| ২০১৬ বার্লিন হামলা | |
|---|---|
 ব্রেইতসাইডপ্লাসের মধ্য ট্রাক পথে
| |
| স্থান | ব্রেইতসাইডপ্লাসের, বার্লিন, জার্মানি |
| স্থানাংক | ৫২°৩০′১৯″ উত্তর ১৩°২০′০৪″ পূর্ব / ৫২.৫০৫২৮° উত্তর ১৩.৩৩৪৪৪° পূর্ব |
| তারিখ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২০:১৪ সিইটি (ইউটিসি+০১:০০) |
| হামলার ধরন | যানবাহন হামলা |
| ব্যবহৃত অস্ত্র | ইসকানিয়া আর ৪৫০ অর্ধ-ট্রেলার ট্রাক এবং ছোট-ক্ষমতার বন্দুক |
| নিহত | ১২ জন |
| আহত | ৪৮ জন |
১৯শে ডিসেম্বর ২০১৬ সিইটি সময় রাত ২০:১৪,বার্লিনের শালোটেনবুর্গ জেলার ব্রেইতসাইডপ্লাসের কায়সার উইলহেম মেমোরিয়াল চার্চের কাছে একটি বড়দিনের বাজারে একটি ট্রাক ঢুকে পরায় অন্তত বারো জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়। পুলিশ এবং পাবলিক প্রসিকিউটর একে একটি সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে বিবেচিত করছেন। আসল ট্রাক চালকে মৃত (গুলি করে হত্যা) অবস্থায় পাওয়া যায় এবং কিছু সময় পরে একজন পাকিস্তানি শরণার্থীকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
হামলা
১৯শে ডিসেম্বর ২০১৬, ২০:১৪ স্থানীয় সময়ে,বার্লিন শহরের পশ্চিমে ব্রেইতসাইডপ্লাসে একটি বড়দিনের বাজার মধ্য এক ব্যক্তি একটি চোরাই ট্রাক চালিয়ে দেওয়া বারো জনের মৃত্যু হয়। ব্রেইতসাইডপ্লাসের একটি ফুটপাথ এবং বুথ ধ্বংস করে ট্রাকটি ৫০–৮০ মিটার (১৬০–২৬০ ফু) চালিয়ে আসে। স্থানীয় পুলিশ এক বিবৃতে জানায় যে কায়সার উইলহেম মেমোরিয়াল চার্চের সামনে আসার আগে গাড়িটি বুদাপেস্টার ইস্টাসের দিক থেকে আসছিল। ট্রাকটির ক্যাবের যাত্রীর সীট থেকে একজন পোলীয় ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়,, লোকটিকে প্রথমে হাত দিয়ে মারা হয় এবং পরে একটি ছোট-কালিবার বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সন্দেহভাজন চালকে ভিক্টোরিয়া কলাম দিকে পালিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।
পুলিশ এবং পাবলিক প্রসিকিউটর একে একটি সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে ঘটনার তদন্ত করছে। জার্মানি চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল বলেন, "আমরা আবশ্যই এটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল বলে অনুমান করবো"। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস দে মাইজিরি একে সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে বর্ণনা করে।
গাড়ী
ঘটনায় জড়িত গাড়িটি ছিল একটি পোলীয় সোবিয়েমেশেল ভিত্তিক, "উসুগি ট্রাসপোরতোভে এরিয়েল জোরাফস্কি" (এরিয়েল জোরাফস্কি পরিবহন সেবা) ডেলিভারি কোম্পানির কালো রঙের একটি ইসকানিয়া আর ৪৫০ অর্ধ-ট্রেলার ট্রাক।
তদন্ত
সন্দেহভাজন ব্যক্তি
আনিস আমরি
২১শে ডিসেম্বর, পুলিশ ঘোষণা করে যে তদন্তকারীরা ট্রাক চালকের আসনের নিচে আনিস আমরি নামে স্থগিতের একটি নির্বাসন অনুমতিপত্র খুঁজে পেয়েছেন। আনিস আমরি ১৯৯২ সালে তিউনিসিয়ার তাতাওউইনে জন্মগ্রহণ করেন। কর্তৃপক্ষ আমরিরের জন্য ইউরোপ ব্যাপী তল্লাশী শুরু করেছেন। তদন্তকারীদের খবর অনুযায়ী, আমরি ২০১৫ সালে ইতালি থেকে জার্মানি ঢুকে এবং সালাফি নেটওয়ার্কে অন্তরভুক্ত হয় যাকে "ডাই ওয়ারে রেলিজন" (সত্য ধর্ম গ্রুপ) নামেও পরিচিত। এটি যা সম্প্রতিক আবু ওয়ালার গ্রেপ্তারের পরে জন্ম নেয়, যা আইএসআইএল নামে পরিচিত। এটি জার্মানি থেকে নতুন সদস্য নেওয়ার কাজ করে।
আমরি ২০১১ সালে লাম্পেডুসা দ্বীপে একটি শরণার্থী নৌকাতে ইউরোপে প্রথম প্রবেশ করে। সে তার বয়স সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার ভান এবং দ্বীপে অস্থায়ী অভিবাসীদের অভ্যর্থনা কেন্দ্রে তাকে পাঠানো হয়েছিল। ২০১১ সালে ইতালিতে ভাঙচুর, হুমকি ও চুরির দায়ে কারাভোগ করেন। চার বছর জেলে থাকাকালে সহিংস আচরণের জন্য তিনি ইতালি কর্তৃপক্ষের কাছে পরিচিতি পান। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে ইতালি ছাড়তে বলা হয়। আনিস আমরিকে ২৩শে ডিসেম্বর শুক্রবার সিইটি সময় রাত ০৩:০০ ইতালির মিলানোর সেস্তো সান জুভান্নি রেলস্টেশন সামনে মিলানের পুলিশের সাথে গোলাগুলি পুলিশের গুলিতে মারা যায়। আমরি কেবলমাত্র ফ্রান্সের চেইমব্ররি (ভিয়া তুরিন) থেকে ট্রেনে আসে। একটি রুটিন টহল চলাকালে দুই পুলিশ কর্মকর্তা তার পরিচয় পত্র চায়। তার পরিচয় পত্র না থাকায় বেগ অনুসন্ধান করতে চায়। আমরি একটি বন্দুক বের করে এবং এক কর্মকর্তার কাঁধে গুলি করে। অন্য এক কর্মকর্তা আমরি গুলি করে। আমরিকে আধা ঘণ্টার মত বাচাঁনো চেষ্টা করা হয় কিন্ত সেখানে সে মারা যায়।
হতাহত
| দেশ | মৃত্যু | আহত | তথ্যসূত্র |
|---|---|---|---|
 জার্মানি
|
৭ | অজানা | |
 ইতালি
|
১ | ৩ | |
 ইসরায়েল
|
১ | ১ | |
 পোল্যান্ড
|
১ | ০ | |
 চেক প্রজাতন্ত্র
|
১ | ০ | |
 ইউক্রেন
|
১ | ০ | |
 স্পেন
|
০ | ২ | |
 যুক্তরাজ্য
|
০ | ২ | |
 যুক্তরাষ্ট্র
|
০ | ২ | |
 ফিনল্যান্ড
|
০ | ১ | |
 হাঙ্গেরি
|
০ | ১ | |
 ফ্রান্স
|
০ | ১ | |
 লেবানন
|
০ | ১ | |
| অজানা | ০ | ৪২ | |
| মোট | ১২ | ৫৬ |