Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.
অন্তরণ (স্বাস্থ্যসেবা)

    অন্তরণ (স্বাস্থ্যসেবা)

    Подписчиков: 0, рейтинг: 0
    ওশা-র একটি যক্ষ্মা ওয়ার্ডের ছবি। এখানে হাসপাতালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং অন্তরণ-এর বিভিন্ন দিক দেখানো হচ্ছে: প্রকৌশলগত নিয়ন্ত্রণ (নির্দিষ্ট বায়ু প্রবেশমুখ), পিপিই (এন৯৫ রেস্পিরেটর), সতর্কতামূলক চিহ্ন ও লেবেল (নিয়ন্ত্রিত ভুক্তি), নির্দিষ্ট বর্জ্য ধারণপাত্র (ডিজপোজাল কন্টেইনার) এবং আধুনিক গৃহস্থালি ব্যবস্থা।

    অন্তরণ বলতে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (যেমন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ইত্যাদি) সংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগী থেকে অপর কোনও রোগী, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কর্মী বা দর্শনার্থীর দেহে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে গৃহীত কিছু পদক্ষেপের সমষ্টিকে বোঝায়। ইংরেজি পরিভাষায় একে আইসোলেশন (Isolation) বলে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বহিরাগতদের কাছ থেকে যেন কোনও বিশেষ রোগীতে সংক্রমণ না হতে পারে, সেটিও অন্তরণের অন্তর্ভুক্ত (বিপরীত অন্তরণ)। বিভিন্ন ধরনের অন্তরণ রয়েছে। কিছু কিছু প্রকারের মধ্যে সংস্পর্শের বিধি পরিবর্ধিত হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে একেবারেই অন্যের থেকে আলাদা করে রাখা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান (সিডিসি) প্রদত্ত এবং প্রায়শই পরিবর্ধিত নিয়মাবলী অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের রোগীর অন্তরণ মূলত "সতর্কতা" হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।

    সাধারণত যখন একজন রোগী ভাইরাসঘটিত বা ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রামক (এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে সংবহনযোগ্য) রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তখন তার অন্তরণ করা হয়। অন্তরণের বিভিন্ন ধরন অনুযায়ী রোগীদের ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী (পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই) (গাউন, চিকিৎসকের মুখোশ (সার্জিকাল মাস্ক) ও দস্তানা) এবং প্রকৌশলগত নিয়ন্ত্রণসামগ্রী (ধনাত্মক চাপ কক্ষ, ঋণাত্মক চাপ কক্ষ, ল্যামিনার বায়ুপ্রবাহ সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন যান্ত্রিক ও অবকাঠামোগত বাধা)। নির্দিষ্ট অন্তরণ বিভাগ (আইসোলেশন ওয়ার্ড বা আইসোলেশন ইউনিট) হাসপাতালগুলোতে পূর্ব থেকেই নির্মিত থাকতে পারে, বা মহামারীর মত জরুরি অবস্থায় সাময়িকভাবে তৈরি করা হতে পারে।

    গুরুত্ব

    ছোঁয়াচে রোগ বিভিন্ন উপায়ে অন্যের কাছে ছড়াতে পারে। চার ধরনের সংক্রামক সংবহনযোগ্য ব্যধি ঘটতে পারে:

    1. সংস্পর্শজনিত সংবহন, যা সরাসরি শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে অথবা পরোক্ষভাবে বায়ুবাহিত ড্রপলেট বা অতিক্ষুদ্র ফোঁটার মাধ্যমে স্বল্প দূরত্বে ছড়ায়।
    2. যানবাহনভিত্তিক সংবহন, যা সংক্রামিত বস্তুর মাধ্যমে ছড়ায়।
    3. বায়ুবাহিত সংবহন, যা বায়ুতে সংক্রামিত কণার মাধ্যমে ছড়ায়।
    4. বাহকভিত্তিক সংবহন, যা কীট বা প্রাণীর মাধ্যমে ছড়ায়।

