Мы используем файлы cookie.
Продолжая использовать сайт, вы даете свое согласие на работу с этими файлами.

কোভিড-১৯ পরীক্ষা

Подписчиков: 0, рейтинг: 0
CDC 2019-nCoV Laboratory Test Kit.jpg
মার্কিন সিডিসির কোভিড-১৯ পরীক্ষাগার পরীক্ষার কিট

কোভিড-১৯ পরীক্ষা হল করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) এবং সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষা। মূলত দুই উপায়ে এই পরীক্ষা চালানো হয়: আণবিক চিহ্নিতকরণ এবং সেরোলোজি পরীক্ষা। আণবিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে পলিমারেজ চেইন রিএকশন (পিসিআর) এবং নিউক্লিক এসিড পরীক্ষা, এবং অন্যান্য আধুনিক বিশ্লেষণমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রকৃত-সময় বিপরীত ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া ব্যবহার করে রোগ নির্ণয়ের জন্য ভাইরাসের জিনগত উপাদান শনাক্ত করা হয়। সেরোলজি পরীক্ষায় এলিসা অ্যান্টিবডি পরীক্ষণ-সামগ্রী ব্যবহার করা হয় যেন হোস্ট দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে তা শনাক্ত করে রোগ নির্ণয় করা যায়। যদি দুই পরীক্ষাই ধনাত্মক ফলাফল দেয়, তবে মাইক্রোনিউট্রালাইজেশন অ্যাসে পরীক্ষা করা হয় এই ফলাফল নিশ্চিত করার জন্য। মাইক্রোনিউট্রালাইজেশন অ্যাসে অনেক বেশি নির্দিষ্ট, কিন্তু অধিক শ্রম এবং সময় ব্যয় হয়। যেহেতু সংক্রমণ কেটে যাওয়ার পরেও অ্যান্টিবডি সারা দেহে প্রবাহিত হতে থাকে, সেরোলজি পরীক্ষা অনেক সময় এমন কারো ক্ষেত্রে ধনাত্মক ফলাফল দেয় যারা পূর্বে আক্রান্ত হয়েছিল এবং এখন দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দ্বারা তৈরিকৃত অ্যান্টিবডির কারণে সুস্থ। অর্থাৎ সেরোলজি পরীক্ষায় ধনাত্মক ফলাফল মানেই সক্রিয় সংক্রমণ নয়। তবে সেরোলজি পরীক্ষা তত্ত্বাবধান এবং তদন্তজনিত কারণে ব্যবহৃত হয়। চীনে সুস্থ হওয়া নিশ্চিতকরণের জন্য আণবিক পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

পরীক্ষা পদ্ধতি

৬ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত, ডব্লিউএইচও পরীক্ষাগার এবং প্রোটোকল লিপিবদ্ধ করেছে
দেশ ইনস্টিটিউট জিনগত টার্গেট
চীন চায়না সিডিসি ওআরএফল্যাব এবং নিউক্লিওপ্রোটিন (N)
জার্মানি স্যারিতি RdRP, E, N
হংকং এইচকেইউ ORF1b-nsp14, N
জাপান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজ,
ডিপার্টমেন্ট অব ভাইরোলজি III
প্যানকরোনা এবং একাধিক টার্গেট,
স্পাইক প্রোটিন (পেপলোমার)
থাইল্যান্ড ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ N
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউএস সিডিসি N জিনের তিন টার্গেট
ফ্রান্স পাস্তুর ইনস্টিটিউট RdRP-এর দুই টার্গেট

পিসিআর

২০২০ সালের জানুয়ারিতে বার্লিনের স্যারিতিতে পিসিআর পরীক্ষা চালু করা হয়। এখানে রিয়েল টাইম রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টেজ পলিমারেজ চেইন রিএকশন বা আরটি-পিসিআর (rRT-PCR) পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় এবং এর ভিত্তিতে ২৫০,০০০ পরীক্ষণ সামগ্রী তৈরি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) দেওয়া হয়।

২৮ জানুয়ারি ২০২০ সালে দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি কোজিনবায়োটেক পিসিআর-ভিত্তিক ক্লিনিক্যাল-গ্রেডের সার্স-কোভি-২ শনাক্তকারী সামগ্রী (পাওয়ারচেক করোনাভাইরাস) তৈরি করে। এটি সকল বেটাকরোনাভাইরাস কর্তৃক বহনকারী "ই" জিন এবং সার্স-কোভি-২ এ বিদ্যমান বিশেষ RdRp জিন খোঁজে। দেশের অন্যান্য কোম্পানি সোলজেন্ট এবং সিজিন ২০২০ এর ফেব্রুয়ারিতে যথাক্রমে DiaPlexQ এবং Allplex 2019-nCoV Assay নামের ক্লিনিক্যাল গ্রেডের শনাক্তকারি সামগ্রীর সংস্করণ তৈরি করে।

চীনের বিজিআই গ্রুপ চীনের জাতীয় স্বাস্থ্যসামগ্রী প্রশাসন হতে দ্রুতবেগে পিসিআর-ভিত্তিক সার্স-কোভি-২ শনাক্তকারী সামগ্রীর অনুমোদন লাভ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আন্তর্জাতিক বিক্রিয়ক রিসোর্সের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারকে সিডিসি ২০১৯-নোভেল করোনাভাইরাস (২০১৯-nCoV) প্রকৃত সময় RT-PCR ডায়াগনস্টিক প্যানেল বণ্টন করে দেয়। পরীক্ষাসামগ্রীর প্রথমদিকের তিনটি জেনেটিক পরীক্ষার একটিতে ত্রুটিপূর্ণ বিক্রিয়কের কারণে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। এর ফলে আটলান্টার সিডিসিতে পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে এ কারণে দৈনিক ১০০-এরও কম নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুইটি উপাদান দিয়ে আয়োজিত পরীক্ষাকে নির্ভরযোগ্য হিসেবে ধরা হয়নি। এর আগ পর্যন্ত স্থানীয় পরীক্ষাগারগুলোতে পরীক্ষার অনুমতিও দেওয়া হয়নি।খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন জরুরী ব্যবহার অনুমোদনের মাধ্যমে পরীক্ষণটির অনুমোদন দেয়।

২০২০ সালের মার্চের প্রথমদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারী পরীক্ষাগারে পরীক্ষা শুরু হয়। ২০২০ সালের ৫ মার্চ ল্যাবকর্প কোভিড-১৯ এর RT-PCR ভিত্তিক পরীক্ষাসামগ্রী সারাদেশে সহজলভ্য হিসেবে ঘোষণা করে।কোয়েস্ট ডায়াগনস্টিক্স একইভাবে ৯ মার্চ ২০২০ তারিখে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষাসামগ্রী সারাদেশে সহজলভ্য হিসেবে ঘোষণা করে। পরিমাণের অভাব রয়েছে এমন কোনোকিছু বলা হয়নি। নমুনা সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় সিডিসির নির্দেশিকা অনুযায়ী।

রাশিয়াতে স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি ভেক্টর কোভিড-১৯ পরীক্ষাপদ্ধতি শুরু এবং উন্নত করতে থাকে। ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ফেডেরাল সার্ভিস ফর সার্ভেইল্যান্স ইন হেলথকেয়ারে এই পরীক্ষাপদ্ধতিটি নথিবদ্ধ করা হয়।

২০২০ সালের ১২ মার্চ মায়ো ক্লিনিক কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত করতে একটি পরীক্ষাপদ্ধতি চালু করে বলে জানা যায়।

২০২০ সালের ১৩ মার্চ রস ডায়াগনস্টিক্স সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করতে সক্ষম এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করে যা এফডিএ কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে। এভাবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে একটি মেশিন প্রায় ৪,১২৮টি পরীক্ষা করতে সক্ষম হবে।

