Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
হাসান সোহরাওয়ার্দী
লেফটেনেন্ট কর্নেল স্যার হাসান সোহরাওয়ার্দী | |
---|---|
জন্ম | ১৮৮৬ |
মৃত্যু | ১৯৪৬ |
যুগ | আধুনিক যুগ |
উল্লেখযোগ্য অবদান |
দ্য স্পিরিট অফ ইসলাম |
স্যার হাসান সোহরাওয়ার্দী (১৮৮৪ – ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬) হলেন একজন বাঙালি-ইংরেজ রাজপুরুষ, রাজনীতিজ্ঞ ও খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ। তিনি নাইট উপাধি প্রাপ্ত হয়েছিলেন।
জীবনী এবং পরিবার
সোহরাওয়ার্দী সাহেবজাদী শাহবানু বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক পুত্র হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী(১৯০৩–১৯৬৩), ও এক কন্যা শায়েস্তা সোহরাওয়ার্দী ইকরামুল্লাহ। তিনি সালমা সোবহানের, নাজ ইকরামুল্লাহ এবং জর্ডানের রাজকুমারী সারভাথ এর পিতামহ।
কর্মজীবন
১৯৪৫ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি'র অধ্যাপক নিযুক্ত হন। স্যার সোহরাওয়ার্দী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম উপাচার্য ছিলেন। একাধারে তিনি ছিলেন সাইমন কমিশনের পরামর্শ দাতা ও বেঙ্গল আইনসভার সদস্য। ১৯২৩ থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত তিনি এখানকার উপ সভাপতি পদ অলংকৃত করেন।
ভারতীয় পূর্ব রেল এর প্রধান স্বাস্থ্য আধিকারিক ছিলেন। রেলওয়ে স্বাস্থ্য ও এম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করেন। ইংল্যান্ডে ইস্ট লন্ডন মসজিদ তৈরীর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি।
সম্মান
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিয়ামক থাকাকালীন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে বাংলার গভর্নর স্যার স্ট্যানলি জ্যাকসনকে বিপ্লবী বীণা দাসের গুলির হাত থেকে বাঁচান ১৯৩২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। এই সাহসিকতাপূর্ণ কাজের পুরষ্কারস্বরূপ তাকে ১৯৩২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নাইট উপাধি প্রদান করা হয়।
সোহরাওয়ার্দীকে ১৯২৭ সালে জন্মদিনের সম্মাননা তালিকাতে ওবিই নিযুক্ত করা হয়, কাইজার-ই-হিন্দ পদক, ১৯৩০ সালে একই সম্মাননা তালিকায় প্রথম শ্রেণী। ১৯৩২ সালের জানুয়ারীতে সেন্ট জন এর সম্মানসূচক আদেশের (ওএসটিজে) একজন সহযোগী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন, এবং জানুয়ারীর ১৯৩৭-এ সহযোগী কমান্ডার পদে পদোন্নতি হয়েছিলেন স্যার সোহরাওয়ার্দি।কলকাতা শহরে তার স্মৃতিতে সোহরাওয়ার্দি এভিনিউ নামে একটি রাস্তার নামকরণ হয় ১৯৩৩ সালে তার জীবদ্দশায়।
মৃত্যু
১৯৪৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্যার হাসান সোহরাওয়ার্দি মারা যান।