    সংক্রামক রোগের প্রকৃতি অনুযায়ী রোগ সংবহন হতে পারে ব্যক্তির বাড়িতে, স্কুলে, কর্মপরিবেশে, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এবং সম্প্রদায়ের মিলনস্থলে। যদি একজন ব্যক্তি রোগ থেকে সংক্রমণের সম্ভাব্য সকল সতর্কতা মেনে চলে, যেমন সময়মত ভ্যাক্সিন নেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা; তবুও তিনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। একারণে রোগ-অন্তরণ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেন নিজেকে এবং অন্যকে রোগ থেকে মুক্ত রাখা যায়। রোগ-অন্তরণ হাসপাতালে অর্জিত সংক্রমণ (হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশান, এইচসিএআই) ধাঁচের সংক্রমণ রোধ করতে পারে, অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে এবং নতুন ও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত রোগের ঝুঁকি বৈশ্বিকভাবে কমাতে পারে।

    পূর্বসতর্কতাসমূহ

    যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) অন্তরণের ("পূর্বসতর্কতা" নামেও বর্ণিত) বিভিন্ন পর্যায় তৈরি করেছে। সিডিসি এই পূর্বসতর্কতাসমূহ মাঝেমাঝে পুনর্বিবেচনা ও পুনঃপরীক্ষা করে।

    সার্বজনীন

    চিকিৎসাবিজ্ঞান এর ভাষায় সার্বজনীন পূর্বসতর্কতা হল এমন একটি অভ্যাস, যেখানে কোন ব্যক্তি বিভিন্ন ছিদ্রহীন সামগ্রী যেমন মেডিকেল হাতমোজা, মেডিকেল চশমা, মুখমণ্ডলীয় ঢাল পরিধান করে রোগীর দেহনিশ্রিত ক্ষতিকর পদার্থের (প্রধানত তরল অথবা বায়বীয়) সংস্পর্শ থেকে নিজেকে রক্ষা করেন। এই পদ্ধতিটি ১৯৮৫-৮৮ সালের দিকে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৭ সালে এই পদ্ধতিটি দৈহিক সামগ্রী বিচ্ছিন্নকরণ নামে পরিচিত একটি পদ্ধতি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ১৯৯৬ সালে এই উভয় পদ্ধতি বর্তমানে প্রচলিত প্রমাণ(standard) পদ্ধতি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। বর্তমানে সকল স্বাস্থ্যগত সেবাদানের সময় ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী ব্যবহার করার জন্য সুপারিশ করা হয়।

    রোগ সংবহন-ভিত্তিক

    রোগ সংবহন-ভিত্তিক পূর্বসতর্কতা হল সার্বজনীন পূর্বসতর্কতা থেকে কিছু বাড়তি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ পূর্বসতর্কতা এবং কিছু সংক্রমণ প্রতিরোধক পদ্ধতি, যেগুলা সেইসব রোগীদের উপর প্রয়োগ করা হয় যারা কোন মহামারী জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে বা হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। এই পদ্ধতিতে সংক্রমণ এড়ানোর জন্য বাড়তি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়। তিন ধরনের সংক্রমণ-ভিত্তিক পূর্বসতর্কতা আছেঃ

    • সংস্পর্শ পূর্বসতর্কতা (Contact precautions) এর উদ্দেশ্য হল রোগীর শরীর অথবা ব্যবহার্য জিনিস এর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শের মাধ্যমে রোগবাহী জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়াকে প্রতিরোধ করা।
    • ফোঁটা সতর্কতা (Droplet precautions) হল রোগীর শ্বাসকার্যের মাধ্যমে বের হওয়া জীবাণুকণা অথবা রোগীর শ্লেষ্মার সাথে বের হওয়া জীবাণু থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
    • বায়ুবাহিত সতর্কতা (Airborne precautions) হল সেইসব জীবাণুর বিরুদ্ধে সতর্কতা যেগুলা বাতাসে সাসপেন্ডেড অবস্থায় বহুদূর পর্যন্ত যেতে পারে। (যেমনঃ রুবিওলা ভাইরাসজনিত হাম, ভেরিসেলা ভাইরাস, চিকেনপক্স, টিউবারকুলোসিস, এবং সম্ভবত সার্স-কোভি)।

    অন্তরণ

    সিডিসি-র মতে, অন্তরণ সাধারণ জনগণকে সংক্রামক রোগের সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত রাখে। সংক্রামক রোগে অসুস্থ ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তিকে পৃথক করার নামই অন্তরণ

    অন্তরণের বিভিন্ন ধরনের রোগীদের পরিচালনায় বিশেষ সরঞ্জাম বা সামগ্রী ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে সাধারণভাবে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সামগ্রী (গাউন, মাস্ক, এবং গ্লাভস) এবং প্রকৌশলগত নিয়ন্ত্রণ (ধনাত্মক চাপ কক্ষ, ঋনাত্মক চাপ কক্ষ, লামিনার বায়ু প্রবাহ সরঞ্জাম, এবং বিভিন্ন যান্ত্রিক এবং কাঠামোগত বাধা) অন্তর্ভুক্ত। মহামারীর জন্য নির্দিষ্টকৃত অন্তরণ বিভাগ (আইসোলেশন ওয়ার্ড) হাসপাতালের মধ্যে প্রাক-নির্মিত করা হতে পারে, অথবা জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে নির্মাণ করা হতে পারে (ইংরেজিতে আইসোলেশন ইউনিট বলা হয়)।

    অন্তরণকে সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টিন) অথবা জৈব নিয়ন্ত্রণের (বায়ো-কন্টেইনমেন্ট) সাথে ভুল করা উচিত নয়। সঙ্গনিরোধ হলো বাধ্যতামূক পৃথকীকরণ এবং বন্দীদশা, সাথে সংক্রমণ সীমাবদ্ধ রাখতে সুস্থ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যারা সম্ভাব্য সংক্রমণের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের চলাচলের সীমাবদ্ধতা। জৈব নিয়ন্ত্রণ অনুজীববিজ্ঞান পরীক্ষাগারের জৈব-সুরক্ষাকে নির্দেশ করে যেখানে পূর্ব থেকে নির্মিত প্রকৌশলগত নিয়ন্ত্রণ দ্বারা রোগ-সৃষ্টিকারী অণুজীবের বিস্টার নিয়ন্ত্রণ (বিএসএল-৩,বিএসএল-৪) করা হয়।

    কঠোর অন্তরণ

    সাধারনত বায়ুবাহিত এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংস্পর্শ দ্বারা বাহিত রোগের বিস্তার রোধে কঠোর অন্তরণ ব্যবহৃত হয়। সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে রোগীকে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তিকে একটি বিশেষ কক্ষে রাখা হয় যেখানে তিনি অন্তরিত থাকার জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এমন কক্ষে একটি বিশেষ পায়খানা এবং সেবাপ্রদানের উপকরণ থাকে এবং কর্মীদের স্থান ত্যাগের পূর্বে ব্যবহারের জন্য একটি বেসিন এবং একটি আবর্জনা-ধ্বংসকারক থাকে।

    সংস্পর্শ অন্তরণ

    রোগীর দেহের ক্ষতের সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়াতে পারে এমন রোগের বিস্তার রোধে সংস্পর্শ অন্তরণ ব্যবহৃত হয়। সংস্পর্শ অন্তরণে থাকা রোগীদের সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্যকর্মীদের মেডিকেল হাতমোজা, এবং কোন কোন সময় গাউন ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়।

    শ্বসন অন্তরণ

    শ্বাসত্যাগের মাধ্যমে নিসৃত কণার মাধ্যমে সংক্রমণযোগ্য রোগের বিস্তাররোধে শ্বসন অন্তরণ ব্যবহৃত হয়।. এমন রোগীর আশেপাশে থাকা ব্যক্তিদের মাস্ক ব্যবহার করা প্রয়োজন।

    বিপরীত অন্তরণ

    অ্যারোমেডিকাল বায়োলজিকাল কন্টেইনমেন্ট সিস্টেম (এবিসিএস) একটি বায়ু পরিবহনযোগ্য পূর্ণ অন্তরণ মডিউল যা অত্যন্ত সংক্রামক রোগীদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়।