সিটি স্ক্যান

বুকের সিটি স্ক্যান ফুসফুসের প্যাথোলজি শনাক্ত ও শ্রেণীবিন্যস্ত করতে সহায়তা করে এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণের কিছু দিক চিহ্নিত করতে পারে। ৯১৯ জন রোগীর বুকের সিটি স্ক্যান পদ্ধতিগতভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে কোভিড-১৯ এর প্রথমদিকের লক্ষণ "ফুসফুসের দুই পাশের কয়েকটি অংশে কাচেঁর মত স্বচ্ছ সাদা অংশ দেখা যায় যেটা চারদিকে (peripheral) অথবা পিছনে বিন্যস্ত" হওয়া। এক গবেষণায় দেখা গেছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য সিটির সংবেদনশীলতা ৯৮%, অন্যদিকে RT-PCR এর সংবেদনশীলতা ৭১%; তবে এই সমীক্ষা চীনের উহান প্রদেশে করা হয়েছে। এটি সাধারণভাবে গৃহীত তথ্য নয়। অনেক সিটি স্ক্যানে দেখা যায় দুইপাশে কাচেঁর মত স্বচ্ছ অংশ (কুঞ্জীভূত অথবা ছড়ানো) যেগুলা বেশি পাওয়া যায় ফুসফুসের আবরণের নিচে (subpleural dominance), যা সমতল প্রকৃতির এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে যায়। এই তথ্যগুলো বিশেষায়িত না এবং নিউমোনিয়ার অন্যান্য ধরনেও উপস্থিত থাকতে পারে। অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে চীনা রেডিওলজিস্টরা সিটি ইমেজিং-এর মাধ্যমে অন্যান্য ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়া থেকে কোভিড-১৯ কে ২৪-৯৪% ক্ষেত্রে পৃথক করতে সক্ষম হয় এবং তা ৭২-৯৪% সংবেদনশীলতাবিশিষ্ট ছিল। অন্যান্য ভাইরাসজনিত নিউমোনিয়ার সাথে কোভিডের পার্থক্যকারী সিটি স্ক্যানের সঠিকতা এবং পার্থক্যকারী মানের সত্যতা নিশ্চিত করেনি। তাই সিডিসি প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের জন্য সিটির পরামর্শ দেয় না। ৫ মার্চের সিওসিএ আলোচনায় এটা জানায় সিডিসি। সম্ভাব্য কোভিড রোগীকে RT-PCR পরীক্ষা করা প্রয়োজন, কারণ এটিই সবচেয়ে বিশেষায়িত পরীক্ষা।

গবেষণা

সেরোলজি

৯ মার্চ, ২০২০ এর দিকে সংক্রমণের ফলে সৃষ্টি করা অ্যান্টিবডি শনাক্তকরণের মাধ্যমে এক ধরনের রক্তপরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হয়। ব্যক্তির মধ্যে উপসর্গ দেখা যাক আর না-ই যাক, এই পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে ব্যক্তি কখনো ঐ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল কী না। ধারণা করা হচ্ছে এই পরীক্ষার মাধ্যমে IgM ও IgG অ্যান্টিবডির উপস্থিতি জানা যাবে ও ১৫ মিনিটের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে।

দ্রুত পরীক্ষণ সামগ্রী

তাইওয়ানে এক ধরনের পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে যা কী না ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল প্রদান করবে। এতে এক ধরনের মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয় যা নতুন করোনাভাইরাসের নিউক্লিওক্যাপসিড প্রোটিন (এন প্রোটিন) এর সাথে বন্ধন করবে।

নমুনা সংগ্রহ

ফ্লোরিডাতে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

প্রকৃত সময় বিপরীত ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া (rRT-PCR) ব্যবহার করে এই পরীক্ষা বিভিন্ন উপায়ে সংগৃহীত নমুনার উপর পরীক্ষা চালানো যায়। সাধারণত নমুনার মধ্যে ন্যাসোফ্যারিঞ্জিয়াল সোয়াব বা থুতু সংগ্রহ করা হয়। কয়েক ঘণ্টা থেকে শুরু করে ২ দিনের মধ্যে ফলাফল দিয়ে দেওয়া হয়।

