ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলের একটি আন্ডারপাস, স্বাভাবিক অবস্থায় (উপরের) এবং পনের মিনিটের ভারি বৃষ্টির পরে (নিচে)
হড়কাবানে প্লাবিত রাস্তায় যান চলাচলের দৃশ্য
মঙ্গোলিয়ার
গোবিতে বজ্রঝড়ের পর হড়কাবান
হড়কাবান, হড়পা বান হলো প্লাবনভূমি, নদী, শুষ্ক হ্রদ ও অবনমিত ভূমি ইত্যাদির মতো নিম্নাঞ্চলে ঘটা আকস্মিক বন্যা। এটি প্রচণ্ড বজ্রঝড়, হারিকেন, বা গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের সাথে যুক্ত ভারী বৃষ্টি বা বরফের পাত বা তুষারক্ষেত্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত বরফ বা তুষার থেকে গলিত পানির কারণে হতে পারে। প্রাকৃতিক বরফ বা ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট বাঁধ, অথবা মানবসৃষ্ট বাঁধের মতো অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ার কারণেও হড়কাবান হতে পারে; যেমনটি ১৮৮৯ সালে জনসটাউন বন্যার সময় ঘটেছিলো। বৃষ্টিপাতের পর ছয় ঘন্টার কম সময়সীমার মধ্যে বন্যার সূত্রপাত হলে সেটিকে হড়কাবান, অন্যথায় সাধারণ বন্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কারণ
প্রায় ১ বছর ধরে চলা খরা শেষে, ৩–৫ ঘন্টা দীর্ঘ বজ্রঝড়ের পরে উত্তর মেক্সিকোতে হড়কাবান প্লাবিত রাস্তা
হড়কাবান প্রায়শই খরার পরে সম্প্রতি বৃষ্টিপাত হয়েছে এমন শুষ্ক অঞ্চলে ঘটে, তবে সেটি বৃষ্টিপতিত এলাকা থেকে নিচের দিকে, এমনকি উৎস থেকে অনেক মাইল দূরেও দেখা যেতে পারে। আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি হিমবাহ থাকলে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে তীব্র তাপে বরফ গলার ফলেও সংলগ্ন এলাকায় হড়কাবান হতে পারে। হারিকেন ও অন্যান্য ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের পর ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বরফের বাঁধের আকস্মিক গলিত প্রভাবের কারণেও হড়কাবান হতে পারে। মানবীয় ক্রিয়াকলাপও হড়কাবানের কারণ হতে পারে। বাঁধ ভাঙার কারণে প্রচুর পরিমাণে পানি নির্গত হলে, যাত্রাপথের সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে।
|
ভূতাত্ত্বিক |
|
জলবৈজ্ঞানিক |
|
আবহাওয়াবৈজ্ঞানিক |
তাপমাত্রা |
|
খরা |
|
ঘূর্ণিঝড় |
|
অন্যান্য |
|
|
মহাকাশ |
|