Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
২০২১ মগবাজার বিস্ফোরণ
তারিখ | ২৭ জুন ২০২১ (2021-06-27) |
---|---|
সময় | বাংলাদেশ মান সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ এ (ইউটিসি+৬)। |
কারণ | গ্যাস বিস্ফোরণ |
মৃত | ১২ |
আহত | ১০০+ |
মগবাজার বিস্ফোরণ ২০২১ সালের ২৭ জুন বাংলাদেশের রাজধানীর ঢাকার মগবাজারের ওয়্যারলেস গেটে সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন ব্যক্তি নিহত হয় এবং আহতের সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি, এর মধ্যে ৬৬ বিভিন্ন হাসপাতেলে ভর্তি আছেন। পুলিশের ধারণা ঘটনাটি জমে থাকা গ্যাস থেকে ঘটেছে।
পটভূমি
রাজধানী ঢাকার মগবাজারের ওয়্যারলেস এলাকা একটি ব্যস্ততম এলাকা। বিস্ফোরণস্থলের ঠিক সামনেই মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভার। বিস্ফোরণটি মৌচাক-মগবাজার সড়কের ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের তিনতলা একটি পুরনো ভবনে সংঘটিত হয়। ভবনের নিচতলায় একটি খাবারের দোকান (শর্মা হাউজ) ও একটি মাংস বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের দোকান ছিল। উপরে ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রির একটি শো-রুম ছিল। এই ভবনের ঠিক অপর পাশে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের একটি শো-রুম রয়েছে। ভবনের পিছনে একটি সরু গলি আছে।
বিস্ফোরণ
২০২১ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যা ৭ টায় হঠাৎ করে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মাটিতেও কম্পন অনুভূত হয়।
ক্ষয়ক্ষতি
মগবাজার বিস্ফোরণের ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। নিহত হয়েছেন ১২ জন ব্যক্তি। আহতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রায় ৬৬ জন ব্যক্তি। আহতদের বেশিরভাগই আশেপাশের ভবন, কয়েকটি বাসের যাত্রী এবং পথচারী।
যে ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে, মৌচাক-মগবাজার সড়কের ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডের সেই তিনতলা পুরনো ভবনটি আংশিক ধসে পড়েছে। বিস্ফোরণে সৃষ্ট সাউন্ড ও ব্লাস্ট ওয়েভে আশপাশের ১৪ টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর প্রতিটিই বহুতল। ভবনগুলোর ১২ টিই বাণিজ্যিক আর ২ টি আবাসিক। একটি ভবনে ছিল অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘অপরাজেয় বাংলা’র কার্যালয়। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো হলো- আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর ভবন, রাশমনো স্পেশাইলাজড হাসপাতাল, নজরুল শিক্ষালয়, আড়ং শো-রুমের ভবন, বিশাল সেন্টার, ডম-ইনো’র বাণিজ্যিক ভবন, বেস্ট বাই শো-রুমের ভবন, বেঙ্গল ট্রেডস সেন্টার ভবন, ক্যালকাটা ড্রাই ক্লিনার্সের ভবন, মগবাজার প্লাজা, হামদর্দ চিকিৎসা ও বিক্রয় কেন্দ্র এবং ভিশন অ্যাম্পোরিয়ামের শো-রুম থাকা ভবন। বিস্ফোরণের ফলে রাস্তায় থাকা তিনটি লোকাল বাস ও এতে থাকা যাত্রীরাও হতাহত হয়েছে।
প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বিদ্যুৎ জ্বালানি ও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে ‘হোটেল রেস্তোরাঁয় ব্যবহৃত সিলিন্ডার বা স্টোভগুলো কখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইনস্পেকশন হয় কিনা’ মর্মে প্রশ্ন তোলেন। এছাড়া বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হারুনুর রশীদ এঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে বলে অভিযোগ তোলেন।