Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
সজনে
সজনে Moringa oleifera | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Brassicales |
পরিবার: | Moringaceae |
গণ: | Moringa |
প্রজাতি: | M. oleifera |
দ্বিপদী নাম | |
Moringa oleifera | |
প্রতিশব্দ | |
|
সজনে (বৈজ্ঞানিক নাম: Moringa oleifera) হচ্ছে Moringaceae পরিবারের Moringa গণের একটি বৃক্ষ জাতীয় গাছ। সজনের কাঁচা লম্বা ফল সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, পাতা খাওয়া হয় শাক হিসেবে। খরা সহিষ্ণু ও গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের একটি উদ্ভিদ। ডাল ও বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করলেও আমাদের দেশে সাধারণত ডালের মাধ্যমে বা অঙ্গজ জননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করানো হয়। গ্রীষ্মকাল বিশেষত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত ডাল রোপণের উপযুক্ত সময়।
সজিনা গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। গবেষকরা সজিনা পাতাকে বলে থাকেন নিউট্রিশন্স সুপার ফুড এবং সজিনা গাছকে বলা হয় মিরাকেল ট্রি।
বিবরণ
এটির শাক হিসেবে ব্যবহৃত পাতা ভিটামিন এ-এর এক বিশাল উৎস। সজনের পাতা এবং ফল উভয়ের মধ্যেই বিপুল পরিমাণে পুষ্টি আছে। এতসব পুষ্টিগুণ একসাথে আছে বলেই এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং জীবন ধারনের পুষ্টি দুটোই পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান | |
---|---|
শক্তি | ৬৪ kcal (২৭০ কিজু) |
৮.২৮ g |
|
খাদ্য আঁশ | ২.০ g |
১.৪০ g |
|
৯.৪০ g |
|
ভিটামিন | পরিমাণ দৈপ%† |
ভিটামিন এ সমতুল্য |
৪৭% ৩৭৮ μg |
থায়ামিন (বি১) |
২২% ০.২৫৭ মিগ্রা |
রিবোফ্লাভিন (বি২) |
৫৫% ০.৬৬০ মিগ্রা |
নায়াসিন (বি৩) |
১৫% ২.২২০ মিগ্রা |
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) |
৩% ০.১২৫ মিগ্রা |
ভিটামিন বি৬ |
৯২% ১.২০০ মিগ্রা |
ফোলেট (বি৯) |
১০% ৪০ μg |
ভিটামিন সি |
৬২% ৫১.৭ মিগ্রা |
খনিজ | পরিমাণ দৈপ%† |
ক্যালসিয়াম |
১৯% ১৮৫ মিগ্রা |
লৌহ |
৩১% ৪.০০ মিগ্রা |
ম্যাগনেসিয়াম |
৪১% ১৪৭ মিগ্রা |
ম্যাঙ্গানিজ |
১৭% ০.৩৬ মিগ্রা |
ফসফরাস |
১৬% ১১২ মিগ্রা |
পটাসিয়াম |
৭% ৩৩৭ মিগ্রা |
সোডিয়াম |
১% ৯ মিগ্রা |
জিংক |
৬% ০.৬ মিগ্রা |
অন্যান্য উপাদান | পরিমাণ |
পানি | ৭৮.৬৬ g |
| |
†প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল |
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান | |
---|---|
শক্তি | ৩৭ kcal (১৫০ কিজু) |
৮.৫৩ g |
|
খাদ্য আঁশ | ৩.২ g |
০.২০ g |
|
২.১০ g |
|
ভিটামিন | পরিমাণ দৈপ%† |
ভিটামিন এ সমতুল্য |
১% ৪ μg |
থায়ামিন (বি১) |
৫% ০.০৫৩০ মিগ্রা |
রিবোফ্লাভিন (বি২) |
৬% ০.০৭৪ মিগ্রা |
নায়াসিন (বি৩) |
৪% ০.৬২০ মিগ্রা |
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড (বি৫) |
১৬% ০.৭৯৪ মিগ্রা |
ভিটামিন বি৬ |
৯% ০.১২০ মিগ্রা |
ফোলেট (বি৯) |
১১% ৪৪ μg |
ভিটামিন সি |
১৭০% ১৪১.০ মিগ্রা |
খনিজ | পরিমাণ দৈপ%† |
ক্যালসিয়াম |
৩% ৩০ মিগ্রা |
লৌহ |
৩% ০.৩৬ মিগ্রা |
ম্যাগনেসিয়াম |
১৩% ৪৫ মিগ্রা |
ম্যাঙ্গানিজ |
১২% ০.২৫৯ মিগ্রা |
ফসফরাস |
৭% ৫০ মিগ্রা |
পটাসিয়াম |
১০% ৪৬১ মিগ্রা |
সোডিয়াম |
৩% ৪২ মিগ্রা |
জিংক |
৫% ০.৪৫ মিগ্রা |
অন্যান্য উপাদান | পরিমাণ |
পানি | ৮৮.২০ g |
| |
†প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে। উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল |
০১। প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন, গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। ফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতা সহ বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতি জনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
০২। এতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে এবং পালংশাকের চেয়ে তিন গুণ বেশি আয়রণ বিদ্যমান, যা এ্যানেমিয়া দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
০৩। সজনে শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও অন্যতম অবদান রাখে।
০৪। মানুষের শরীরের প্রায় ২০% প্রোটিন যার গাঠনিক একক হলো এমাইনো এসিড। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেটাবোলিজম এবং অন্যান্য শারীরবৃত্ত্বীয় কার্যাবলী পরিপূর্ণরূপে সম্পাদনে এমাইনো এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানুষের শরীরের যে ৯ টি এমাইনো এসিড খাদ্যের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হয়, তার সবগুলোই এই মরিঙ্গার মধ্যে বিদ্যমান।
০৫। এটি শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মত কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।
০৬। নিয়মিত দৈনিক সেবন শরীরের ডিফেন্স মেকানিজমকে আরো শক্তিশালী করে এবং ‘ইমিউনিটি স্টিমুল্যান্ট’ হওয়ার দরুন এটি ‘এইডস’ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
০৭। এটি শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পুষ্টিবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
০৮। শরীরের ওজন কমাতেও ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।
০৯। এটি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। পাতা থেকে তৈরি এক টেবিল চামচ পাউডারে ১৪% প্রোটিন, ৪০% ক্যালসিয়াম, ২৩% আয়রণ বিদ্যমান, যা ১ থেকে তিন বছরের শিশুর সুষ্ঠু বিকাশে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়ানোকালীন সময়ে ৬ টেবিল চামচ পাউডার একজন মায়ের প্রতিদিনের আয়রণ এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
১০। এটির এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এটি যকৃত ও কিডনী সুস্থ্য রাখতে এবং রূপের সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবেও কাজ করে থাকে।
১১।সজনে-তে প্রায় ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের এন্টি-অক্সিডেন্ট বিদ্যমান।
১২। এতে ৩৬ টির মত এন্টি-ইনফ্ল্যামমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এছাড়াও এটি অকাল বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
প্রতিক্রিয়া: ডঃ লয়েল ফিউগিল এর মতে, দৈনিক এই পাতা গ্রহণে কোন ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নেই।
অন্যান্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবেঃ সজনে পাতা রুমিনেন্ট জাতীয় প্রাণীদের ক্ষেত্রে প্রোটিনের একটি অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যার মাঝারি মানের রুচিকরতা বিদ্যমান। পোল্ট্রি, শূকর, খোরগোশ এবং মাছের জন্য খাদ্য হিসেবে এই পাতা ও বীজের ব্যবহার বেশ কার্যকর।
সতর্কতা
সজনে এর মূল অনেক সময় বিষাক্ত হতে পারে, যা স্নায়ুকে অবশ করে দিতে পারে। তাই খাওয়ার ক্ষেত্রে এটি বর্জন করাই শ্রেয়।এছাড়া এর বীজ মাছ এবং র্যাবিট এর জন্যেও বিষাক্ত হতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন আবশ্যক।