হান্নাহ চ্যাপলিন
হান্নাহ চ্যাপলিন | |
|---|---|
Hannah Chaplin | |
|
হান্নাহ চ্যাপলিন, আনু. ১৮৮৫
| |
| জন্ম |
হান্নাহ হ্যারিয়েট পেডলিংহাম হিল
(১৮৬৫-০৮-০৬)৬ আগস্ট ১৮৬৫ |
| মৃত্যু | ২৮ আগস্ট ১৯২৮(1928-08-28) (বয়স ৬৩) |
| মৃত্যুর কারণ | সিফিলিস |
| অন্যান্য নাম | হান্নাহ হিল, হান্নাহ হিল চ্যাপলিন, লিলি হার্লি |
| পেশা |
|
| কর্মজীবন | ১৮৮১–১৮৯৪ |
| দাম্পত্য সঙ্গী | চার্লস চ্যাপলিন সিনিয়র (বি. ১৮৮৫; চার্লসের মৃত্যু ১৯০১) |
| সঙ্গী | লিও ড্রাইডেন (১৮৯২–১৮৯৩) |
| সন্তান |
সিডনি চ্যাপলিন চার্লি চ্যাপলিন হুইলার ড্রাইডেন |
| আত্মীয় | দেখুন চ্যাপলিন পরিবার |
হান্নাহ চ্যাপলিন (ইংরেজি: Hannah Chaplin; জন্মনাম: হান্নাহ হ্যারিয়েট পেডলিংহাম হিল, মঞ্চনাম: লিলি হার্লি; ৬ আগস্ট, ১৯৬৫ – ২৮ আগস্ট, ১৯২৮) ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেত্রী, গায়িকা ও নৃত্যশিল্পী। তিনি ১৬ বছর বয়স থেকে ব্রিটিশ গীতিমঞ্চে পরিবেশনা করতেন। তিনি ইংরেজ গীতিমঞ্চের গায়ক চার্লস চ্যাপলিন সিনিয়রের স্ত্রী এবং খ্যাতনামা ইংরেজ অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা চার্লি চ্যাপলিন ও তার দুই সৎ ভাই - অভিনেতা সিডনি চ্যাপলিন ও চলচ্চিত্র পরিচালক হুইলার ড্রাইডেনের মাতা। তার মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনি ১৮৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আর অভিনয় চালিয়ে যেতে পারেন নি। এখনকার সময়ে ধারণা করা হয় তার মানসিক অসুস্থতার কারণ ছিল সিফিলিস। ১৯২১ সালে তিনি তার পুত্র চার্লির কাছে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান। ১৯২৮ সালের আগস্টে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সেখানে সান ফার্নান্দো ভ্যালিতে একটি বাড়িতে তার শুশ্রূষা চলে।
জীবনী
প্রারম্ভিক জীবন
হান্নাহ হ্যারিয়েট পেডলিংহাম হিল ১৮৬৫ সালের ৬ আগস্ট লন্ডনের ওয়ালওর্থ জেলার ১১ ক্যামডেন স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চার্লস ফ্রেডেরিক হিল ছিলেন একজন মুচি। তিনি আইরিশ বংশোদ্ভূত ছিলেন। হান্নাহর মা ম্যারি অ্যান হজেস ছিলেন একজন ব্যবসায়ীর কেরানির কন্যা। হজেসের পূর্বে একজন স্বাক্ষর রচয়িতার সাথে বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু তিনি একটি দুর্ঘটনায় মারা যান।
অভিনয় জীবন
১৬ বছর বয়সে হান্নাহ অভিনেত্রী হিসেবে তার ভাগ্য পরিবর্তন করতে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সে সময়ের অন্যতম সফল নারী অভিনেত্রী লিলি ল্যাংট্রি ছিলেন তার অনুপ্রেরণা এবং তার নামানুসারে তিনি তার মঞ্চনাম রাখেন লিলি হার্লি। তিনি গীতিমঞ্চে অভিনেত্রী ও গায়িকা হিসেবে কাজ করতেন। ১৮৮০ এর দশকে শেমাস ওব্রায়ান নামে একটি আইরিশ স্কেচে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি তার মঞ্চ সহ-পরিবেশক চার্লস চ্যাপলিনের সুন্দর চেহারা ও অভিব্যক্তি দেখে তার প্রেমে পড়েন। এই সময়ে তার মায়ের চিত্র বর্ণনা করতে গিয়ে চার্লি চ্যাপলিন লিখেন যে তিনি দেখতে "স্বর্গের অপ্সরী"র মত ছিলেন। তিনি আরও বলেন যে তার মা "খুবই সুন্দরী ও আকর্ষনীয় ছিলেন এবং তার রূপে মুগ্ধ হওয়ার মত জাদু ছিল"।
শেষ জীবন
শেষ জীবনে তার সন্তানের নিশ্চিত করেন যে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফার্নান্দো ভ্যালির নতুন বাড়িতে হান্নাহ ২৪ ঘণ্টা যত্নের মধ্যে রয়েছেন। সাত বছর পর, ১৯২৮ সালের ২৮ আগস্ট তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লেনডেলে এক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃতুকালে চার্লি তার পাশে ছিলেন। তাকে হলিউড ফরেভার সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়।
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
রিচার্ড অ্যাটেনব্রো পরিচালিত ১৯৯২ সালের চার্লির জীবনীমূলক চলচ্চিত্র চ্যাপলিন-এ তার নাতনী জেরাল্ডিন চ্যাপলিন তার ভূমিকায় অভিনয় করেন। জেরাল্ডিন তার অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
বহিঃসংযোগ
- ফাইন্ড এ গ্রেইভে হান্নাহ চ্যাপলিন (ইংরেজি)
| চার্লি চ্যাপলিনের পিতামাতা | |
|---|---|
| হান্নাহ চ্যাপলিনের সন্তান | |
| চার্লি চ্যাপলিনের স্ত্রীগণ | |
| চার্লি চ্যাপলিনের সন্তান | |
| চার্লি চ্যাপলিনের নাতি-নাতনী | |
| সাধারণ | |
|---|---|
| জাতীয় গ্রন্থাগার | |