হংকং সম্ভাব্য রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের বাসা থেকে। এর মাধ্যমে "জরুরী বিভাগ রোগীকে নমুনা সংগ্রহের টিউব দেবে", তারা এতে থুতু জমা করে পাঠিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে ফলাফল জানানো হয়।

ব্রিটিশ এনএইচএস ঘোষণা দেয় যে তারা সন্দেহজনক ঘটনার পরীক্ষা বাসা থেকেই করবে। এর মাধ্যমে আক্রান্ত রোগী অন্যকে ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে আসবে। হাসপাতালে বা অ্যাম্বুলেন্সে রোগী অন্য কাউকে রোগ ছড়াতে পারবে না।

কোভিড-১৯ এর ড্রাইভ-থ্রু পরীক্ষার ক্ষেত্রে এক পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজনীয় সতর্কতাবিধি মেনে নমুনা সংগ্রহ করে। ড্রাইভ থ্রু কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে অনেক দ্রুত এবং ব্যাপকভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছে।

ভারতের কেরালাতে সোয়াব বুথের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীরা এখন দ্রুততম সময়ে নমুনা (লালা) সংগ্রহ করতে পারছেন যা অর্থনৈতিকভাবেও সাশ্রয়ী

প্রস্তুতি এবং পরীক্ষার আকার

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন করা পরীক্ষাসংখ্যা।
নীল: সিডিসি পরীক্ষাগার
কমলা: জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগার
ধূসর: রিপোর্টে দেরি হওয়ার কারণে অসম্পূর্ণ উপাত্ত

চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকে পরীক্ষাসামগ্রীর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। এই দেশগুলো এবং অস্ট্রেলিয়া প্রয়োজন অনুযায়ী এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতে সামগ্রী জোগান দিতে সক্ষম হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন দক্ষিণ কোরিয়া পরীক্ষা সামগ্রীর ব্যাপকতা নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে অবদান রাখে। বেসরকারি খাতে, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার গত কয়েকবছরে বেশকিছু পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠা করে। ফলে তাদের পরীক্ষার সক্ষমতা বেশ উন্নত হয়েছে। ১৬ মার্চ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরীক্ষার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য কোভিড-১৯ পরীক্ষার হার বাড়ানোর আহ্বান করে।

ফেলুদা পরীক্ষা কিট্

এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ কাউন্সিল অফ সায়েন্টেফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চস-ইন্সটিটিউট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজি (সিএসআইআর-আইজিআইবি) সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে করোনা পরীক্ষার স্ট্রিপ তৈরি করে। এই কিটে মাত্র কয়েক মিনিটের মাথায় কেউ করোনা আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত করা যাবে এবং এই কিটটি কম খরচে ও কম সময়ে বানানো সম্ভব। কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার সত্যজিত রায়ের সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ফেলুদার নামেই নতুন এই পরীক্ষা কিটটির নাম ফেলুদা (ইংরেজি পূর্ণরূপ: Fncas9 Editor Linked Uniform Detectio Assay) রাখেন এই কিটের স্রষ্টা, সিএসআইআর-আইজিআইবির দুজন বাঙালি গবেষক ডাঃ শৌভিক মাইতি ও ডাঃ দেবজ্যোতি চক্রবর্তী।
এই পরীক্ষা কিটটি আসলে একটি পেপার-স্ট্রিপ তবে তারই মধ্যে আছে আধুনিক জিন সম্পাদনা প্রযুক্তি। ডাঃ শৌভিক মাইতি ও ডাঃ দেবজ্যোতি চক্রবর্তী জানিয়েছেন কোভিড ১৯ ভাইরাসে আরএনএ থাকে। প্রথমে সেই আরএনএকে ডিএনএ–তে পরিবর্তন করা হবে। পরবর্তী ধাপে পিসিআর পলিমারেজ চেন রিয়াকশন চেন মেশিনের সাহায্যে একটি ডিএনএ থেকে তারই অসংখ্য কপি (অর্থাৎ আরো ডিএনএ) তৈরি করা হবে। তারপর, এর সঙ্গে ক্রিসপার-ক্যাস-৯ বলে ব্যাকটেরিয়া প্রোটিনের লিঙ্ক করানো হয় যা ভাইরাল ডিএনএ কে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। সবশেষে এই নমুনা কাগজের স্ট্রিপে ফেলা হবে। নমুনা ফেলার পরবর্তীতে এই স্ট্রিপে প্রথমে একটি লাইন ফুটে উঠবে। এতে বোঝা যাবে স্ট্রিপটি ঠিকমতো কাজ করছে। এরপর দ্বিতীয় একটি লাইন ফুটে উঠলে বুঝতে হবে সেই নমুনা পজিটিভ। অর্থাৎ যে ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সে ব্যক্তি করোনাতে সংক্রমিত হয়েছেন। স্ট্রিপে দ্বিতীয় লাইন ফুটে না উঠলে সেই ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত নন।

