লেপিডোপ্টেরা
| লেপিডোপ্টেরা (প্রজাপতি/ মথ) সময়গত পরিসীমা: early Jurassic–Holocene | |
|---|---|
|
| |
| মনার্চ প্রজাপতি এবং লুনা মথ, দু'টি অতিপরিচিত লেপিডোপ্টেরান | |
| বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
| জগৎ: | Animalia |
| পর্ব: | Arthropoda |
| শ্রেণী: | Insecta |
| উপশ্রেণী: | Pterygota |
| অধঃশ্রেণী: | Neoptera |
| মহাবর্গ: | Endopterygota |
| বর্গ: |
Lepidoptera লিনিয়াস, ১৭৫৮ |
| Suborders | |
লেপিডোপ্টেরা (ইংরেজি: Lepidoptera) হল মথ এবং প্রজাপতি নিয়ে গঠিত বড় একটি পতঙ্গ বর্গ। এটি পৃথিবীর কীট বর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম পরিচিত এবং বহুবিস্তৃত একটি বর্গ। ১৭৩৫ সালে ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম শব্দটি উদ্ভাবন করেন যা দু’টি প্রাচীণ গ্রীক শব্দ “আঁশ” এবং “পাখনা” থেকে উদ্ভূত। এই বর্গে ৪৬ টি মহাগোত্রে এবং ১২৬ টি গোত্রে আনুমানিক ১৭৪,২৫০ টি প্রজাতি রয়েছে। সাম্প্রতিক অনুমান অনুসারে এই বর্গের প্রজাতির সংখ্যা পূর্বে অনুমানকৃত সংখ্যার চাইতেও অধিক।হাইমেনোপ্টেরা, ডিপ্টেরা এবং কলিওপ্টেরা বা গুবরে পোকাসহ এই বগর্টি সবচাইতে বেশি প্রজাতিবিশিষ্ট।
অন্যান্য অধিকাংশ কীটের মতো প্রজাপতি এবং মথ সম্পূর্ণ রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যায়। এদের জীবনচক্র সাধারণত ডিম, শূককীট, পিউপা, এবং ইমাগো বা পূর্ণাঙ্গ কীট নিয়ে গঠিত। মিলন এবং ডিম পাড়ার বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ পতঙ্গের দ্বারা সম্পাদিত হয়। এর শূককীটকে সাধারণত ক্যাটারপিলার বা শুঁয়োপোকা বলা হয় যার গঠন পূর্ণাঙ্গ মথ বা প্রজাপতির গঠনের চাইতে সম্পূর্ণ আলাদা। বেড়ে উঠার সাথে সাথে এসব শূককীটের চেহারার পরিবর্তন ঘটে এবং ক্রমশ কয়েকটি দশার মধ্য দিয়ে যায় যাকে ইনস্টার বলে। পরিপক্ব হয়ে গেলে শূককীট পিউপাতে বিকশিত হয় যাকে প্রজাপতির ক্ষেত্রে ক্রিসালিস এবং মথের ক্ষেত্রে কোকুন বলে ডাকা হয়।