সাংগঠনিক জীববিদ্যা
সাংগঠনিক জীববিদ্যা কম্পিউটার পদ্ধতি এবং গাণিতিকভাবে জৈবিক ব্যবস্থার দৃশ্যমান মডেল প্রকাশ করে। ফলিত জীববিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে এটি খুবই নতুন প্রকৌশল বিদ্যা। সাংগঠনিক জীববিদ্যা হচ্ছে জীববিজ্ঞান ভিত্তিক একটি শাখা বিজ্ঞান যা মূলতঃ জৈবিক ব্যবস্থার জটিল মিথস্ক্রিয়া নিয়ে কাজ করে। সাংগঠনিক জীববিদ্যা কে জৈব তথ্যবিজ্ঞান এর একটি অংশ হিসেবে ধরা যেতে পারে। এই বিদ্যা বিভিন্ন গাণিতিক হিসাব নিকাশ, বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার পদ্ধতি, পরিসংখ্যান ব্যবহার করে। যেমনঃ হৃদপিন্ডের রক্ত সঞ্চালন মডেল, কিডনীর সাথে দেহের পানি এবং বিষাক্ত দ্রাবর গাণিতিক সম্পর্ক নির্ণয় ইত্যাদী সাংগঠনিক জীববিদ্যার উদাহরণ। মুলতঃ ২০০০ সালের পর থেকে জীববিদ্যার বিভিন্ন অনুষঙ্গ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সাংগঠনিক জীববিদ্যা শব্দটির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইতিহাস
সাংগঠনিক জীববিদ্যা মূলতঃ এসেছে নিম্নে উল্লেখিত বিষয়বস্তু থেকেঃ
- এনজাইম গতিবিদ্যার মাত্রিক রূপ, যা ১৯০০ থেকে ১৯৭০ এর সময়ে বিকশিত হয়।
- জনসংখ্যা পরিবর্তনের গাণিতিক রূপ
- নিউরোফিজিওলজির উপর উন্নত অধ্যয়ন এবং,
- সাইবারনেটিক্স ও কন্ট্রোল থিওরি।
সংশ্লিষ্ট শাখা-প্রশাখা
সাংগঠনিক জীববিদ্যার সংশ্লিষ্ট শাখা প্রশাখার মাঝে কিছু জটিল টেকনোলজিকাল প্লাটফরম রয়েছে।
- ফিনোমিকস : ফিনোটাইপের সাংগঠনিক ভিন্নতা এবং সমগ্র জীবন জুড়ে এর পরিবর্তন।
- জিনোমিক্স : জেনমের পুনঃসজ্জিত ডিএনএ, ডিএনএ-এর সজ্জার পদ্ধতি, গঠন, কার্যকারিতা প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণ।
- এপিজিনোমিকস / এপিজিনেটিক্স
- ট্রান্সক্রিপ্টোমিকস
- ইন্টারফেরোমিকস
- প্রটিওমিকস
- মেটাবলোওমিকস
- গ্লাইকোমিকস
- লিপিডোমিকস
- ইন্টারএক্টোমিকস
- নিউরোইলেক্ট্রোডাইনামিকস
- ফ্লুক্সোমিকস
- বায়োমিকস
- ক্যানসার সিস্টেম বায়োলজি
জৈব তথ্যবিজ্ঞান ও ডাটা এনালাইসিস
কম্পিউটার বিজ্ঞানের শাখা ইনফরমিকস এবং পরিসংখ্যান সাংগঠনিক জীববিদ্যায় ব্যবহৃত হয়।এর মাঝে রয়েছে-
- নতুন ধরনের কম্পিউটিশনাল মডেল
- তথ্য সংগ্রহকরণের পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে একত্রীকরণ
- অনলাইন ডাটাবেইজের উন্নতি সাধন
- সিনট্যাক্স ও শব্দার্থ অনুসারে জীববিদ্যার মডেলের উন্নয়ন
- নেটওয়ার্ক ভিত্তিক পদ্ধতিতে উচ্চ মাত্রার জিনোমিক তথ্য বিশ্লেষণ