Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
সমকামিতার জন্য এপিজেনেটিক তত্ত্ব
সমকামিতার জন্য এপিজেনেটিক তত্ত্বের যে অবতারণা করা হয়েছে, সে বিষয়টি বিজ্ঞানে আজো ধোঁয়াশায় পরিপূর্ণ একটি শাখা। এই ধারণা মতে ডিএনএ ক্রমবিন্যাসে পরিবর্তন না হয়েও কিছু কলাকৌশলের দরুণ জিনের অভিব্যক্তি প্রকাশ বা কোষীয় বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসতে পারে; যার ফলে সমকামিতার উদ্ভব হতে পারে। জীবের জীবনচক্রের বিভিন্ন স্থানে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জিনোমের সুইচ অন এবং অফের বিষয়ে এপিজেনেটিক্স বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। যাইহোক, এপিজেনেটিক তাত্ত্বিকরা সমকামিতার উদ্ভবের পিছনের একাধিক জটিল ধারণার কথা বলেছেন। যার কোনোটাতেই তারা ঐক্যমতে পৌছাতে পারেন নি।
জীবের ডিএনএ ক্রমবিন্যাসে কোনোরূপ পরিবর্তন না করে, নন জেনেটিক ফ্যাক্টর ডিএনএতে এমনভাবে ক্রিয়াসাধন করতে পারে; যার ফলে জীবের জিনের অভিব্যক্তির প্রকাশ ভিন্নভাবে হয়। মানবিদেহের ডিএনএর চারপাশে হিস্টোন প্রোটিন আবৃত থাকে; যা ডিএনএকে কাঠামোগত ইউনিটে সাজিয়ে রাখে। ডিএনএ এবং হিস্টোন এপিজিনোম নামক রাসায়নিক ট্যাগ দ্বারা আবৃত থাকে; যা জিনোমকে গাঠনিক আকার দেয়। এটি ডিএনএ ক্রমবিন্যাসে নিষ্ক্রিয় জিনকে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করে রাখে যার ফলে সেই জিন পড়া যায় না (আনরিডেবল হয়ে যায়) পক্ষান্তরে এটি সক্রিয় জিনকে দুর্বলভাবে আবদ্ধ করে; যাতে করে তা বেশি করে প্রকাশ পেতে পারে। These epigenetic tags react to stimuli presented from the outside world. It adjusts specific genes in the genome to respond to humans' rapidly changing environments. The idea of epigenetics and gene expression has been a theory applied to the origins of homosexuality in humans. One team of researchers examined the effects of epi-marks buffering XX fetuses and XY fetuses from certain androgen exposure and used published data on fetal androgen signaling and gene regulation through non-genetic changes in DNA packaging to develop a new model for homosexuality. সাধারণ এপিমার্ক থেকে শক্তিশালী এপিজিনোম জননাঙ্গ অথবা যৌন পরিচয় পরিবর্তন না করে ব্যক্তির যৌন চাহিদা পরিবর্তন করতে পারে। এই গবেষণা থেকে সমকামিতার মত যৌন চাহিদা ডিএনএর ক্রমবিন্যাসের সুনির্দিষ্ট জিনের অভিব্যক্তির মাধ্যমে সৃষ্টি হয়; এমন অনুমিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। এই তত্ত্ব এপি মার্ক জমজ সমীক্ষা এবং ভ্রুণীয় এন্ড্রোজেনের প্রকাশ সংক্রান্ত বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত।
