Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

যিশু

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
যীশু

ܝܶܫܽܘܥ
Spas vsederzhitel sinay.jpg
সীনয় পর্বতে সন্ত কত্রীণ মঠে খ্রীষ্ট পান্তক্রাতোর, খ্রীষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দী
জন্ম
ইয়েশুয়াʿ
ܝܶܫܽܘܥ

আনু. ৪ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
মৃত্যু আনু. ৩০ বা ৩৩ খ্রীষ্টাব্দ
(বয়স ৩৩–৩৬)
মৃত্যুর কারণ ক্রুশারোপণ
অন্যান্য নাম খ্রীষ্ট
মশীহ
যীশু খ্রীষ্ট
নাসরতীয় যীশু
ঈসা মসীহ
ঈসা ইবনে মরিয়ম
আদি নিবাস নাসরৎ, যিহূদিয়া, রোমান সাম্রাজ্য
পিতা-মাতা
আদি নিবাস নাসরৎ, রোমীয় যিহূদিয়া প্রদেশ, রোমান সাম্রাজ্য
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
প্রধান স্মৃতিযুক্ত স্থান যীশুর সমাধি, পুরাতন যিরূশালেম
উৎসব
যাদের প্রভাবিত করেন
ঐতিহ্য বা ধরন

যীশু (প্রাচীন গ্রিকἸησοῦς, Iēsoûs; হিব্রু ভাষায়: יֵשׁוּעַ‎, Yēšū́aʿ; আরামীয়: ܝܶܫܽܘܥ‎, Yešūʿ; আমহারীয়: ኢየሱስ; আরবি: يَسُوع‎‎ Yasūʿ বা عِيسَى ʿĪsā; আনু. ৪ খ্রি.পূ. – ৩০ বা ৩৩ খ্রি.), যিনি নাসরতীয় যীশু বা যীশু খ্রীষ্ট নামেও পরিচিত, ছিলেন প্রথম শতাব্দীর একজন যিহূদী ধর্মপ্রচারক ও ধর্মীয় নেতা। তিনি বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম খ্রীষ্টধর্মের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। অধিকাংশ খ্রীষ্টানদের বিশ্বাসমতে তিনি হলেন পুত্র ঈশ্বরের অবতার বা মাংসে মূর্তিমান বাক্য এবং পুরাতন নিয়মে ভাবোক্ত প্রতীক্ষিত মশীহ বা খ্রীষ্ট

প্রকৃতপক্ষে প্রাচীনকালের সমস্ত আধুনিক পণ্ডিতেরা একমত যে, যীশু ঐতিহাসিকভাবে বিদ্যমান ছিলেন, যদিও ঐতিহাসিক যীশুর খোঁজ সুসমাচারগুলোর ঐতিহাসিক নির্ভরযোগ্যতা এবং বাইবেলের নতুন নিয়মে যীশু কতটা নিবিড়ভাবে চিত্রিত হয়েছেন তা নিয়ে কিছু অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে, কেননা যীশুর জীবনের নথিপত্র কেবল সুসমাচারগুলোতেই রয়েছে। যীশু ছিলেন একজন গালীলীয় যিহূদী, যিনি বাপ্তিস্মদাতা যোহন কর্তৃক বাপ্তিস্মিত হয়েছিলেন এবং পরিচর্যাপ্রচারণা শুরু করেছিলেন। তার শিক্ষা প্রাথমিকভাবে মৌখিক প্রেষণ দ্বারা সংরক্ষিত ছিল এবং তিনি নিজে প্রায়ই “রব্বি” নামে অবিহিত ছিলেন। যীশু কীভাবে ঈশ্বরকে সর্বোত্তমভাবে অনুসরণ করা যায় তা নিয়ে যিহূদীদের সঙ্গে বিতর্ক করেছিলেন, নিরাময়ে নিযুক্ত হয়েছিলেন, দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করেছিলেন এবং অনুসারীদের জড়ো করেছিলেন। ঐতিহ্য অনুসারে যিহূদী কর্তৃপক্ষ তাঁকে গ্রেফতার ও বিচার করেছিল,রোমান সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছিল এবং রোমীয় দেশাধ্যক্ষ পন্তীয় পীলাতের নির্দেশে ক্রুশারোপণ করেছিল। তার মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা বিশ্বাস করেছিল যে, তিনি মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন এবং তারা যে সম্প্রদায়টি গঠন করেছিল তা অবশেষে আদি মণ্ডলীতে পরিণত হয়েছিল।

জীবনী

প্রাচীন ইতিহাসের সকল আধুনিক গবেষকই কার্যত স্বীকার করেছেন যে, যীশু এক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। যদিও ঐতিহাসিক যিশুর অনুসন্ধান করে সুসমাচারগুলোর ঐতিহাসিক বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বাইবেলে চিত্রিত যিশুর সঙ্গে ঐতিহাসিক যিশুর কতটা মিল, সেই বিষয়ে খুব কম ক্ষেত্রেই মতৈক্যে উপনীত হওয়া গিয়েছে। যীশু ছিলেন একজন গালীলীয় ইহুদি।বাপ্তিস্মদাতা যোহন কর্তৃক দীক্ষিত হবার পর তিনি পরিচর্যাপ্রচারণা শুরু করেন। তিনি মৌখিকভাবে প্রচারকার্য করতেন।প্রেরিতগণ প্রায়শই তাঁকে “রব্বি” বলে সম্মোধন করতেন। ঈশ্বরকে অনুসরণ করার ক্ষেত্রে কোন উপায়টি শ্রেষ্ঠ তা নিয়ে তিনি সঙ্গী ইহুদিদের সঙ্গে বিতর্কে অবতীর্ণ হন, রোগগ্রস্থদের আরোগ্যদান করেন, রূপক কাহিনীর মাধ্যমে শিক্ষাদান করেন এবং অনুগামীদের একত্র করেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং ইহুদি কর্তৃপক্ষ তার বিচার করে। তারপর তাঁকে রোমান সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং রোমান গভর্নর পন্তীয় পীলাতের আদেশে তাঁকে ক্রুশারোপণ করা হয়। তার অনুগামীরা বিশ্বাস করতেন, মৃত্যুর পর তিনি মৃতদের মধ্য থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন এবং তারা যে সমাজ গড়ে তুলেছিলেন সেটাই কালক্রমে আদি মণ্ডলীর রূপ নেয়।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ

খ্রিষ্ট ধর্ম

খ্রীষ্টীয় মতবাদের অন্তর্ভুক্ত বক্তব্যগুলি হল পবিত্র আত্মার প্রভাবে গর্ভধারণ করে মরিয়ম নাম্নী কুমারীর গর্ভে যীশুর জন্ম হয়, তিনি বিভিন্ন অলৌকিক কার্য সাধন করেন, খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী প্রতিষ্ঠা করেন, মানবের পাপস্খালনের জন্য ক্রুশারোপিত হয়ে রোপণ আত্মবলিদান দিয়ে মৃত্যুবরণ করেন, মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থিত হন, স্বর্গারোহণ করেন এবং সেখান থেকে তিনি পুনরাগমন করবেন। অধিকাংশ খ্রীষ্টান বিশ্বাস করে যে, যীশু ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁদের পুনর্মিলন ঘটাবেন। নাইসিন ক্রিড অনুযায়ী, শারীরিক পুনরুত্থানের পূর্বে বা পরে যীশু জীবিত ও মৃতদের বিচার করবেন। খ্রীষ্টীয় পরলোকতত্ত্বে এই ঘটনাটি যীশুর দ্বিতীয় আগমনের সঙ্গে যুক্ত। খ্রীষ্টানদের একটি বড় অংশ যিশুকে ত্রিত্বের তিন ব্যক্তিত্বের দ্বিতীয় পুত্র ঈশ্বর বলে বিশ্বাস করে। তবে অল্পসংখ্যক খ্রীষ্টান শাখাসম্প্রদায় সম্পূর্ণত বা অংশত অশাস্ত্রীয় বিধায় ত্রিত্ববাদকে অস্বীকার করে। প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর তারিখে (প্রাচ্যদেশীয় কয়েকটি খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে জানুয়ারি মাসের ভিন্ন ভিন্ন তারিখে) বড়দিন উৎসবের মধ্য দিয়ে যীশুর জন্ম উদ্‌যাপিত হয়। তার ক্রুশারোহণের সম্মানে গুড ফ্রাইডে ও পুনরুত্থানের সম্মানে ইস্টার পালিত হয়। বহুল ব্যবহৃত পঞ্জিকা বর্ষ "খ্রিস্টাব্দ" যীশুর যথাযথপ্রায় জন্মসনের ভিত্তিতে প্রচলিত হয়েছে। ইংরেজিতে এই বর্ষের সংক্ষিপ্ত নামরূপ "এডি" কথাটি এসেছে লাতিন আন্নো দোমিনি (anno Domini, "প্রভুর সন") কথাটি থেকে। ইংরেজিতে অধুনা এই বর্ষের ভিত্তিতে "সাধারণ বর্ষ" ("সিই") ধরা হয়।

ইসলাম ধর্ম

খ্রিস্টধর্মের বাইরেও যিশু সম্মানিত হন। ইসলামে যিশুকে (সাধারণত ঈসা নামে উল্লিখিত) ঈশ্বরের গুরুত্বপূর্ণ নবিদের অন্যতম ও মসিহ মনে করা হয়। মুসলমানেরা বিশ্বাস করেন যে, যিশু কুমারীগর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আল কুরআন এ তার সাহায্যকারীদের হাওয়ারি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । কিন্তু তারা তাঁকে ঈশ্বর বা ঈশ্বরপুত্র বলে মানেন না। কুরআনে বলা হয়েছে যে, যিশু নিজের দৈবসত্ত্বা দাবি করতেন না। মুসলিমরা বিশ্বাস করেন না যে, তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। তাঁদের মতে, ঈশ্বর তাঁকে স্ব শরীরে আসমানে তুলে নেন। এবং কিয়ামতের( বিশ্ব জগৎ ধংশ্বের) পূর্বে পুনরায় আসবেন মাসীহুদ দাজ্জাল (ভন্ড মাসীহকে) কে হত্যা করার জন্য । অন্যদিকে ইহুদিধর্ম যিশুকে প্রতীক্ষিত ত্রাণকর্তা বলে স্বীকার করে না। এই মতে, তিনি ত্রাণকর্তা-সংক্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণীর শর্তগুলি পূরণ করেন না; তার দৈবসত্ত্বা ছিল না এবং তিনি পুনরুত্থিতও হননি।

আরও দেখুন

পাদটীকা

ব্যাখ্যা

গ্রন্থপঞ্জি

বহিঃসংযোগ


Новое сообщение