বংশাণুসমগ্র সম্পাদনায় ব্যবহৃত ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের নিউক্লিয়েজ এবং উদ্দীষ্ট ডিএনএ-র পরিবর্তন সাধনের জন্য ব্যবহৃত ডিএনএ মেরামত পথসমূহ।
বংশাণুসমগ্র সম্পাদনা (Genome editing), বংশাণুসমগ্র প্রকৌশল (Genome engineering), অথবা বংশাণু সম্পাদনা (Gene editing) বংশাণু প্রকৌশল ক্ষেত্রের একটি উপক্ষেত্র, যেখানে কোনও জীবিত জীবের দেহের বংশাণুসমগ্রে (জিনোমে) ডিএনএ অনুপ্রবেশ, অবলোপন, পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রাক্তন বংশাণু প্রকৌশল প্রয়োগকৌশলসমূহে কোনও পোষক বংশাণুসমগ্র বা জিনোমে সমসম্ভব যেকোনও স্থানে বংশাণুগত উপাদান অনুপ্রবেশ করানো হত। এর বিপরীতে বংশাণুসমগ্র সম্পাদনায় বংশাণুসমগ্রের নির্দিষ্ট অবস্থানকে লক্ষ্য করে অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়।
ইতিহাস
১৯৯০-এর দশকে এসে বংশাণুসমগ্র সম্পাদনার যাত্রারম্ভ হয়েছিল। তবে সম্পাদনা কর্মদক্ষতা নিম্নমানের ছিল বলে এর প্রয়োগ সীমিত ছিল। এরপরে বর্তমানে প্রচলিত নিউক্লিয়েজ-ভিত্তিক বংশাণু সম্পাদনা ব্যবস্থাগুলির আবির্ভাব ঘটে।
প্রকৌশলজাত নিউক্লিয়েজ ব্যবহার করে বংশাণুসমগ্র সম্পাদনা, অর্থাৎ এইরূপ উৎসেচকের তিনটি প্রধান শ্রেণীর সবগুলি যথা, জিংক আঙুল নিউক্লিয়েজ (Zinc Finger Nuclease), প্রতিলিপিকরণ সক্রিয়ক-সদৃশ নিউক্লিয়েজ (TALEN) এবং প্রকৌশলজাত অতিবৃহৎ নিউক্লিয়েজ (Engineered meganuclease) ২০১১ সালে মর্যাদাবাহী বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার কর্তৃক বছরের সেরা পদ্ধতি হিসেবে নির্বাচিত হয়। ২০১৫ সালে আরেক মর্যাদাবাহী বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স ক্রিস্পার-ক্যাস (CRISPR-Cas) ব্যবস্থাটিকে ঐ বছরের নাটকীয় সাফল্য হিসেবে নির্বাচিত করে।
|
|
গবেষণা উপাদান |
|
শাখা |
|
সম্পর্কিত বিষয় |
|
তালিকা |
|
|