এপিজেনেটিক মার্ক
এপিজেনেটিক মার্ক (এপি মার্ক) মার্তৃগর্ভে বিকশিত হওয়ার সময় বা জন্মপরিবর্তী সময়তেও জিনের স্বাভাবিক প্রকাশকে ক্ষণস্থায়ীভাবে পরিবর্তন করতে পারে। অধিকন্তু এপি মার্ক হিস্টোন প্রোটিনেরই পরিবর্তিত অবস্থা। ডিএনএ হিস্টোনের সাথে দৃঢ়ভাবে সংযুক্র থাকা মিথাইল এবনহ অ্যাসিটাইল গ্রুপের পরিবর্তিত রূপকেও এপি মার্ক বলা হয়। এবং উক্ত গ্রুপের যেকোনো প্রকার পরিবর্তন জিনের স্বাভাবিক প্রকাশকে পরিবর্তিত করতে পারে। হিস্টোন কাজের উপর ভিত্তি করে এপি মার্ক পরিবর্তিত হয় এবং এর ফলে জিন প্রকাশের স্বাভাবিক পথে ভিন্নরকম প্রভাব বিস্তার হয়।ভ্রুণের বিকাশকালীন সময়ে এপিজেনেটিক মার্ক স্বাভাবিক যৌনতার বিকাশেই উন্নয়ন করে। যাইহোক, এপিজেনেটিক মার্ক মাইটোসিস বিভাজনের সময়েও সন্তানে পৌছাতে পারে। যখন এই এপিমার্ক পিতা অথবা মাতার যেকোনো একজন থেকে সেই পিতা অথবা মায়ের বিপরীত লিঙ্গের সন্তানে স্থানান্তরিত হয়, তখন তা যৌনতার ক্রমবিকাশে পরিবর্তন সাধন করতে পারে। এরফলে মেয়ে সন্তানে পুরুষালি এবং পুরুষ সন্তানে মেয়েলি স্বভাবের সৃষ্টি হতে পারে।
জমজ গবেষণা
অভিন্ন যমজে অভিন্ন ডিএনএ থাকে। ফলে স্বাভাবিক ভাবে এটা মনে করা হয়, যেহেতু সব কিছু জিন নির্ধারিত তাই সব অভিন্ন যমজই হয় সমকামী অথবা বিষমকামী হবে। যাইহোক, বিষয়টা যে সবসময় এরূপ হয় না, এমন প্রমাণ আছে। অর্থাৎ সমকামিতার ব্যাখ্যায় কিছুটা শুন্যতা সৃষ্টি হয়। একটি গে জিন সমকামিতা সৃষ্টি করে না। বরং এপিজেনেটিক পরিবর্তনই জিনের আচরণ প্রকাশকে নিয়ন্ত্রণ করে। অভিন্ন জমজের জোড়ার মধ্যে যদি একজন সমকামী হয় শুধুমাত্র ২২ শতাংশ ক্ষেত্রে বাকি একজনও সমকামী হয়। যা থেকে এই সিদ্ধান্ত অনুমিত হয় যে, যদিও অভিন্ন যমজেরা একই ডিএনএ বিনিময় করে, তাই সমকামিতার উদ্ভবের পিছনে শুধুমাত্র জিন নয় বরং জিন ছাড়াও আরো অনেক কিছু জড়িত থাকতে পারে। Epigenetic transformation allows the on and off switching of certain genes, subsequently shaping how cells respond to androgen signaling, which is critical in sexual development. Another example of epigenetic consequences is evident in multiple sclerosis in monozygotic (identical) twins. There are pairs of twins that are discordant with multiple sclerosis and do not both show the trait. After gene testing, it was suggested that DNA was identical and that epigenetic differences contributed to the gene difference between identical twins.