    বিপরীত অন্তরণ আপোসযুক্ত স্বাস্থ্য পরিস্থিতির একজন রোগীকে অন্যান্য ব্যক্তি বা বস্তু দ্বারা সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি প্রায়শই ল্যামিনার বায়ু প্রবাহ এবং যান্ত্রিক বাধা ব্যবহারের সাথে জড়িত (অন্যের সাথে শারীরিক সংস্পর্শ এড়ানোর জন্য) যাতে বাহ্যিক পরিবেশে উপস্থিত কোনো ক্ষতিকারক রোগজীবাণু থেকে রোগীকে বিচ্ছিন্ন করা যায়।

    উচ্চ অন্তরণ

    উচ্চ অন্তরণ অস্বাভাবিকভাবে খুব সংক্রামক, বা উচ্চ পরিণতি সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধ করতে ব্যবহৃত হয় (উদাঃ বসন্ত, ইবোলা ভাইরাস)। এটি কেবল একটি সার্জিকাল মাস্কনয় বরং (১) গ্লাভস (বা উপযুক্ত হলে ডাবল গ্লোভস), (২) প্রতিরক্ষামূলক চশমা (গগলস বা ফেইস শিল্ড), (৩) একটি জলরোধী গাউন (বা পূর্ণ দেহ টাইভেক স্যুট, যদি উপযুক্ত হয়), এবং (৪) ) একটি রেস্পিরেটর (কমপক্ষে এফএফপি২ বা এন৯৫ এনআইওএসএইচ সমতুল্য) এর বাধ্যতামূলক ব্যবহারকে স্থির করে। কখনও কখনও নেতিবাচক চাপ কক্ষ বা চালিত এয়ার-পিউরিফাইং রেস্পিরেটর (পিএপিআর) ব্যবহার করা হয়।

    স্বেচ্ছা-অন্তরণ

    স্বেচ্ছা-অন্তরণ বা নিজগৃহে অন্তরণ হলো নিজের বা অন্যের সংক্রমণ রোধ করতে স্বেচ্ছায় নিজেকে পৃথক করার কাজ। চর্চাটি ২০১৯-২০ করোনা ভাইরাস মহামারী চলাকালীন উল্লেখযোগ্য হয়ে ওঠে। মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হ'ল:

    • বাড়িতে থাকা
    • নিজেকে অন্য ব্যক্তিদের থেকে আলাদা করা-উদাহরণস্বরূপ, একই সময়ে অন্য লোকের সাথে একই ঘরে না থাকার চেষ্টা করা
    • বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সদস্য বা বিতরণ পরিষেবাসমূহকে বিভন্ন কাজ যেমন মুদি, ওষুধ বা অন্যান্য কেনাকাটা করতে বলা
    • বিতরণ ড্রাইভারদের আইটেমগুলি সংগ্রহের জন্য বাইরে রাখতে বলা।

    আইরিশ স্বাস্থ্য পরিষেবা নির্বাহী নিয়মিত লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণ এবং স্বেচ্ছা-অন্তরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আবর্জনা নিষ্পত্তি না করার পরামর্শ দেয়, তাছাড়া তাঁরা সতর্ক করে দিয়েছে যে "স্বেচ্ছা-অন্তরণ বিরক্তিকর বা হতাশাজনক হতে পারে। এটি আপনার মেজাজ এবং অনুভূতিগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনি খারাপ লাগা, দুশ্চিন্তা বা ঘুমের সমস্যা অনুভব করতে পারেন। আপনি ফোনে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ রেখে ভালো অনুভব করতে পারেন।"

    যুক্তরাজ্যের নিয়োগকর্তারা অসুস্থতার জন্য বেতনস্বেচ্ছা-অন্তরণের সমর্থনের জন্য প্রদান করতে পারেন। সিটিজেনস এডভাইস বলেছেন যে ন্যূনতম-সময় সংস্পর্শে থাকা লোকেরাও অসুস্থতার জন্য বেতন পেতে পারেন।

    স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের অন্তরণ

    মহামারীর সময় অন্তরণ বিভাগগুলিকে তাৎক্ষণিকভাবে উন্নত করার প্রয়োজন হতে পারে যেমন লেগোস, নাইজেরিয়াতে ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীদের ইবোলা রোগীদের পরিচালনার এই চিত্র