দেশ অনুযায়ী পরীক্ষা পরিসংখ্যান

দেশ অথবা অঞ্চল সকল পরীক্ষা ইতিবাচক হালনাগাদ তারিখ
পরীক্ষা /
দশ লক্ষ
ইতিবাচক /
১,০০০
তথ্যসূত্র
আর্জেন্টিনা ৪,৮৪৩ ৯৬৬ ৩১ মার্চ ১০৭ ১৯৯
আর্মেনিয়া আর্মেনিয়া ৩৬০৩ ৬৬৩ ২ এপ্রিল ১২২১ ৭৪
অস্ট্রেলিয়া অস্ট্রেলিয়া ২৬৮,১৬৮ ৫,১৩৬ ২ এপ্রিল ১০৫৫৮ ১৯
অস্ট্রিয়া অস্ট্রিয়া ৯২,১৯০ ১০,৮৭৭ ২ এপ্রিল ১০৩৫৫ ১০৮
আজারবাইজান ৩০,০০০ ২৭৩ ৩০ মার্চ ৩০৩১
বাহরাইন বাহরাইন ৩৩,৮৫২ ২৬৮ ১৯ মার্চ ২১৫৬৯ ৮.৮
বেলারুশ বেলারুশ ১৯,০০০ ৬৯ ২০ মার্চ ২,০০২ ৩.৬৩
বেলজিয়াম বেলজিয়াম ১৮,৩৬০ ১,৪৮৬ ১৮ মার্চ ১,৫৯৬ ৮০
বলিভিয়া বলিভিয়া ১৯১ ১৫ ১৯ মার্চ ১৭ ৭৮
ব্রাজিল ব্রাজিল ২,৯২৭ ২০০ ১৩ মার্চ ১৩.৯ ৬৮.২৫
কানাডা কানাডা ৬৬,০০০ ৭০০ ২০ মার্চ ১,৭৪১ ১৪.৩
কানাডা কানাডাঅ্যালবার্টা অ্যালবার্টা ১৬,৮৫৭ ১৪৬ ১৯ মার্চ ৩,৮৩৭ ৮.৭
কানাডা কানাডাব্রিটিশ কলাম্বিয়া ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ৬,৩২৬ ৭৩ ১৩ মার্চ ১,২৪৭ ১১.৫
কানাডা কানাডা অন্টারিও অন্টারিও ১৯,৫১১ ৩০১ ২০ মার্চ ১,৩৩৯ ১৫
কানাডা কানাডাকুইবেক কিউবেক ৬,৪৫২ ১২১ ১৯ মার্চ ৭৯০ ১৮.৮
চীন চীন (মূল ভূখণ্ড) চীন কুয়াংতুং ৩২০,০০০ ২০ ফেব্রু ২,৮২০ ১.৪
কলম্বিয়া কলম্বিয়া ৩,৫৬৫ ১০২ ১৮ মার্চ ৭৪ ২৮.৬১
ক্রোয়েশিয়া ক্রোয়েশিয়া ৭২৪ ৪৬ ১৫ মার্চ ১৯০ ৬৩.৫
চেক প্রজাতন্ত্র চেক প্রজাতন্ত্র ১১,৬১৯ ৭৬৫ ১৯ মার্চ ১,০৯১ ৬৫.৮
ডেনমার্ক ডেনমার্ক ১২,৩৭১ ১,৩৩৫ ২০ মার্চ ২,১২৫ ১০৮
ইকুয়েডর ইকুয়েডর ১,৪৩২ ৩৬৭ ২০ মার্চ ৮৬ ২৫৬
এস্তোনিয়া এস্তোনিয়া ২,৫০৪ ২৮৩ ২০ মার্চ ১,৯২৬ ১১৩
ফিনল্যান্ড ফিনল্যান্ড ৩,০০০ ৩৫৯ ১৯ মার্চ ৫৪২ ১১৯.৭
ফ্রান্স ফ্রান্স ৩৬,৭৪৭ ৬,১৫৩ ১৫ মার্চ ৫৪৮ ১৬৭
গ্রেনাডা গ্রেনাডা ১৮ ১৯ মার্চ ১৬৪
হাঙ্গেরি হাঙ্গেরি‌ ১,৪৭০ ৩৯ ১৭ মার্চ ১৪৭ ২০
আইসল্যান্ড আইসল্যান্ড‌ ৯,১৮৯ ৪০৯ ২০ মার্চ ২৫,২২৬ ৪৪.৫
ভারত ভারত‌ ৫৫,৩৬,২১,৭৬৬ ৩,৩৭,৬৬,৭০৭ ১৯ সেপ ৪,০৯,২৮৯ ২৪,৯৬৪ প্রতি দশ লক্ষে
ইন্দোনেশিয়া ইন্দোনেশিয়া ১,৯৩৯ ৩৬৯ ২০ মার্চ ৭.১ ১৯১
প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড আয়ারল্যান্ড ৬,৬৩৬ ২৯২ ১৭ মার্চ ১,৩৭৪ ৪৪
ইসরায়েল ইসরায়েল ১০,৮৬৪ ৪২০ ১৮ মার্চ ১,১৩৮ ৪০.২
ইতালি ইতালি ২০৬,৮৮৬ ৪৭,০২১ ২০ মার্চ ৩,৪২৮ ২২৭
ইতালিইতালি এমিলিয়া–রোমানিয়া এমিলিয়া–রোমানিয়া ২০,৭৫৩ ৫,৯৬৮ ২০ মার্চ ৪,৬৫৪ ২৮৮
ইতালি ইতালি ফ্রিউলি-ভেনেসীয়া জুলিয়া ফ্রিউলি-ভেনেসীয়া জুলিয়া ৪,৯৬৪ ৬৫৬ ২০ মার্চ ৪,০৮৫ ১৩২
ইতালি ইতালি লোম্বারদিয়া লোম্বারদিয়া ৫৭,১৭৪ ২২,২৬৪ ২০ মার্চ ৫,৬৬৯ ৩৮৯
ইতালি ইতালি ভেনেতো ভেনেতো ৪৯,২৮৮ ৩,৪৮৪ ২০ মার্চ ১০,০৪৯ ৭১
জাপান জাপান 1১৮,৮৪৪ ৯৪৩ ২০ মার্চ ১৪৮ ৫০
কাজাখস্তান কাজাখাস্তান ৫,০৯৩ ১৩ মার্চ ২৭৬
লাতভিয়া লাটভিয়া ৩,২০৫ ১১১ ২০ মার্চ ১,৬৬৯ ৩৫
লিথুয়ানিয়া লিথুনিয়া ৬২৪ ১৪ ১৬ মার্চ ২২৩ ২২
মালয়েশিয়া মালয়েশিয়া ১০,১৪৩ ১,০৩০ ২০ মার্চ ৩০৯ ১০১
মাল্টা মাল্টা ৮৮৯ ২১ ১৫ মার্চ ১,১১৪ ২২
মেক্সিকো মেক্সিকো ১,৫৩৩ ১৬৪ ২০ মার্চ ১২ ১০৬
নেদারল্যান্ডস নেদারল্যান্ডস ৬,০০০ ৭ মার্চ ৩৪০
নিউজিল্যান্ড নিউজিল্যান্ড ৫২২ ১৫ মার্চ ১০৯ ১৫
নরওয়ে নরওয়ে ৪৩,৭৩৫ ১,৭৪২ ২০ মার্চ ৮,১৪৮ ৪০
ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন ২,৫১৯ ১৬ মার্চ ৫১৪
পানামা পানামা ১,৪৫৫ ১০৯ ১৩ মার্চ ৩৬৪
পেরু পেরু ৩,৮৪১ ২৩৪ ২০ মার্চ ১১৯ ৬১
ফিলিপাইন ফিলিপিন্স ১,২৬৭ ২৩০ ২০ মার্চ ১১.৭ ১৯১
পোল্যান্ড পোল্যান্ড ১৩,০৭২ ৩৬৭ ২০ মার্চ ৩৪৪ ২৮
রোমানিয়া রোমানিয়া ৮,২৮৪ ৩০৮ ২০ মার্চ ৪২৭ ৩৭.২
রাশিয়া রাশিয়া ১৪৩,৫০০ ২৫৩ ২০ মার্চ ১০০০ ১.৭
স্লোভাকিয়া স্লোভাকিয়া ২,৭০৭ ১৩৭ ২০ মার্চ ৪৮৭ ৫১
স্লোভেনিয়া স্লোভেনিয় ১০,৯৮০ ৩৪১ ২০ মার্চ ৫,২৮১ ৩১
স্পেন স্পেন ৩০,০০০ ১৭,১৪৭ ১৮ মার্চ ৬৪২ ৫৭২
দক্ষিণ আফ্রিকা দক্ষিণ আফ্রিকা ৪,৮৩২ ১৫০ ১৬ মার্চ ৮২ ৩১.০৪
দক্ষিণ কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া ৩১৬,৬৬৪ ৮,৬৫২ ১৯ মার্চ ৬,১২৪ ২৭
সুইজারল্যান্ড সুইজারল্যান্ড ৪,০০০ ২৫৪ ৭ মার্চ ৪৬৭ ৬৩
তাইওয়ান তাইওয়ান ২১,৩৯৬ ১০৮ ১৯ মার্চ ৯০০
থাইল্যান্ড থাইল্যান্ড ৮,৭৭৭ ৩২২ ২০ মার্চ ১২৭ ৩৭
তুরস্ক তুরস্ক ২,৯০০ ১০ মার্চ ৩৫
ভিয়েতনাম ভিয়েতনাম ১৫,৬৩৭ ৯১ ২০ মার্চ ১৬১ ৫.৮২
ইউক্রেন ইউক্রেন ৩১৬ ২৬ ২০ মার্চ ৮২
সংযুক্ত আরব আমিরাত সংযুক্ত আরব আমিরাত ১২৫,০০০ ১৪০ ১৬ মার্চ ১৩,০২০ ১৪.২
যুক্তরাজ্য যুক্তরাজ্য ৬৬,৯৭৬ ৩,৯৮৩ ২০ মার্চ ৯৯২ ৫৯.৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ ৪৪,৮৭২ ১০,৪৪২ ১৯ মার্চ ১৩৭ ২৩৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্যালিফোর্নিয়া ক্যালিফোর্নিয়া ৩,৪৮৭ ৪৭২ ১৬ মার্চ ৮৮ ১৩৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিউ ইয়র্ক নিউ ইয়র্ক ২২,২৪৮ ৪,১৫২ ১৯ মার্চ ১,১৪৪ ১৮৭
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওয়াশিংটন (অঙ্গরাজ্য) ওয়াশিংটন ২০,৭১২ ১,৩৭৬ ১৯ মার্চ ২,৭২০ ৬৬


আরো দেখুন

বহিঃসংযোগ

শ্রেণীবিন্যাস

Новое сообщение