ভ্রুণীয় এন্ড্রোজেনে প্রকাশের প্রভাব
ভ্রুণীয় দশায়, অ্যান্ড্রোজেন বিশেষ করে টেস্টেস্টোরণ হরমোনের প্রভাব যৌনতার ক্রমবিকাশের সময় নারীতে মেয়েলি স্বভাব এবং পুরুষে পুরুষালি স্বভাব তৈরীতে ভূমিকা রাখে। সাধারণত যৌনতার ক্রমবিকাশের সময় নারীতে টেস্টোস্টেরনের খুব অল্প মাত্রায় বহিঃপ্রকাশ ঘটে যা তাকে স্ত্রীসুলভ করে এবং পুরুষে উচ্চ মাত্রায় টেস্টেস্টোরনের প্রকাশ তাকে পুরুষকে পুরুষসুলভ করে তুলে। যৌনতার এই বিকাশকালীন সময়ে ভ্রুণ এবং অ্যান্ড্রোজেনের এই বহিঃপ্রকাশের মধ্যে পৃথকীকারক হিসেবে অন্যতম কান্ডারীর ভূমিকা পালন করে এপি মার্ক। অধিকন্তু এপি মার্কার এক্সওয়াই ভ্রুণে যেন কম মাত্রায় এন্ড্রোজেনের বহিঃপ্রকাশ না ঘটে এবং এক্সএক্স ভ্রুণে যেন অতিমাত্রায় অ্যান্ড্রোজেনের বহিঃপ্রকাশ না ঘটে, তা দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। যাই হোক যখন অ্যান্ড্রোজেন এক্স-এক্স ফিটাসে অধিক মাত্রায় সক্রিয় থাকে, গবেষণাগুলো মতে যেসব নারীতে স্বাভাবিক অ্যান্ড্রোজেন থাকে; তাদের তুলনায় অধিক অ্যান্ড্রোজেনের স্ফুরণ ঘটা নারীতে পুরুষালি স্বভাব দেখা যেতে পারে। এই গবেষণা থেকে আরো দেখা গিয়েছে যে, যেসব নারীর স্বাভাবিক অ্যাণ্ড্রোজেনের মাত্রা থাকে তাদের তুলনায় অধিক মাত্রায় অ্যান্ড্রোজেনের বহিঃপ্রকাশ প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় নারীতে বিষমকামী আকর্ষণকে হ্রাস করতে পারে।
উত্তরাধিকার
প্রত্যেক প্রজন্মেই নতুন করে এপি মার্ক সৃষ্টি হয়; কিন্তু অনেকসময় এপি-মার্ক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্থানান্তরিত হতে পারে। Sex-specific epi-marks are produced in early fetal development that protect each sex from the natural disparity in testosterone that occurs during later stages of fetal development. ভিন্ন ভিন্ন এপি মার্ক ভিন্ন ভিন্ন যৌনতা নির্ধারণী বৈশিষ্ট্যকে নারীসুলভ বা পুরুষসুলভ হয়ে যাওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখে। কিছু প্রভাব ফেলে জননাঙ্গে বাকিরা প্রভাব ফেলে লিঙ্গ পরিচয়ে, যার ফলে যৌনতার উপর অনুরক্ততায়ও প্রভাব পরে।
যাইহোক, যখন এই এপি মার্কস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, পিতা থেকে কন্যায় অথবা মাতা থেকে পুত্র সন্তানে স্থানান্তরিত হয়; তখন বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ পুত্র সন্তানে নারীসুলভ বৈশিষ্ট্য এবং কন্যা সন্তানে আংশিক পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের উদয় হতে পারে। এছাড়াও এই যে বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, এর ফলে যৌন চাহিদায়ও বৈপরীত্য তৈরী হতে পারে। কিছু সুনির্দিষ্ট সেক্স এপিমার্ক আছে, তারা সুনির্দিষ্ট কাজ করে। এই এপিমার্কগুলো নারী ভ্রুণে যাতে অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরণ ক্ষরিত হয়ে নারীতে পুরুষালি স্বভাব তৈরী করতে না পারে সেবিষয়ে কাজ করে এবং বিপরীত কাজ করে পুরুষ ভ্রুণের ক্ষেত্রে যাতে তার মধ্যে মেয়েলি আচরণ প্রকাশ না পায়। এই সেক্স এপিমার্ক জীবনের নীল নকশা থেকে মুছে যায় এবং কখনোই পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত হয় না। কিন্তু কখনো কখনো এইসব এপিমার্কগুলো মুছে না গিয়ে ডিএনএতে থেকে যায়, ফলশ্রুতিতে এমনটা হওয়া অসম্ভব নয় যে পিতার এপি মার্ক কন্যাতে অথবা মাতার এপিমার্ক পুত্রতে স্থানান্তরিত হয়েছে। এর ফলে যৌন চাহিদায় পরিবর্তন হতে পারে।