারিয়া ডি লুর্ডস ভিলিয়ার্স ফ্যারো ১৯৪৫ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারিক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জন ফ্যারো একজন অস্ট্রেলীয় চলচ্চিত্র পরিচালক এবং মাতা মরিন ওসুলিভান একজন আইরিশ অভিনেত্রী। তার পিতা তার মায়ের ক্যাথলিক ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। মিয়া তার পিতামাতার তৃতীয় সন্তান ও জ্যেষ্ঠ কন্যা। তার অন্য ভাইবোনেরা হলেন মাইকেল ড্যামিয়েন (১৯৩৯-১৯৫৮), প্যাট্রিক (১৯৪২-২০০৯), জন চার্লস (জ. ১৯৪৬), প্রুডেন্স, স্টেফানি ও টিসা।

কর্মজীবন

ফ্যারো কৈশোরে ফ্যাশন মডেল হিসেবে কাজ করতেন। তিনি দ্য সাউন্ড অব মিউজিক চলচ্চিত্রের লিসল ভন ট্রাপ চরিত্রের জন্য স্ক্রিন-টেস্ট দেন, কিন্তু এই চরিত্রের জন্য নির্বাচিত হন নি। তার অডিশনের ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয় এবং ছবিটির চল্লিশ বছরের ডিভিডি সংস্করণে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফ্যারো ১৯৬০-এর দশকে কয়েকটি চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে তার প্রথম কাজ ছিল গানস অ্যাট বাটাসি (১৯৬৪)। একই বছর তিনি প্রাইমটাইম সোপ অপেরা পেটন প্লেস-এ অ্যালিসন ম্যাকেঞ্জি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৬ সালের ১৯শে জুলাই ফ্রাঙ্ক সিনাত্রার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তার প্ররোচনায় এই সোপ অপেরার কাজ ছেড়ে দেন। পরবর্তী কালে তাকে ব্রিটিশ গোয়েন্দা চলচ্চিত্র আ ড্যান্ডি ইন অ্যাস্পিয়াক-এ দেখা যায়, এটি ছিল চলচ্চিত্রে তার প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয়।

ফ্যারোর প্রথম প্রধান চরিত্রে কাজ ছিল রোমান পোলান্‌স্কির মনস্তাত্ত্বিক ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্র রোজাম্যারিস বেবি (১৯৬৮)। ছবিটি সমালোচনামূলক ও বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় এবং ছবিটি ভীতিপ্রদ ধারার ধ্রুপদী চলচ্চিত্র হিসেবে গণ্য হয়। ২০১০ সালে দ্য গার্ডিয়ান ছবিটিকে তাদের সর্বকালের সেরা ভীতিপ্রদ চলচ্চিত্রের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান প্রদান করে। এই চলচ্চিত্রে রোজাম্যারি চরিত্রে অভিনয় করে ফ্যারো সমাদৃত হন এবং বর্ষসেরা নবীন তারকা অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন ও সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারশ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখক স্টিভেন ফারবার তার কাজটিকে অভিনয়শিল্পী ও চরিত্রের বিরল ক্ষণ বলে বর্ণনা করেন। চলচ্চিত্র সমালোচক রজার ইবার্ট উল্লেখ করেন, এই চলচ্চিত্রের সাফল্যের সবচেয়ে বেশি অবদান রোজাম্যারি চরিত্রে অভিনয় করা মিয়া ফ্যারোর।

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение