Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

সংক্রমণ নিবারক

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
সংক্রমণ নিবারণের উদ্দেশ্যে মেঝের উপরে বিশেষ নেকড়া-ঝাড়ু দিয়ে সংক্রমণ নিবারক দ্রবণ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
সংক্রমণ নিবারকগুলি দ্রুত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়। এই পদার্থগুলি ব্যাকটেরিয়ার প্রাচীর প্রোটিনগুলির ক্ষতিসাধন করে এবং প্রাচীর ভেঙে ব্যাকটেরিয়া মরে যায় ও ভেতরের ডিএনএ বস্তুগুলি বের হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।
সংক্রমণ নিবারকদের বিরুদ্ধে জীবাণুদের প্রতিহতকরণ ক্ষমতার স্তরসমূহ

সংক্রমণ নিবারক বলতে জীবাণু-নিরোধক কিছু সক্রিয় পদার্থকে বোঝায় যেগুলি কোন জড়, নিষ্ক্রিয় পৃষ্ঠের উপরিতলে অবস্থিত অণুজীবগুলিকে হয় নিষ্ক্রিয় করে দেয় কিংবা ধ্বংস করে দেয়। সংক্রমণ নিবারকগুলি জীবাণুদের কোষপ্রাচীর ধ্বংস করে কিংবা সেগুলির বিপাক প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটিয়ে মৃত্যু ঘটায়। প্রায়শই হাসপাতাল, শল্যচিকিৎসা, দন্ত্য-শল্যচিকিৎসা, রান্নাঘর ও শৌচালয়ে (টয়লেট) সংক্রামক জীবাণুদের ধ্বংস করার জন্য সংক্রামণ নিবারক ব্যবহার করা হয়।

সংক্রমণ নিবারণ প্রক্রিয়াটি সাধারণ ১০০% জীবাণুকে ধ্বংস করে না। কিছু ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকভাইরাস, এবং বিশেষ করে কিছু ব্যাকটেরিয়া রেণু, এগুলিকে প্রতিহত করে টিকে থাকতে পারে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে সংক্রমণ নিবারণ প্রক্রিয়াটি নির্বীজন বা জীবাণুমুক্তকরণ (Sterilization) প্রক্রিয়ার তুলনায় খানিক কম কার্যকর। নির্বীজন প্রক্রিয়াটি একটি চরম পর্যায়ের ভৌত বা রাসায়নিক প্রক্রিয়া যা সব ধরনের জীবাণু বা জীবিত বস্তু মেরে ফেলতে পারে। সংক্রমণ নিবারক পদার্থগুলি অন্যান্য জীবাণু নিরোধক যেমন ব্যাকটেরিয়া নিরোধক (অ্যান্টিবায়োটিক) অপেক্ষা ভিন্ন, কেননা ব্যাকটেরিয়া নিরোধকগুলি দেহের ভেতরে অবস্থিত জীবাণু ধ্বংস করে। আবার পচন নিবারক (অ্যান্টি-সেপ্টিক) থেকেও এটি আলাদা, কেননা পচন নিবারকগুলি জৈব দেহকলার উপরে অবস্থিত জীবাণুদেরকে ধ্বংস করে। সংক্রমণ নিবারক এবং জীবনাশকের (বায়োসাইড) মধ্যেও পার্থক্য আছে; কেননা জীবনাশকগুলি কেবল অণুজীব বা জীবাণু নয়, সমস্ত ধরনের জীবকে ধ্বংস করতে পারে।

"স্যানিটাইজার" বা "স্বাস্থ্যসম্মতকারক" বলতে সেইসব পদার্থকে বোঝায়, যেগুলি একই সাথে কোনও জড় পৃষ্ঠতল পরিষ্কার করতে ও জীবাণু সংক্রমণ নিবারণ করতে ব্যবহৃত হয়। তবে স্বাস্থ্যসম্মতকারকগুলি অপেক্ষা সংক্রমণ নিবারকগুলি বেশি জীবাণু ধ্বংস করে থাকে।

বর্জ্য জল পরিশোধন ক্ষেত্রে ক্লোরিন, অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণ বা ওজোনীকরণের মাধ্যমে বর্জ্য জল থেকে রোগ-সৃষ্টিকারী জীবাণু দূর করা হয়, যেটিকে সংক্রমণ নিবারণ ধাপ হিসেবে গণ্য করা হয়।


Новое сообщение