Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
সোমালি জাতি
| |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
---|---|
আফ্রিকার শৃঙ্গ, মধ্যপ্রাচ্য | |
ভাষা | |
সোমালি | |
ধর্ম | |
সুন্নী ইসলাম | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
ওরোমো, জেবের্তি, আফার, সিদামা, সাহো, বিলেন, আগো, ও বেজা |
সোমালি জাতি আফ্রিকার একটি জাতি যারা সমগ্র সোমালিয়া (প্রায় ১ কোটি), জিবুতির কিয়দংশ (সাড়ে ৩ লক্ষ), দক্ষিণ ইথিওপিয়ার ওগাদেন অঞ্চল (৪০-৫০ লক্ষ) এবং উত্তর পশ্চিম কেনিয়ার অংশবিশেষে (প্রায় ৫ লক্ষ) বসবাস করে। ঊষর উপকূলীয় অঞ্চল বাদে বাকী সব স্থানেই যাযাবর সোমালিদের দেখা মেলে। সোমালিরা সোমালি ভাষায় কথা বলে, যেটি আফ্রো-এশীয় ভাষাপরিবারের কুশিটীয় শাখার একটি ভাষা। রক্তক্ষয়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সোমালি গৃহযুদ্ধের কারণে বিপুল সংখ্যক সোমালি ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।
ধারণা করা হয় আরবেরা লোহিত সাগর পার হয়ে এসে সোমালিদের ইসলামে দীক্ষিত করে। ১৪শ শতকের দিকে সোমালিরা উপকূলীয় শুষ্ক সমভূমি অঞ্চল ছেড়ে দক্ষিণে তাদের বসতি সম্প্রসারণ করা শুরু করে। যদিও সোমালীয়দের উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ এই তিন ধরনের সম্প্রদায়ে ভাগ করা যায়, সোমালিরা অত্যন্ত একতাবদ্ধ একটি জাতি এবং নিজেদের জাতিসত্তা নিয়ে গর্বিত।
সোমালি সমাজের একক হচ্ছে “রের” তথা বৃহৎ পরিবার-ভিত্তিক গোত্র, যাদের সদস্যরা একই পুরুষ পূর্বসূরীর রক্ত থেকে উদ্ভূত। একজন সোমালি তার নিজস্ব গোত্র ও গোত্রটি যে বৃহত্তর গোষ্ঠীর অন্তর্গত, তার প্রতি অনুগত। সোমালি সমাজব্যবস্থা পুরুষতান্ত্রিক।
সোমালিরা মূলত যাযাবর প্রকৃতির। সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে এদের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ প্রখর এবং প্রায়ই প্রতিবেশী গোত্রে গোত্রে রক্তাক্ত সংঘর্ষ বাঁধে। ইসলাম সম্পর্কে এদের ধারণা স্বচ্ছ নয় এবং মূলত প্রাচীন সাধু-সন্ন্যাসীদের পূজাতেই সীমাবদ্ধ।
তবে যেসব সোমালি উপকূলীয় শহরগুলিতে বসবাস করে ও কৃষিকাজের সাথে জড়িত, তারা দীর্ঘদিন ধরে আরবদের সান্নিধ্যে একটি সংহত সামাজিক ও ধর্মীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এরা মূলত আরব বহির্বিশ্ব ও অভ্যন্তরীণ যাযাবর সোমালিদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে।