কাজাখস্তানে যৌনতার উদ্দেশ্যে পাচার হল মানব পাচার, এর উদ্দেশ্য হল যৌন শোষণ এবং দাসত্ব যা কাজাখস্তানে ঘটে।
কাজাখস্তানের নাগরিক, যাঁদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে আছেন নারী ও মেয়েরা, তাঁদের দেশের মধ্যে এবং এশিয়ার অন্যান্য দেশে ও বিভিন্ন মহাদেশ যৌনতার উদ্দেশ্যে পাচার করা হয়। বিদেশি নাগরিকদের দেশের মধ্যে যৌনতার উদ্দেশ্যে পাচার করে আনা হয়। শিশু, দারিদ্র্যপীড়িত মানুষ এবং অভিবাসীরা যৌনতার উদ্দেশ্যে পাচারের জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁরা প্রতারিত হন, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়, অথবা পতিতাবৃত্তি বা জোরপূর্বক বিবাহে বাধ্য করা হয়। তাঁদের পাসপোর্ট এবং অন্যান্য নথি প্রায়ই নিয়ে নেওয়া হয়। তাঁরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং আঘাতের শিকার হন এবং তাঁদের সাধারণত নজরদারির মধ্যে রাখা হয় বা খারাপ অবস্থায় আটকে রাখা হয়। ধর্ষণের ফলে অনেকেই যৌনতা সংযুক্ত রোগে সংক্রামিত হন। কলঙ্কিত হওয়ার ভয়ে এবং তাঁদের সম্প্রদায়ের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী তাঁদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা পুলিশকে দিতে ভয় পান।
কাজাখস্তান সরকার তাদের যৌন-পাচার দমনের অপ্রতুল প্রচেষ্টা এবং দুর্নীতির জন্য সমালোচিত হয়েছে। পুলিশ ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই দেশে যৌন পাচারের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
কাজাখস্তান সরকার পাচার নির্মূলের জন্য ন্যূনতম মানদণ্ড পুরোপুরি এখনো পূরণ করতে পারেনি কিন্তু তা করার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা করছে। এই প্রচেষ্টার মধ্যে আছে পাচারকারীদের ফৌজদারি জরিমানা বাড়ানোর সংশোধনী গ্রহণ করা। এছাড়া আগে বিধান ছিল ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু অর্থ দিয়ে পাচারকারীরা নিজেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করার বন্দোবস্ত করে নিতে পারত। বর্তমানে এই বিধান প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বধূ অপহরণ
কাজাখস্তানে যৌন পাচারের একটি রূপ হল অসম্মতি সত্ত্বেও বধূ অপহরণ,- যেখানে নারী ও মেয়েদের জোর করে, শুধু আভাস দিয়ে বা সামাজিক চাপের মাধ্যমে বিয়ে ও গর্ভধারণে বাধ্য করা হয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান
প্রবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা দেশের যৌন পাচারের বিরোধিতা করে তৈরি করা প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করে।
সানা সেজিম লিগ্যাল সেন্টার ফর উইমেন ইনিশিয়েটিভস কাজাখস্তানে যৌন পাচার বিরোধী প্রচেষ্টা পরিচালনা করে।
সুরক্ষা
সরকার কাজাখস্তানি ভুক্তভোগীদের জন্য সুরক্ষা প্রচেষ্টা বজায় রেখেছে, কিন্তু বিদেশী ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত ও সহায়তা করার প্রচেষ্টা নগণ্য রয়ে গেছে।