    রোগ-অন্তরণ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের কাজ এবং সুরক্ষার সাথে প্রাসঙ্গিক। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার সংস্পর্শে আসতে পারেন অতএব অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সংক্রমণ হ্রাস করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সতর্কতা যেমন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অবলম্বন এবং ভ্যাকসিনের সাথে আপ-টু-ডেট থাকার পরও, রোগী এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি কোনও স্বাস্থ্যসেবা কর্মী কোনও সংক্রামক রোগে অসুস্থ হন, তাহলে অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বা স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার ভিতরে সংবেদনশীল রোগীদের মধ্যে সম্ভাব্য বিস্তার ঘটতে পারে। এতে দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতাসমপন্ন রোগী আক্রান্ত হতে পারেন এবং গুরুতর জটিলতার ঝুঁকির মধ্যে থাকতে পারেন।

    নির্দিষ্ট সংক্রামক এজেন্ট দ্বারা সংক্রমিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের কিছু সময়ের জন্য রোগীদের সাথে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হতে পারে না। সংক্রামক এজেন্টের বিস্তার থেকে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সুরক্ষার জন্য পেশাগত সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য প্রশাসন (ওএসএইচএ), প্রযোজ্য বিভিন্ন মানদণ্ড এবং নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছেন। এর মধ্যে রক্তবাহিত রোগজীবাণু, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষা অন্তর্ভুক্ত। সংক্রামক রোগের পেশাগত ক্ষেত্রে প্রকাশের ঝুঁকি মূল্যায়ন ও হ্রাস করতে সিডিসি সংস্থানও প্রকাশ করেছে। এই মানদণ্ড এবং নির্দেশিকাগুলির উদ্দেশ্য হল স্বাস্থ্যসেবা সুবিধায় অন্যদের মধ্যে রোগের বিস্তার রোধ করা।

    পরিণতি

    রোগ থেকে অন্যদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে রোগ-অন্তরণের গুরুত্ব খুব কমই বিতর্কিত হয়। তবে, একজন ব্যক্তির উপর রোগ-অন্তরণের কী কী পরিণতি হতে পারে তা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, রোগীরা ভিজিটর গ্রহণ করতে পারবেন না এবং তার পরিবর্তে নিঃসঙ্গ হয়ে উঠবেন। রোগীরা হতাশা, উদ্বেগ এবং রাগ অনুভব করতে পারেন। ছোটো বাচ্চারা তাদের অন্তরণকে শাস্তি বলে মনে করতে পারে। রোগীদের সাথে স্টাফদের আরও বেশি সময় অতিবাহিত করার প্রয়োজন হতে পারে। রোগীরা নির্দিষ্ট কিছু সেবা গ্রহণ করতে পারবেন না কারণ এতে অন্যান্য রোগীদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে। এর মধ্যে সেবা প্রদানের বিভিন্ন ধরন যেমন সকল রোগীদের জন্য একই সরঞ্জাম ব্যবহার করা অথবা রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার সাধারণ একটি জায়গায় পরিবহনের ব্যবস্থা করা জড়িত। রোগীদের উপর অন্তরণে র প্রভাবের কারণে, তাদের সামাজিক এবং মানসিক সমর্থন প্রয়োজন হতে পারে।

    বেশিরভাগ স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারগণ যদিও রোগের সংক্রমণ হ্রাস করার কার্যকর উপায় হিসাবে রোগ-অন্তরণকে সমর্থন করে, তবুও কিছু স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারগণ এই জাতীয় নিয়ন্ত্রণ প্রোটোকল প্রয়োগের দরূন রোগীদের উপর সম্ভাব্য নেতিবাচক পরিণতিগুলির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। মেথিসিলিন রেজিস্ট্যান্ট স্টাফাইলোকক্কাস অরিয়াস (এমআরএসএ) দ্বারা আইসোলেটেড রোগীদের ক্ষেত্রে কম নথিভুক্ত সেবা / বেডসাইড ভিজিট নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

