স্বয়ং মুখমেহন
স্বয়ং মুখমেহন হলো হস্তমৈথুনের একটা রূপ হিসাবে নিজের লিঙ্গ-মুখমৈথুন কাজ। কেবলমাত্র সীমিত সংখ্যক পুরুষই শারীরিকভাবে স্বয়ং মুখমেহন সম্পাদনে সক্ষম।
ইতিহাস
মিশরীয় বিজ্ঞানী ডেভিড লর্টন বলেছেন যে, অনেক প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখ আছে মিশরীয় ধর্মে দেবদেবীদের মধ্যে এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণকারীদের মধ্যেও স্বয়ং মুখমেহনের চর্চা ছিল। লর্টনের মতে, প্যাপিরাস ব্রেমনার-রিন্ড ২৮, ২০-২৪ -এর "বুক অফ ওভারথ্রয়িং এপোফিস" নামক নথিতে একটি কবিতা রয়েছে যাতে কীভাবে সূর্য দেবতা রা স্বয়ং মুখমেহন করে নিজের বীর্য থুতুর মত মাটিতে ফেলে দেবতা শু এবং দেবী টেফনাটকে তৈরি করেছিলেন তার বর্ণনা রয়েছে। প্রাচীন মিশরীয় গ্রন্থে, এই কাজটি সাধারণত দেবতা অটাম দ্বারা সম্পাদিত হয় এবং বেশিরভাগ গ্রন্থে কেবল বীর্যের থুতু বা কেবল হস্তমৈথুনকেই চিত্রিত করা হয়েছে, তবে উভয়ই নয়।
শারীরিক দিক
কতিপয় পুরুষের যথেষ্ট নমনীয়তা এবং লিঙ্গ দৈর্ঘ্য রয়েছে যারা নিরাপদে প্রয়োজনীয় উর্ধাঙ্গ সম্মুখে বাঁকাতে পারে। তবে, অতিরিক্ত নমনীয়তা অর্জিত হয় মাধ্যাকর্ষণ সাহায্য প্রাপ্ত অবস্থায় এবং শারীরিক প্রশিক্ষণ যেমন জিমন্যাস্টিকস, করটর্শন বা যোগব্যায়ামের মাধ্যমে। মার্কিন জীববিজ্ঞানী ক্রেইগ বার্টল এবং আলফ্রেড চার্লস কিনসে জানিয়েছেন যে, ১% এরও কম পুরুষ সফলভাবে মুখে তাদের নিজের লিঙ্গ স্পর্শ করতে পারে এবং হাজারে ২ বা ৩ জন পুরুষ একটি সম্পূর্ণ স্বয়ং মুখমেহন সম্পাদন করতে পারেন। পূর্বে, স্বয়ং মুখমেহনকে আচরণবাদী বিজ্ঞানের দ্বারা যৌন আচরণে বৈচিত্র হিসাবে নয় বরং একটি সমস্যা হিসাবে বিবেচিত হত।