Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
রবিন উইলিয়ামস
রবিন উইলিয়ামস | |
---|---|
Robin Williams | |
জন্ম |
রবিন ম্যাকলরিন উইলিয়ামস
(১৯৫১-০৭-২১)২১ জুলাই ১৯৫১ শিকাগো, ইলিনয়েস, যুক্তরাষ্ট্র
|
মৃত্যু | ১১ আগস্ট ২০১৪(2014-08-11) (বয়স ৬৩) টিবুর্ন, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
|
মৃত্যুর কারণ | ফাঁসির মাধ্যমে আত্মহত্যা |
মাতৃশিক্ষায়তন | জুলিয়ার্ড স্কুল |
পেশা | অভিনেতা, স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান, চলচ্চিত্র প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার |
কর্মজীবন | ১৯৭২–২০১৪ |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ৩, জেলদা উইলিয়ামস |
কৌতুকাভিনয় কর্মজীবন | |
মাধ্যম | মঞ্চ, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন |
ধরন | চরিত্র কৌতুকাভিনয়, improvisational comedy |
প্রভাবিত হয়েছেন | জোনাথন উইন্টার্স,ওয়ার্নার ব্রাদার্সের কার্টুন,ডুডলি মুর,পিটার সেলার্স,পিটার কুক |
প্রভাবিত করেছেন | |
ওয়েবসাইট | robinwilliams |
রবিন উইলিয়ামস (২১ জুলাই ১৯৫১ - ১১ আগস্ট ২০১৪) ছিলেন একজন মার্কিন কৌতুকাভিনেতা এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা। উনিশ সত্তরের দশকের মাঝামাঝিতে সান ফ্রান্সিস্কো এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে কৌতুকাভিনেতা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা রবিন সান ফ্রান্সিস্কোর কৌতুকের নবজাগণের অন্যতম একজন। দ্য ফিশার কিং, ডেড পোয়েটস সোসাইটি ও গুড মর্নিং, ভিয়েতনাম- এই তিনটি সিনেমাতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিলেন রবিন। সমসাময়িক সময়ের বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা রবিন উইলিয়ামস বিখ্যাত মার্কিনি কমেডি টেলিসিরিজ 'মর্ক অ্যান্ড মাইন্ডি'-তে অভিনয় করে সারা বিশ্বের মন জয় করেছিলেন।
১৯৯৭ সালে এন্টারটেনমেন্ট উইকলি তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে মজার মানুষ উপাধি দেয়। বহু সিনেমা ও টেলিসিরিজে এই কৌতুকাভিনেতার অবিস্মরণীয় অভিনয় তাকে সব সময় আলোচিত করেছে। শুধু মাত্র কৌতুক চরিত্রেই নয়, বিভিন্ন গুরুগম্ভীর চরিত্রেও দাপটের সঙ্গে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছিলেন রবিন। ১৯৯৭ সালের গুড উইল হান্টিং ছবিতে শন ম্যাগুইয়াইর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি তার কর্মজীবনে সাতটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, পাঁচটি গ্র্যামি পুরস্কার, দুটি এমি পুরস্কার, এবং দুটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার জয় করেন।
কর্মজীবন
চলচ্চিত্র
রবিন অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ১৯৯৭ সালের স্বল্প বাজেটের ক্যান আই ডু ইট... 'টিল আই নিড গ্লাসেস?। এতে তিনি ছোট একটি ভূমিকায় অভিনয় করেন। তার প্রথম বড় কাজ ছিল পপাই (১৯৮০) ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয়। এই ছবিতে রবিন পূর্বে তার টেলিভিশনে কাজের দক্ষতা কাজে লাগান এবং ছবিটি বাণিজ্যিকভাবে সফল না হলেও এই ব্যর্থতার দায়ভার তার অভিনয়ের ছিল না। ১৯৮২ সালে তিনি দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাকর্ডিং টু গার্প ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। রবিন এই ছবি সম্পর্কে পরে বলেন যে পর্দায় কাজের গভীরতা কম থাকলেও এতে গুরুতর বিষয় ছিল। এরপর তিনি দ্য সার্ভাইভার্স (১৯৮৩) এবং ক্লাব প্যারাডাইজ (১৯৮৬) ছবিতে ছোটখাট ভূমিকায় অভিনয় করেন। রবিন এই ছবিগুলো সম্পর্কে বলেন যে এগুলো তার চলচ্চিত্র জীবনের উন্নতিতে কোন ভূমিকা পালন করে নি।
রবিনের প্রথম বড় রকমের কাজ ছিল বেরি লেভিনসন পরিচালিত গুড মর্নিং, ভিয়েতনাম (১৯৮৭)। ছবিটি তাকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন এনে দেয় এবং তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রের অভিনেতার জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৫ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের পটভূমিতে নির্মিত ছবিতে রবিন আদ্রিয়ান ক্রোনাউর নামে একজন রেডিও শক জোক চরিত্রে অভিনয় করেন, যে যুদ্ধে সৈন্যদের কৌতুক ও ব্যঙ্গের মাধ্যেম বিনোদন প্রদান করে। তাকে কোন পান্ডুলিপি দেওয়া হয় নি এবং তার লাইনগুলো নিজের মত করে করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। মাইক্রোফোনে তিনি ওয়াল্টার ক্রোঙ্কিট, গোমার পাইল, এলভিস প্রেসলি, মিস্টার এড এবং রিচার্ড নিক্সনদের স্বর হুবহু নকল করেন। এই প্রসঙ্গে প্রযোজক মার্ক জনসন বলেন, আমরা ক্যামেরা রোল করতাম আর উইলিয়ামস প্রতিবারই নতুন কিছু করে দেখাত।"
তার পরবর্তী অধিকাংশ চরিত্রই কমেডি-কেন্দ্রিক। তবে কমেডি এবং নাট্য সংবলিত চরিত্রের জন্য তিনি একাডেমি পুরস্কার জয় করেন এবং মনোনয়ন লাভ করেন। ১৯৮৯ সালে ডেড পোয়েটস সোসাইটি ছবিতে একজন ইংরেজির শিক্ষক ও ১৯৯১ সালে দ্য ফিশার কিং ছবিতে বিপর্যস্ত অসহায় চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং ১৯৯৭ সালে গুড উইল হান্টিং ছবিতে একজন থেরাপিস্ট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ডেড পোয়েটস সোসাইটি ছবির শেষের দিকে একটি বেদনাদায়ক দৃশ্য ছিল, যাকে অনেক সমালোচক "একটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে" বলে মন্তব্য করেন এবং তা পপ সংস্কৃতির অংশ হয়ে যায়।গুড উইল হান্টিং ছবিতে তার অভিনয় কয়েকজন বাস্তবিক থেরাপিস্টকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
১৯৯০ সালে উইলিয়ামস অ্যাওয়াকেনিংস ছবিতে অলিভার স্যাকসের ভূমিকায় অভিনয় করেন। অলিভারের লেখা বই থেকেই ছবিটি নির্মিত হয়। ১৯৯১ সালে তিনি পিটার প্যান চরিত্রে হুক ছবিতে অভিনয় করেন। এই ছবির জন্য তাকে ২৫ পাউন্ড ওজন কমাতে হয়েছিল। এছাড়া নব্বইয়ের দশকে তিনি সমালোচক কর্তৃক সমাদৃত নাট্যধর্মী হোয়াট ড্রিমস মে কাম (১৯৯৮) এবং বাইসেন্টেনিয়াল ম্যান (১৯৯৯) ছবিতে অভিনয় করেন।
২০০৬ সালের ৩০শে জানুয়ারি প্রচারিত এক্সট্রিম মেকওভার: হোম এডিশন-এর একটি পর্বে তাকে দেখা যায় এবং এপ্রিল মাসে নিকেলোডেন কিডস চয়েজ পুরস্কারে অতিথি হিসেবে আবির্ভূত হন। ২০০৬ সালে তিনি দ্য নাইট লিসেনার ছবিতে অভিনয় করেন। থ্রিলারধর্মী এই ছবিতে তাকে একজন বেতার অনুষ্ঠান উপস্থাপকের ভূমিকায় দেখা যায়, যার একজন কিশোরের সাথে বন্ধুত্ব হয়, যে আসলে বিদ্যমান ছিল বা ছিল না। একই বছর তিনি ম্যান অব দ্য ইয়ার সহ পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
২০১৪ সালে মৃত্যুর সময় তার চারটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষাধীন ছিল, সেগুলো হল নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম: সিক্রেট অব দ্য টুম্ব, আ মেরি ফ্রিজিন ক্রিসমান, বলেভার্ড ও অ্যাবসোলেটলি অ্যানিথিং।
মঞ্চ
উইলিয়ামস ১৯৮৮ সালে স্টিভ মার্টিনের সাথে লিংকন সেন্টারে অফ-ব্রডওয়ের ওয়েটিং ফর গোডো মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। তার ব্রডওয়ে মঞ্চে অভিষেক হয় রাজিব জোসেফের বেঙ্গল টাইগার অ্যাট দ্য বাগদাদ জু মঞ্চনাটক দিয়ে। নাটকটি ২০১১ সালের ৩১শে মার্চ রিচার্ড রজার্স থিয়েটারে প্রথমবার মঞ্চস্থ হয়।
পুরস্কার ও মনোনয়ন
বিজয়ী
- ১৯৭৮: শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিক অভিনেতার জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার - মর্ক অ্যান্ড মিন্ডি
- ১৯৮০: শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিক অভিনেতার জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার - মর্ক অ্যান্ড মিন্ডি
- ১৯৮০: শ্রেষ্ঠ কমেডি অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি পুরস্কার - রিয়েলিটি... হোয়াট আ কনসেপ্ট
- ১৯৮৭: শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতার জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার - গুড মর্নিং, ভিয়েতনাম
- ১৯৮৭: শ্রেষ্ঠ হাস্যরসাত্মক অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি পুরস্কার - আ নাইট অ্যাট দ্য মেট
- ১৯৮৭: ভিন্নধর্মী বা সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অসাধারণ একক অভিনয়ের জন্য এমি পুরস্কার - ক্যারল বার্নেট স্পেশাল: ক্যারল, কার্ল, হুপি অ্যান্ড রবিন
- ১৯৮৮: ভিন্নধর্মী বা সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অসাধারণ একক অভিনয়ের জন্য এমি পুরস্কার - এবিসি প্রেজেন্টস আ রয়েল গালা
- ১৯৮৯: শ্রেষ্ঠ কমেডি অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি পুরস্কার - গুড মর্নিং ভিয়েতনাম
- ১৯৯১: শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতার জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার - দ্য ফিশার কিং
- ১৯৯২: গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার বিশেষ অবদান - আলাডিন
- ১৯৯৩: শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেতার জন্য গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার - মিসেস ডাউটফায়ার
- ১৯৯৬: পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার - দ্য বার্ডকেজ
- ১৯৯৭: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার - গুড উইল হান্টিং
- ১৯৯৭: পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার - গুড উইল হান্টিং
- ২০০৩: শ্রেষ্ঠ হাস্যরসাত্মক অ্যালবামের জন্য গ্র্যামি পুরস্কার - রবিন উইলিয়ামস লাইভ - ২০০২
- ২০০৫: গোল্ডেন গ্লোব সেসিল বি ডিমিল পুরস্কার
আরও পড়ুন
- "Special Edition: The Death of Robin Williams"। Nightline। ABC News। আগস্ট ১১, ২০১৪। ১২ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫।
- "The Life and Death of Robin Williams"। 2020। ABC News। আগস্ট ১২, ২০১৪। আগস্ট ১৩, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১৫।
- Weisman, Aly (আগস্ট ১৩, ২০১৪)। "Robin Williams set up a 3-part trust fund for his kids amid money troubles before death"। Business Insider।
- "Peter Travers on 9 of His Favorite Robin Williams Performances – Rolling Stone's film critic weighs in on the late actor and comedian's best work"। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে রবিন উইলিয়ামস (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে রবিন উইলিয়ামস (ইংরেজি)
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে রবিন উইলিয়ামস (ইংরেজি)
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে রবিন উইলিয়ামস (ইংরেজি)
- টুইটারে রবিন উইলিয়ামস (archive)