    নীতিশাস্ত্র

    সাধারণ সম্প্রদায়কে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে, বিশেষত হাসপাতাল বা সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে রোগ-অন্তরণ একটি বিশেষ পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। কিন্তু, এই হস্তক্ষেপটি একজন ব্যক্তির অধিকার বনাম সাধারণ সম্প্রদায়ের অধিকারসমূহের বিষয়ে নৈতিক প্রশ্ন উত্থাপন করে।

    নাইজেরিয়ার লাগোসে রোগীদের জন্য আরো বেশি জায়গা এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য নতুন ইবোলা আইসোলেশন ওয়ার্ড।

    বায়োনীতিশাস্ত্রের ক্ষেত্রে ইউথ্যানাসিয়া, সহায়ক প্রজনন, এবং জিনতত্ত্বের মতো অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় আইসোলেশনের সতর্কতা ব্যবস্থা সহ সংক্রামক রোগগুলি সাধারণত গুরুত্বের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয় না। সংক্রামক রোগসমূহ কেনো চিকিৎসা নীতিশাস্ত্রে প্রাথমিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয় না তার সম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: উচ্চ-প্রযুক্তিযুক্ত বিষয়গুলির প্রতি পক্ষপাত, ধনী-বিশ্বের বিষয় যেমন ইউথ্যানাসিয়া এবং সহায়ক প্রজনন, অ্যান্টিবায়োটিক এবং ভ্যাকসিনের সাফল্যের কারণে সংক্রামক রোগগুলি এখন আর হুমকির বিষয় নয় বলে অন্ধ আশাবাদ, এবং এইডস, যক্ষ্মা, ইবোলা ইত্যাদির মতো নির্দিষ্ট সংক্রামক রোগসমূহকে "অন্যান্য" হিসেবে আখ্যা দেয়া।

    রোগের প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে, জনগোষ্ঠীকে অধিকতর রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য অন্তরণ একটি নৈতিক ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা হিসেবে যুক্তিযুক্ত হতে পারে। ২০১৪ সালের ডিজনিল্যান্ড হামের প্রকোপ এবং ২০১৪ সালের ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ক্ষেত্রে এটি লক্ষ্য করা যায়। রোগ-অন্তরণের সময় একজন ব্যক্তির অধিকার বনাম সাধারণ সম্প্রদায়ের অধিকারসমূহের নৈতিক কর্মের ফলাফল (পরিণতি) পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য ফেলিসিফিক ক্যালকুলাস ব্যবহার করে এটির সমর্থনযোগ্যতা প্রমাণিত হতে পারে। রোগ-অন্তরণের ফলে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের সর্বাধিক পরিমাণে ইতিবাচক ফলাফলকে এটি ন্যায়সঙ্গত করে।

    ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে জনস্বাস্থ্যের নৈতিকভাবে বৈধ, নৈতিক অনুশীলন হিসেবেও রোগ-অন্তরণ ন্যায়সঙ্গত। একজন ব্যক্তি রোগের অধিকতর বিস্তার রোধ করে অন্যদের রক্ষা করা, জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাসমূহকে সম্মান করা এবং নিজেকে বাড়িতে আলাদা করা এবং জনসমাবেশে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং পুনরুদ্ধার করতে পরিষেবা সরবরাহ করে (যদি স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার হন) প্রথম প্রতিক্রিয়াকারী হিসাবে কাজ করতে বাধ্য। অন্যদিকে,সীমাবদ্ধ ব্যবস্থার কারণে ভারাক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান করতে (উদাহরণস্বরূপ প্রাপ্ত না হওয়া কাজের ক্ষতিপূরণ, সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টাইন) ও অন্তরণে থাকা ব্যক্তিদের জন্য খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ, ব্যক্তিগত / পেশাদার দায়বদ্ধতার ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রথম প্রতিক্রিয়াকারীদের সহায়তা), সীমাবদ্ধ পদক্ষেপের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য আইনি সুরক্ষা রয়েছে তা নিশ্চিত করতে এবং সীমাবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রকাশ করতে একটি রাষ্ট্র বাধ্য।

    আরো দেখুন

    বহিঃসংযোগ


    Новое сообщение