Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
সংস্পর্শ-পরবর্তী প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা
সংস্পর্শ-পরবর্তী প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা |
---|
সংস্পর্শ-পরবর্তী প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা বলতে কোনও ক্ষতিকর পদার্থ বা রোগজীবাণুর সংস্পর্শে আসার পরে সেটি যেন দেহে কোনও ক্ষতি বা সংক্রমণের সৃষ্টি করতে না পারে, সে উদ্দেশ্যে প্রদত্ত এক ধরনের প্রতিরোধমূলক চিকিৎসাকে বোঝায়। একে ইংরেজি পরিভাষায় "পোস্ট-এক্সপোজার প্রোফাইল্যাক্সিস" (Post-exposure prophylaxis) বা "পোস্ট-এক্সপোজার প্রিভেনশন" (Post-exposure prevention) বলে।
এই চিকিৎসাটি মূলত এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণের আলোচনায় বহুল ব্যবহৃত হয়। তবে জলাতংক, ধনুষ্টংকার, যকৃৎপ্রদাহ (হেপাটাইটিস), লাইম রোগ, ইত্যাদি মারাত্মক রোগের জন্যও এই চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়। যেমন এইচআইভি ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই চিকিৎসা প্রদান করলে ঐ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হবার ঝুঁকি ৮০% হ্রাস পায়, কিন্তু তিন দিন পরে শুরু করলে এর কোনও কার্যকারিতা থাকে না।
জলাতংক
কোনও সন্দেহপ্রবণ জলাতংকগ্রস্ত পশুর কামড় খাবার পরে মানবদেহে জলাতঙ্কের আবির্ভাব প্রতিরোধের জন্য প্রায়শই কার্যকরভাবে সংস্পর্শ-পরবর্তী প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। যেহেতু জলাতংক জীবাণুর শনাক্ত করার উপকরণ লভ্য নয়, তাই এই ঘাতক রোগটির জন্য সাথে সাথে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা প্রদান করতে হয়। এই চিকিৎসাতে ধারাবাহিকভাবে জলাতংক টিকা ও ইমিউনোগ্লোবুলিন (প্রতিরক্ষিকা বা অ্যান্টিবডি) সূচিপ্রয়োগ করা হয়। জলাতংক জীবাণুর সম্ভাব্য সংস্পর্শে আসা মানুষ ও পশু উভয়কেই জলাতংক টিকা দেয়া হয়।